ভয়কে জয় করতে হবে। আর সেই জয়লাভ করার জন্য জয়ের উপরেই ভরসা রাখতে হবে উলুবেড়িয়াকে। প্রচারে বেরিয়ে এই বার্তায় দিচ্ছেন উলুবেড়িয়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছিলেন অভিনেতা, সেখান থেকে অভিনেতা হয়েছেন জয়। গত পাঁচ বছরে লড়েছেন লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে। এবার ফের লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তিনি। সবক্ষেত্রেই গ্রাম থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে দল। যার প্রধান কারণ হচ্ছে, বাংলার গ্রামের মানুষের কাছে ‘গাঁয়ের ছেলে হিরুর’ জনপ্রিয়তা।
প্রথম দু’বার ভোটে হেরে গেলেও রাজনীতির ময়দান ছাড়েননি জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। পায়ে চাকা লাগিয়ে ঘুরেছেন রাজ্যের সব জেলায়। সেই কষ্টের ফলে কেষ্ট মিলেছে, বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হয়েছে তিনি। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পেয়েছেন নিরাপত্তা। কিন্তু ভোটে জেতার স্বাদ এখনও মেলেনি। যা সপ্তদশ লোকসভায় পূরণ করতে মরিয়া জয়।
উলুবেড়িয়া কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে দল। ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ভোটের প্রচারে। আড়াই দশক পরেও গাঁয়ের ছেলে হিরু হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন উলুবেড়িয়ায় গ্রামগুলিতে। খুব সহজভাবে চলে মিশে যাচ্ছেন গামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে। প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছেন নির্দ্বিধায়। এখনও তাঁকে দেখে মহিলারা বলে উঠছেন ‘আই লাভ ইউ’। যা শুনে লজ্জিত জয় বলেছেন, “এখনও আমার ছবি মানুষ মনে রেখে দিয়েছে ভেবে ভাল লাগে।”
এই সব কিছুর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচায়ের জয়ের বড় ভরসা ছড়া। নিজেই ছড়া কেটে বানিয়েছেন স্লোগান। যা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে বলে দাবি করেছেন উলুবেড়িয়ার বিজেপি প্রার্থী। সেই ছড়া হচ্ছে, ‘তোমার জয়, আমার জয়/ উলুবেড়িয়াতে আর নেই ভয়।’ ভোটারদের ভয় কাটাতে জয়কে জয়লাভ করতে হবে। যাত্রা বা সিনেমায় অভিনয় করার কারণে গ্রামের মানুষদের মনের ভাব বুঝতে বেশি সময় লাগে না তাঁর। সেই কারণেই জয়ের হাতিয়ার মজার ছড়া।
কিন্তু উলুবেড়িয়ায় ভয় কিসের? কিসের ভয় দূর করতে চাইছেন জয়? এই বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী বলেছেন, “এখানে তৃণমূলের অপশাসনের ভয় দূর করার কথা বলছি। পঞ্চায়েত বা অন্যান্য নির্বাচনে কি হয়েছে সবাই জানে। আর ধূলাগড়ের কথা নাই বা বললাম।” সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে বিজেপির কোনও বিকল্প নেই বলে দাবি করেছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের চতুর্মুখী লড়াইয়ে চলচ্চিত্র জগতের ব্যক্তিকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। ওই কেন্দ্রে এক সময় কংগ্রেসের বিশেষ প্রভাব ছিল, যেখানে থাবা বসিয়েছে তৃণমূল। বামেদের পুরনো ভোট ব্যাংক আছেই। এই সব বাধা পেরিয়ে ভয় দূর করতে জয় কতটা সফল হবেন তা জানা যাবে ২৩ মে।