২০১৪ সালে গেরুয়া ঝড়ে সব দলের রংই নিষ্প্রভ ছিল৷ এর পিছনে মোদী ম্যাজিকের কারণ বারবার তুলে ধরেছিল দল৷ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ৩৩৬টি আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি৷
তবে এবার কড়া টক্কর৷ একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপি বিরোধী জোট, অন্যদিকে একের পর এক রাজ্যের উপনির্বাচনে বিজেপির খারাপ ফল৷ সব মিলিয়ে গেরুয়া শিবিরের পালে হাওয়াটা মোটেও প্রতিকূল ঠেকছে না শাহ-মোদী জুটির কাছে৷ ফলে বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে পদ্মশিবির৷
এরই মাঝে হালকা স্বস্তির খবর শোনাচ্ছে নির্বাচন পূর্ববর্তী সমীক্ষাগুলি৷ এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমের করা সমীক্ষা বলছে বিজেপির ফল ২০১৪ সালের তুলনায় খারাপ হলেও, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাধারণ মানুষ ফের নরেন্দ্র মোদীকেই চাইছেন৷ প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে এখন মোদীর বিকল্প কেউ হয়ে উঠতে পারেননি বলে জানাচ্ছে এই সমীক্ষা৷
সমীক্ষার ফল অনুযায়ী ৪৮ শতাংশ মানুষ বলছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁরা মোদীকেই দেখতে চান৷ তবে ২৯ শতাংশ মানুষের কাছে এই পদের যোগ্য প্রার্থী কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ বাকিরা অবশ্য কোনও মতামত দেননি৷ আগামী বৃহস্পতিবার প্রথম দফার নির্বাচন শুরু দেশ জুড়ে৷ হাই ভোল্টেজ এই যুদ্ধ সব রাজনৈতিক শিবিরের রক্তচাপ বাড়াচ্ছে৷ সমীক্ষা অনুযায়ী এবছর লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ২৭৮টি আসন ধরে রাখতে পারবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট৷
অন্যদিকে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করলেও এবারের লোকসভা নির্বাচনে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না হাত শিবির৷ ইউপিএ জোটের ভাগ্যে শিঁকে ছিঁড়তে পারে ১২৮টি আসনে৷
মনে করা হচ্ছে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক, গরিব কৃষকদের অ্যাকাউন্টে বছরে ছয় হাজার টাকার প্রতিশ্রুতি এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণার ফলেই মোদীর জনপ্রিয়তা বেড়েছে৷ লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি সরকারের এই তিনটি মাস্টারস্ট্রোকের জেরে ফের লোক মুখে ফিরে এসেছে ‘হর হর মোদী’ স্লোগান৷
বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর থেকেই বিভিন্ন প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়তে দেখা গিয়েছে৷ যেমন টাইমস নাও এয়ারস্ট্রাইকের পর এনডিএ শিবির আরও ১৩টি আসন পাবে বলে তাদের সমীক্ষায় জানায়৷ অন্যান্য চ্যানেলের সমীক্ষাতেও কমবেশি এই ছবি ধরা পড়ে৷ ২৬ ফেব্রুয়ারির আগে যারা এনডিএকে ২৭০টি আসন দিয়ে রেখেছিল তারা পরে সেই আসনসংখ্যা বাড়িয়ে ২৮৩টি করে৷ আর ইউপিএর আসন সংখ্যা ১৫২ থেকে কমে ১৩৫ এ নামিয়ে আনা হয়েছে৷