আর মাত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরে সুপার সাইক্লোন আমফান (Amphan Cyclone Strom)। দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, এই মুহূর্তে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘার উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মাত্র ২২৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। কলকাতা (kolkata)থেকে আমফানের দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার। মঙ্গলবার রাত থেকেই কলকাতায় চলছে বৃষ্টি। বুধবার দুপুরের পর দিঘা ও হাতিয়া দ্বীপের মাঝে ল্যান্ডফল হওয়ার কথা এই আমফানের। ল্যান্ডফলের পর সেই ঝড় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ১৭০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তারপর তা উত্তর-পূর্ব দিক দিয়ে বাংলাদেশের দিকে গতিপথ বদল করে চলে যাবে।
তবে আবহাওয়াবিদদের অনুমান, সাগরদ্বীপ হয়ে সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে আছড়ে পড়তে পারে আমফান। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনাতেও তা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে। সেই সঙ্গে হবে প্রবল জলোচ্ছ্বাসও। এই তিন জেলার উপকূলে চার থেকে ছ’মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আমফান আছড়ে পড়ার সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। এই গতিবেগ বেড়ে তা পৌঁছতে পারে ১৮৫ কিলোমিটারে।
আমফানে কলকাতা, হুগলি, হাওড়া এবং নদিয়াতেও বেশ ভালই প্রভাব পড়বে অনুমান আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। এমনকি, তা বেড়ে ১৩০ কিলোমিটারও হতে পারে। সেই সঙ্গে হবে প্রবল বৃষ্টি। ওড়িশার পারাদ্বীপ, পুরী, বালাসোর থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ, দিঘা সৈকতে ঘূর্ণি ঝড়ের দাপট ক্রমশ বাড়ছে। সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠছে। যত সময় এগোচ্ছে এই ঝড়। যত সময় যাবে ততই গতিবেগ বাড়বে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন।