রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের নামে কালীঘাটেই রয়েছে ৩৫টি ফ্ল্যাট। তার প্রমাণ রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়ের ডানহাত মুকুল রায়ের কাছে। রায়গঞ্জের সভা থেকে এমনটাই দাবি করেছেন বর্তমানে রাজ্যের বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তার আরও দাবি সাদা শাড়ি ও হাওয়াই চপ্পল পড়লেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের নামে এত সম্পত্তির প্রমাণ মুকুল রায়ের কাছে রয়েছে যে একটা ফাইলের পাতার পর পাতা উল্টে যেতে হবে। আর সেই কারণেই আজ আর কোথাও সততার প্রতীক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পোস্টার চোখে পড়ে না। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাও সেটা বুঝে গেছেন যে আর সততার প্রতীক নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দাবি এই বিজেপি নেতার।
মুকুল রায় বলেন, একসময় তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতায় আসতে সহায়তা করেছিলেন। সেটা ছিল তার জীবনের বড় ভুল। আজ সারা রাজ্য ঘুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল ছবি মানুষের সামনে তুলে ধরে তার প্রায়শ্চিত্ত করছেন তিনি বলেন জানান মুকুলবাবু।
মুকুল রায় দাবি করেন, রাজ্য সব চিটফান্ড যেমন সারদা,নারদা, রোজভ্যালি, এমপিএস এই সবকটির সবথেকে বড় বেনিফিশিয়ারি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দিদি তাকে সারদাকাণ্ডের জন্য দায়ী করছেন কারণ তদন্তের জন্য সিবিআই মুকুল রায়কে ডাকছে। এই অভিযোগের উত্তর দিয়ে মুকুল রায় বলেন সারদা কাণ্ডে তার বিরুদ্ধে কোনো এফআইআর নেই। কিন্তু ডেলোতে বসে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মিটিং করেছিলেন তখন মুকুল রায় তার সঙ্গে ছিলেন। আর সেই কারণেই সিবিআই তাকে তলব করেছে বলে জানান মুকুল রায়।
একই সঙ্গে মুকুল রায় অভিযোগ করেন ইটাহার, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, চাকুলিয়া, গোয়ালপোখরের মত জায়গায় রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে চাইছেন মমতা যাতে তৃণমূল কংগ্রেসের সুবিধা হয়। তাই তিনি রায়গঞ্জের পুলিশ সুপারের বদলের দাবি তোলেন এই সভা থেকে।