দু’মাসের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে দেশজুড়ে শুরু হল অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা। প্রাথমিকভাবে আপত্তি করলেও পরে শর্তসাপেক্ষে বিমান চালানোর অনুমতি দিয়েছে তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্র সরকার। ফলে এই দুই রাজ্যে পরিষেবা শুরু হয়েছে আংশিকভাবে। অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় আমফানের জেরে বাংলার দুই বিমানবন্দরে পরিষেবা চালু হবে ২৮ মে থেকে।
সোমবার সকালে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri) এক টুইটে বলেন,”বন্দে ভারত মিশনের মাধ্যমে আমরা বিদেশ থেকে ৩০ হাজার ভারতীয়কে ফিরিয়ে এনেছি। ২৬ মার্চের পর আমরা ৯১৭ টন চিকিৎসা সামগ্রী উড়িয়ে এনেছি। আজ থেকে অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা চালু হচ্ছে। ভারতের বিমান পরিষেবা সবসময় প্রথমের সারিতেই থাকে।” উল্লেখ্য, শুরু থেকেই দ্রুত বিমান চালুর পক্ষে ছিলেন পুরী। দু’মাস বন্ধ থাকায় বিমান সংস্থাগুলি যে অভূতপূর্ব সংকটের মধ্যে পড়েছিল, পরিষেবা চালু হওয়ায় তা থেকে সাময়িক স্বস্তি মিলবে। এমনটাই মনে করছে অসামরিক বিমান পরিবহণ দপ্তর।
https://twitter.com/ANI/status/1264739654554673152?s=20
ভোরবেলা থেকেই দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে পরিষেবা চালু হয়। একে একে উড়তে শুরু করে বিমান। তবে পরিষেবা চালু হলেও প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধিতে। রবিবারই অসামরিক বিমান মন্ত্রকের তরফে যাত্রীদের জন্য নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। মূলত সামাজিক দূরত্ব, থার্মাল স্ক্রিনিং, স্যানিটাইজেশন, আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করার মতো সতর্কতামূলক পদক্ষেপের দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন বিমানবন্দর স্যানিটাইজ করার ছবি চোখে পড়ে। যাত্রীদের ভিড় থাকলেও সকলেই সতর্ক। মোটামুটিভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছেন সকলেই।
এদিন সকালে যাত্রীদের ভিড় সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে দিল্লি বিমানবন্দরে। চেন্নাই, মুম্বইয়ের মতো ব্যস্ত নগরীতেও বহু যাত্রী এদিন নিজেদের ঘরে ফিরছেন বিমান চেপে। তবে মুম্বই এবং চেন্নাইয়ে মাত্র ২৫টি করে বিমান নামার অনুমতি পেয়েছে। তাই যাত্রীসংখ্যা তুলনায় কম।
https://twitter.com/HardeepSPuri/status/1264748222968295424?s=20