সরাসরি সাহায্য নয়! করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে ঋণ দেওয়ার পরিমাণ বাড়াল কেন্দ্র

করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে সাহায্য মিলছে না। বেশ কিছুদিন ধরেই এই অভিযোগ করে আসছিল রাজ্য সরকারগুলি। আর্থিক প্যাকেজের শেষদিনের ঘোষণায় সেদিকেই নজর দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তবে এই পর্যায়েও রাজ্যগুলিকে সরাসরি সাহায্য করছে না কেন্দ্র। বরং বাড়ানো হচ্ছে তাঁদের দেওয়া ঋণের পরিমাণ।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) সরকার রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যেই সাহায্য করা শুরু করেছে। রাজ্যগুলির মতো কেন্দ্রের রাজকোষে টান পড়ছে। সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করেও আমরা সাহায্য করেছি। রাজ্যের প্রাপ্য বাবদ ৪৬ হাজার ৩৮ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। রাজস্ব ঘাটতির ১২ হাজার ৩৯০ কোটি টাকাও আমরা সময়মতো দিয়েছি। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে সময়ের আগে ১১ হাজার ৯২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক আলাদা করে ৪ হাজার ১১৩ কোটি টাকা আলাদা করে বরাদ্দ করেছে।

এদিন রাজ্যগুলির জন্য আরও দুটি বড় ঘোষণা করে অর্থমন্ত্রক। অর্থমন্ত্রী বলেন, রিজার্ভ ব্যাংকের তরফে রাজ্যের জন্য বেতন এবং সামর্থ্য খাতে অগ্রিমের পরিমাণ ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এখন রাজ্যগুলি টানা ৩ সপ্তাহ এই টাকা অভার ড্রাফট করতে পারে। এক ত্রৈমাসিকে অভারড্রাফট করা যাবে ৫০ দিন পর্যন্ত। অন্যদিকে, রাজ্যগুলি জিডিপির (জিএসডিপি) নিরিখে ৩ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারে। সেটা বাড়িয়ে করা হল ৫ শতাংশ। এই তহবিলে সাড়ে ৬ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ধার করতে পারত রাজ্যগুলি। সেই অঙ্কটা আরও ৪ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি বাড়ল। তবে, এই বৃদ্ধি শর্তসাপেক্ষ। নিয়ম অনুযায়ী, জিডিপির যে তহবিল রাজ্যগুলির ঋণের জন্য বরাদ্দ করা হয় তার ৫০ শতাংশ বছরের প্রথমার্ধেই নিতে পারে রাজ্যগুলি। সেটা বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করল কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রীর দাবি, এই খাতে মাত্র ১৪ শতাংশ টাকা ধার নিয়েছে রাজ্যগুলি। তাঁরা আরও ৮৬ শতাংশ ঋণ নিতে পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.