বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্কে একাধিক দেশে শুরু হয়েছে টেস্টিং প্রক্রিয়া। মূলত সংক্রমিত ব্যক্তিদের খোঁজ পেতেই শুরু হয়েছে এই পদ্ধতি যাতে সংক্রামিতদের আলাদা ভাবে আইসোলেট করে আটকানো যায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ।
তবে এই টেস্ট করতে ব্যবহার করা হচ্ছিল চিনা কিট। তা নিয়ে একাধিক দেশ অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে। ভারতের একাধিক বিশেষজ্ঞরাও এই কিটের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। আর সেই কারণেই এবারে ভারতে শুরু হয়েছে র্যাপিড টেস্ট কিট বানানোর প্রক্রিয়া। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন (Dr. Harsh Vardhan)।
তিনি জানিয়েছেন পুনের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজি সাফল্যের সঙ্গে এই প্রথম টেস্ট কিট বানিয়েছেন। এর ফলে করোনা প্রতিরোধে কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নেওয়া যাবে বলে মনে করছেন। তিনি এও জানিয়েছেন ওই কিটগুলিতে সঠিক তথ্য দেওয়ার হার অন্যান্য কিটের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। এই কিট দিয়ে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ৯০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। আর সবগুলিতে সঠিক ফলাফল পাওয়া গিয়েছে।
এছাড়া জানানো হয়েছে যেহেতু ওই কিটগুলির মাত্র আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ৯০ টির কাছাকাছি নমুনা পরীক্ষা করার সুবিধা রয়েছে সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কর্মীদের ক্ষেত্রে এটি যথেষ্ট সুবিধাদায়ক হতে পারে। পাশাপাশি রোগীদের চিকিৎসা শুরুর ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়াও হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan) জানিয়েছেন আইসিএমআর এই এলিসা টেস্টিং কিট তৈরি করার জন্য ইতিমধ্যে অন্য একটি সংস্থার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছে। ইতিমধ্যে চিন থেকে অর্ডার দেওয়া বেশ কিছু টেস্টিং কিটের অর্ডার আই সি এম আরের (ICMR) তরফে বাতিল করা হয়েছে। কারণ একাধিক দেশ ওই কিটগুলির ফলাফল নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।