১২ মে থেকে চালু হচ্ছে ট্রেন চলাচল। তবে সীমিত। সোমবার বিকেল চারটে থেকে অনলাইনে চিকিট বুকিং চালু হচ্ছে বলে খবর। রবিবার নিজেই ট্যুইট করে একথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। প্রাথমিকভাবে দিনে ১৫ টি করে ট্রেন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট থেকে বুকিং করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। পাওয়া যাবে প্ল্যাটফর্ম টিকিটও।
প্রতিটি স্টেশনের টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকবে। এর আগে, দিল্লি থেকে অসম, বাংলা, বিহার, ছত্তিশগড়, গুজরাত, জম্মু, ঝাড়খন্ড, কর্ণাটক, কেরল, মহারাষ্ট্র, ওডিশা, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা ও ত্রিপুরায় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চলে।ন এবার লকডাউনের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল মন্ত্রক।
রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, নিউ দিল্লি স্টেশন থেকে ডিব্রুগড়, আগরতলা, হাওড়া, পাটনা, বিলাসপুর, রাঁচি, ভুবনেশ্বর, সেকেন্দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, তিরুঅনন্তপুরম, মাডগাঁও, মুম্বই সেন্ট্রাল, আহমেদাবাদ, ও জম্মু তাওয়াই রুটে ট্রেন চলবে। স্পেশাল ট্রেন হিসেবে চালানো হবে এই ট্রেনগুলিকে। এগুলিতে শুধুমাত্র এসি কোচ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। বৈধ টিকিট দেখিয়ে তবেই স্টেশনে ঢুকতে পারবেন যাত্রীরা।
তাদের ফেসমাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। প্রত্যেক যাত্রীর স্ক্রিনিং করা হবে বলে জানানো হয়েছে। গত ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে রেল পরিষেবা। কোনও ধরনের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চালানো হচ্ছে না। কেবলমাত্র মালবাহী ট্রেন চালানো হচ্ছিল। যদিও মে মাসের শুরু থেকে শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে।
এদিকে রবিবার রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে প্রত্যেকদিন ৩০০ টি করে ট্রেন চালানো হবে। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই যাতে শ্রমিকেরা নিজেদের বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তার জন্য রাজ্যগুলিকে সাহায্যের হাত বাড়ানোর কথাও বলেন তিনি।
রবিবার পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩৩৬টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানো হয়েছে আর তাতে ফিরতে পেরেছে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। ২৮৭ টি ট্রেন ইতিমধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছেছে, বাকিগুলি রাস্তায় আছে।