প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা শুনে ও তার প্রত্যুত্তরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া শুনে দুটি ঘটনার কথা মনে পড়ছে l এক, একসময় রাজীব গান্ধী বলেছিলেন, কেন্দ্র 100 টাকা দিলে প্রান্তিক মানুষের কাছে 15 টাকা পৌছায় l দুই, 2000 সালে বিধানসভা ভোটার আগে বন্যা হলে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেছিলেন, Man made flood ‘ l তাঁর মতে ভোটার আগে বাঁধের জল ছেড়ে গ্রামের মানুষকে ত্রাণ দিয়ে অসীম দাশগুপ্ত ভোট কিনেছিলেন l কারণটা ব্যাখ্যা করা যাক l
প্রথমত, আগে যে ত্রাণ বিলি হত, তাতে কেন্দ্র টাকা পাঠাতো রাজ্যে কে, রাজ্য জেলা প্রশাসনকে, সেখান থেকে পঞ্চায়েত l স্থানীয় নেতারা ঠিক করতো কে গরিব l কিন্তু এবার জনধন, কৃষক যোজনা, আধার-প্যান লিংক, উজালা যোজনা, কৃষি যোজনার মাধ্যমে সরকারের কাছে দেশের সব গরিবের তথ্য এসেছে এবং সরকার সেই অনুযায়ী সরাসরি নগদ তাদের ব্যাংকে জমা করছেন l গরিবকে রাজনৈতিক নেতাদের গোলামি করতে হচ্ছে না l বিপর্যয়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো ও লুট বন্ধ l
দ্বিতীয়ত: মমতা ব্যানার্জীর (Mamata Banerjee) বামসুলভ রাজনীতির জন্য এই রাজ্যের গরিব, কৃষক, মহিলারা জনধন, উজালা, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে খাতা খোলেন নি l ফলে সারা দেশের গরিবরা যেখানে সরাসরি টাকা পাচ্ছে, সেখানে এই রাজের গরিব বঞ্চিত হচ্ছে l
তৃতীয়তঃ অর্থমন্ত্রী আজ যা ঘোষণা করলেন, তাতে মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প( MSME ), অবসান শিল্প, বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি, ব্যাংক, নন ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্সকে সরাসরি কেন্দ্র ঋণ, কর ছার, প্রভিডেন্ড ফান্ড বিষয়ে অর্থ সাহায্য করে তাঁদের অক্সিজেন দেবে l এতে তারা তাদের কর্মীদের ধরে রাখবেন l কর্মীরা খরচ শুরু করলে আবার বাজার দাড়িয়ে যাবে l মমতা ব্যানার্জী ও বামপন্থী বুদ্ধিজীবিদের এসব সিলেবাসের বাইরে l ওরা ভেবেছিলেন, কেন্দ্র রাজ্যেকে টাকা দেবেন রেশনে বাটার জন্য l কিন্তু দুর্ভাগ্য…..
চতুর্থত : উনি মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের সংজ্ঞা পাল্টে দিয়েছেন যাতে অধিক সংখ্যায় কোম্পানি ব্যাংকের ও সরকারের সাহায্য পায় l কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তো শিল্পই নেই? আবার ভাঁড়ারে শুন্য l
অসীম দাশগুপ্তের ফর্মুলা খাটাতে পারলেন না মমতা l রাজীব গান্ধীর সেই 100 নিয়ে 15 দেবার আশাও শেষ l অথচ চাষী, MSME, শ্রমিক কর্মচারী, ছোটো ব্যাবসায়ী, মহিলারা সব পেল l তার দিদিমনি বললেন, ‘ শুন্য, মস্ত বড় শুন্য ‘ l কি করা যাবে? এ এক নতুন ভারত l প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছেন, ‘ খাবো না, খেতে দেবো না ‘ l তাবলে এমন বজ্র আঁটুনি?
কৌটিল্য (Kautilya)