আমফান ঘূর্ণিঝড়ের (Amphan Cyclone Strom) দাপট থেকে রাজ্যবাসীকে সুরাহা দিতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করে দিল রাজ্য বিজেপি (BJP)। সোমবার রাতে নিজের বাসভবনে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি জানান, লকডাউনের কারণে বিজেপির রাজ্য দপ্তর বন্ধ ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়াতে মঙ্গলবার থেকে একটি হেল্পলাইন চালু করা হচ্ছে বিজেপির পক্ষ থেকে। রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবেন। কারো কোনও সমস্যা হলে ৯৭২৭২৯৪২৯৪ হেল্পলাইন নম্বর যোগাযোগ করতে বলেন দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, ঘূর্ণিঝড়ের এনডিআরএফের পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)এসে গিয়েছে। ওড়িষায় ১০টি ও পশ্চিমবাংলাতে সাতটি। তারা প্রয়োজন মত কাজ করবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্য চাইলে সাহায্য পাওয়া যাবে। কিন্তু রাজ্য সরকারকে নিজেও তৈরি থাকতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নিয়ে তীব্র প্রকাশ করেন মেদিনীপুরের সংসদ সদস্য। দিলীপ বলেন “উপকূলবর্তী এলাকা দিয়ে ১৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বলছে এমন পরিস্থিতিতে দু’ লক্ষ মানুষকে তারা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের পরবর্তী এলাকায় কুড়ি লাখের বেশি মানুষ থাকেন। ঝড় যেভাবে আসছে তাতে ঘরবাড়ি ভেঙে লন্ডভন্ড করে দেবে। এত মানুষ কোথায় যাবেন? যা পরিস্থিতি হয়েছে তাতে তো গঙ্গাসাগর দ্বীপটাই তো তলিয়ে যেতে পারে।”
আমফান ঘূর্ণিঝড়ের দাপট পরবর্তী এলাকা ছাড়াও অন্যান্য জেলাতেও পড়তে পারে সে বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার কি প্রস্তুতি রাখছে তা আমাদের জানা নেই। কিন্তু এতোটুকু বলতে পারি এই ঝড়ে দু কোটি মানুষ প্রভাবিত হতে পারে। মানুষ প্রবাহিত হলে রাজ্য সরকার কিভাবে তার মোকাবিলা করবে তার কোনো প্রস্তুতি নেই।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, “উপকূলবর্তী এলাকা ছাড়াও হুগলি হাওড়া কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা শহর লাগোয়া এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়তে পারে।” তিনি দাবি করেছেন, কম করে সমুদ্র উপকূলবর্তীর ৫০ কিলোমিটার টাকার মধ্যে থাকা বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার বন্দোবস্ত করুক রাজ্য সরকার। সম্পত্তির ক্ষতি হতে যাবে না। কিন্তু জীবনহানি অনেকটাই মুখে দেওয়া যাবে।