বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের জামিনের আবেদনে সুপ্রিম কোর্টে আপত্তি জানাল সিবিআই। মঙ্গলবার লালুর তরফে আইনিজীবী সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচনের কাজের জন্য কিছু দিনের জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির তরফে আদালতে বলা হয়, জেল হাসপাতাল থেকে রাজনৈতিক কাজ পরিচালনা করুন লালু। তাতে কোনও অসুবিধে নেই। কিন্তু কোনও ভাবেই তাঁকে যেন জামিন না দেওয়া হয়।
পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) সুপ্রিমো। আপাতত তাঁর ঠিকানা রাঁচির জেল হাসপাতাল। কিন্তু শিয়রে ভোট। তাই লালু চেয়েছিলেন, কটা দিন জামিন পেলে রাজনৈতিক কাজ পরিচালনা করতে সুবিধে হবে। কিন্তু সিবিআই আপত্তি জানায়। আদালত জানিয়েছে বুধবার ফের লালুর জামিনের আবেদন মামলার শুনানি হবে।
স্বস্তিতে নেই লালু। যাদব কুলেই ঘোর অশান্তি। ছোট ছেলে তেজস্বী যখন দলের হাল ধরেছেন, তখন বড় ছেলে তেজপ্রতাপ তেজ দেখিয়ে আরযেডি-র বিরুদ্ধে হাঁটতে শুরু করেছেন। এমনিতেই ঘরোয়া বিবাদ চরমে লালুর বাড়িতে। তেজপ্রতাপ বউ ছেড়ে অন্যত্র থাকা শুরু করেছেন। তার উপর রাজনৈতিকভাবেও ভাইকে ‘ডিস্টার্ব’ অব্যাহত রেখেছেন লালুর জেষ্ঠ্য পুত্র। তৈরি করেছেন লালু-রাবড়ি মঞ্চ। এ নিয়ে বেজায় চটেছিলেন লালু। বড় ছেলেকে জেলে ডেকে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, এ সব বন্ধ করো। আমার নাম নিয়ে এ সব করা যাবে না।
বিহারের মাটি দখলে বিজেপি অনেক আগেই জোট করে ফেলেছে নীতিশকুমার, রামবিলাস পাসোয়ানদের সঙ্গে। শেষ মুহূর্তে বিরোধী জোটও দানা বেঁধেছে। কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেই ভোট লড়ছে আরজেডি। এমন পরিস্থিতিতে লালু চাইছেন, বাইরে থেকে ভোট পরিচালনা করতে। পর্যবেক্ষকদের মতে, লালু বাইরে থেকে ভোট পরিচালনা করলে তার একটা অন্য প্রভাব পড়তে পারে। আরজেডি-র অভিযোগ, প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই বিজেপি-র নির্দেশে সিবিআই জামিনের আপত্তি জানিয়েছে। গত বছর কয়েক দিনের জন্য জামিন পেয়েছিলেন লালু। সেটা ছোট ছেলের বিয়ের জন্য। এখন দেখার বুধবার শীর্ষ আদালত লালুর জামিন নিয়ে কী রায় দেয়।