‘শিবাজী উৎসব’-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অগণিত কবিতার মধ্যে একটি অতি বিখ্যাত কবিতা যা তিনি ১৯০৪-এর আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ (১১ ভাদ্র ১৩১১ সন) গিরিডিতে লিখেছিলেন এবং সেই কবিতা শিবাজী উৎসব উপলক্ষ্যে পরের মাসে অর্থাৎ আশ্বিন, ১৩১১-তে ভারতী ও বঙ্গদর্শনে প্রকাশিত হয়।
রবীন্দ্রনাথের অসংখ্য কবিতার মধ্যে দেশপ্রেম, ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ ও স্বদেশী আন্দোলনের উষালগ্নে জাতীয়তাবোধ ও ঐক্য উদ্বোধনের প্রেরণাদাত্রীরূপে লিখিত এই কবিতাটি শতবর্ষ পার করেও আমাদের কাছে সমান প্রাসঙ্গিক এবং সত্যনিষ্ঠ বক্তব্যের ঔজ্জ্বল্যে ভাস্বর হয়ে আছে।
স্বদেশী আন্দোলন বাংলা তথা ভারতবর্ষের ইতিহাসে এক অপূর্ব ঘটনা। ১৯০৫ সালের লর্ড কার্জন কলমের খোঁচায় বাংলাদেশকে দুই ভাগে বিভক্ত করেন। ফলে তার বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির মধ্যে যে প্রবল আন্দোলন শুরু হয় ক্রমে তা সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু লর্ড কার্জন বাংলাদেশকে দুই ভাগে ভাগ করেছিলেন বলেই যে স্বদেশী আন্দোলন আরম্ভ হয়েছিল, না হলে হত না—এ কথা মনে করার কোনো কারণ নেই, ইতিহাসও সেরকম সাক্ষ্য দেয় না। দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার তপস্যায় হোমাগ্নির যে সমিধ সঞ্চয় করেছিল, বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে তাই সেদিন পূর্ণবেগে জ্বলে উঠেছিল। বহুকালের জাতীয় অপমান ও নির্যাতনের ফলে জাতির মনে যে রুদ্ধ আবেগ সঞ্চিত হচ্ছিল, বঙ্গভঙ্গের আঘাতে আগ্নেয়গিরির অগ্নসের মতো তাই প্রচণ্ড বেগে বাইরে এসে দেশব্যাপী বিরাট আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে এবং বিংশ শতাব্দীর আরম্ভে স্বামী বিবেকানন্দ দেশপ্রেমের মন্ত্রে জাতিকে নবজীবনের পথে চালিত করেছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্রকে আনন্দমঠের স্বপ্ন দেখেছিলেন, স্বামীজি তাকে সর্বক্ষেত্রে মূর্ত করে তুলবার জন্য সাধনা করেছিলেন। তার সে সাধনায় যে হোমানল তিনি প্রজ্বলিত করেছিলেন, তারই সঞ্জীবনী শক্তি পরবর্তী স্বদেশী আন্দোলনে অশেষ প্রেরণা দিয়েছিল।
ঐ সময়েই (১৯০১) বঙ্কিমচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা নবপর্যায়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পাদনায় পুনঃপ্রকাশিত হয়। এই পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ পূর্ণোদ্যমে তার আত্মশক্তি’-র মূলমন্ত্র প্রচার করতে থাকেন। ভারতের অতীত গৌরব, তার সভ্যতা ও সংস্কৃতির কথা এই ‘বঙ্গদর্শন’–এর মাধ্যমেই প্রবন্ধের পর প্রবন্ধে তিনি প্রকাশ করতে লাগলেন। আর সেই সময়ে অবধারিত ভাবেই বাংলার ভাব ও চিন্তা জগতের নেতৃত্ব প্রধানত রবীন্দ্রনাথই গ্রহণ করেছিলেন।
ওই স্বদেশীযুগের উষাতেই রবীন্দ্রনাথ তার “কথা ও কাহিনী”র প্রসিদ্ধ কবিতাগুলি রচনা করেন। প্রাচীন ভারত এবং আধুনিককালের মারাঠি, রাজপুত ও শিখ ইতিহাসের গৌরবময় স্মৃতি মন্থন করে এই সব কবিতা রচিত হয়েছিল। বাংলার তরুণদের হৃদয়ে স্বদেশের বীর্য ও গৌরব-কাহিনী জাগ্রত করাই ছিল ওইসব কবিতার উদ্দেশ্য।
১৯০৪ সালে ২২ জুলাই কলকাতার মিনার্ভা থিয়েটারে রবীন্দ্রনাথ “স্বদেশী সমাজ” নামে তাঁর বিখ্যাত প্রবন্ধ পাঠ করেন। ওই বক্তব্যে তখনকার শিক্ষিত সমাজ ও রাজনৈতিক মহলে বিশেষ চাঞ্চল্য ও উদ্দীপনার সঞ্চার হয়েছিল। এই “স্বদেশী সমাজ”-এই রবীন্দ্রনাথ তাঁর জাতিগঠনের নিজস্ব পরিকল্পনা সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন। বিলাতের আদর্শে রাজনীতি চর্চার পরিবর্তে বিদেশি শাসন-নিরপেক্ষ স্বদেশী স্বাধীন সমাজ প্রতিষ্ঠার এবং অতি চিত্তাকর্ষক পরিকল্পনা রবীন্দ্রনাথ ওই প্রবন্ধে জনগণের কাছে প্রকাশ করেন। ভারতবর্ষের কৃষ্টি, সভ্যতা, ইতিহাস ও ধর্মীয় ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে দেশ ও জাতিকে সংঘবদ্ধ করে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শাসনতন্ত্র ভিতর থেকে গড়ে তুলতে হবে, এই ছিল তার পরিকল্পনার মূল ভিত্তি। আত্মশক্তির সাধনা ও বিকাশ এবং অবশ্যম্ভাবী স্বাধীনতা অর্জন এই ছিল তাঁর লক্ষ্য। রবীন্দ্রনাথের ওই সুদীর্ঘ বক্তৃতা পুস্তিকারে প্রকাশিত এবং হাজার হাজার কপি প্রচারিত হয়েছিল।
এই রকম স্বদেশ প্রেমের উদ্বেলিত প্রেক্ষাপটে ১৯০৪ সালেই আরেকটি স্মরণীয় ঘটনা কলকাতার “শিবাজী উৎসব” অনুষ্ঠান। ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়, বিপিনচন্দ্র পাল প্রভৃতি নব জাতীয়তাবাদীদের উদ্যোগে এই শিবাজী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। মহারাষ্ট্রের লোকমান্য বালগঙ্গাধর তিলক এই উৎসবে যোগ দিতে পুণা থেকে কলকাতায় আসেন। এই শিবাজী উৎসবের একটি প্রধান অঙ্গ ছিল শক্তিরূপিণী মা ভবানীর পূজা। ছত্রপতি শিবাজী মোগলের দাসত্বমুক্ত যে স্বাধীন ভারতের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তারই আদর্শ জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য এই শিবাজী উৎসবের পরিকল্পনা হয়েছিল।
প্রায় সহস্র বছরের বিভিন্ন আগ্রাসী বিদেশি মুসলিম শাসনের পরাধীনতা ও আত্মবিস্মৃতির অতল গহ্বর থেকে হিন্দু জাতি তথা ভারতবর্ষকে আবার স্বাধীনতার আলো দেখাতে ও আত্মশক্তির পুনস্থাপনে উদ্বোধিত করতে যে বীর আবির্ভূত হলেন তিনি হিন্দুকুল গৌরব ছত্রপতি শিবাজী (জন্ম : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৬৩০; মৃত্যু ঃ ৬ এপ্রিল, ১৬৮০)। হাজার বছর ধরে ক্রমাগত মুসলিম শাসকদের নানাবিধ অত্যাচার ও যুদ্ধ বিগ্রহের ফলে যে দেশ খণ্ড, ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত, সেই অবক্ষয়ী প্রেক্ষপটে শিবাজীর ভাবনা ‘এক ধর্মরাজ্য পাশে খণ্ড ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ভারত বেঁধে দিব আমি’—সারাদেশে তথা হিন্দু মানসে এক নবচেতনা সঞ্চারিত করেছিল। শিবাজীর প্রখর বৃদ্ধি, বিপুল পরাক্রম ও দুর্মর প্রতিজ্ঞা “এক ধর্মরাজ্য হবে এ ভারতে” সমগ্র সুপ্ত জাতিকে উদ্বেলিত করেছিল, অনুপ্রাণিত করেছিল স্বজাত্যভিমানে। তাই তাঁর রাজ্যাভিষেকের দিনটিকে (জ্যৈষ্ঠ শুক্ল ত্রয়োদশী, ৬ জুন, ১৬৭৪) জাতীয়তাবোধের উদ্বোধনের দিন হিসাবে, বিদেশি বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষের জনগণের মধ্যে দেশপ্রেম ও আত্মশক্তির পুনরুত্থানের দিন হিসাবে পালন করার জন্য লোকমান্যতিলক সমগ্র দেশবাসীকে আহ্বান জানলেন পালিত হল “শিবাজী উৎসব”।
বলাবাহুল্য, জাতীয় জীবনে যে নূতন শক্তি সংঘবদ্ধ হয়ে উঠছিল, স্বাধীনতা লাভের যে আকাঙ্খ জাতির হৃদয়ে প্রেরণা যোগাচ্ছিল, “শিবাজী উৎসব” তারই বহিঃপ্রকাশ। এই উৎসব উপলক্ষ্যে কলকাতা টাউন হলে যে বিরাট সভা হয়, লোকমান্য বালগঙ্গাধর তিলক সেই সভায় পৌরহিত্য করেন এবং রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিখ্যাত কবিতা “শিবাজী উৎসব” পাঠ করে জাতীয় জীবনে নূতন অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন। শিবাজীর আদর্শই যে স্বাধীনতাকামী ভারতবাসীকে গ্রহণ করতে হবে, এই কবিতায় স্পষ্টভাবেই কবি তা ব্যক্ত করেছেন।
“স্বদেশী সমাজ” প্রবন্ধে যে নেতৃত্ব ও আদর্শের পরিকল্পনা রবীন্দ্রনাথ করেছেন। তারই মূর্তরূপ তিনি যেন ছত্রপতি শিবাজীর মধ্যে প্রত্যক্ষ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ স্বদেশকে একটি ব্যক্তির মধ্যে উপলব্ধি করতে চেয়েছিলেন, যিনি আমাদের সমস্ত সমাজের প্রতিমাস্বরূপ হবেন, যাঁকে অবলম্বন করেই আমরা আমাদের বৃহৎ স্বদেশীয় সমাজকে ভক্তি করব, সেবা করব, তাঁর সঙ্গে যোগ সাধনেই সমাজে প্রত্যেক ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের যোগ রক্ষা হবে।…..তিনি বলেছেন, একটি ব্যক্তিকে আশ্রয় করে আমাদের সমাজকে এক জায়গায় আপন হৃদয়স্থাপন, আপন ঐক্যপ্রতিষ্ঠা করতেই হবে, নাহলে শৈথিল্য ও বিনাশের হাত হতে আত্মরক্ষার কোনো উপায় দেখি না। প্রবন্ধে ব্যক্ত এই উপলব্ধিই যেন কবি প্রত্যক্ষ করেছেন ছত্রপতি শিবাজীর মধ্যে। তাই “শিবাজী উৎসব” কবিতার ছত্রে ছত্রে ঝরে পড়ে রবীন্দ্রনাথের স্বীকারোক্তি
“…মৃত্যুসিংহাসনে আজি বসিয়াছ অমরমূরতি
সমুন্নত ভালে
যে রাজকিরীট শোভে লুকাবে না তার দিব্যজ্যোতি
কভু কোনোকালে।
তোমারে চিনেছি আজি, চিনেছি চিনেছি হে রাজন,
তুমি মহারাজ।
তব রাজকর লয়ে আট কোটি বঙ্গের নন্দন
দাঁড়াইবে আজ।
সেদিন শুনি নি কথা আজ মোরা তোমার আদেশ
শির পাতি লব।
কণ্ঠে কণ্ঠে বক্ষে বক্ষে ভারতে মিলিবে সর্বদেশ
ধ্যানমন্ত্রে তব।
ধ্বজা বারি উড়াইব বৈরাগীর উত্তরীবসন—
দারিদ্রে বল।
‘একধর্মরাজ্য হবে এ ভারতে’ এমহাবচন
কবির সম্বল।…….”
পুণার প্রত্যন্ত পার্বত্য প্রদেশের মাওয়ালিদের সমর কৌশল শিক্ষা দিয়ে তাদের উন্নত যোদ্ধায় পরিণত করেন শিবাজী, এবং ছোট ছোট সেনাদল তৈরি করে বিপক্ষের বড় সেনা দলকে আক্রমণ করার কৌশলে বিজাপুর সুলতান কিংবা মুঘল বাদশার সৈন্যদলকে বারবার পর্যদস্ত করেন তিনি। অসংখ্য গেরিলা যুদ্ধে সফলতার ফসল হিসাবে বহু গুরুত্বপূর্ণ দুর্গম ও অজেয় গিরিদুর্গ শিবাজী দখল করেন এবং ক্রমে দক্ষিণ ভারতে একটি স্বাধীন হিন্দু সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। রায়গড় দুর্গে তাঁর রাজ্যভিষেকের দিনটি হিন্দু সমাজের কাছে একটি শুভদিন। কারণ তা পরাধীন মুঘল ভারতবর্ষে হিন্দু জনমানসে স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিয়েছিল, মুসলমান শাসনের নাগপাশ থেকে ভারতবর্ষের আপামর হিন্দুর মুক্তির দিন ঘোষিত হয়েছিল। ফিরে এসেছিল স্বাভিমান—তাই সেই দিনটি ভারতবর্ষের ইতিহাসে ‘হিন্দু সাম্রাজ্যে দিবস’ রূপে প্রতিষ্ঠিত। বৃদ্ধির ও শক্তির খেলায় হিন্দুপাদ পাদশাহী ছত্রপতি শিবাজীর কাছে মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব বারবার পর্যুদস্ত হয়েছেন। ছত্রপতি শিবাজীর জীবন ও কর্ম পদ্ধতি, তাঁর ব্যক্তি নির্মাণের আদর্শ তাকে কুশলী রাষ্ট্রনেতার মর্যাদা দিয়েছে।
আশ্চর্যের বিষয় এই যে, বিদেশি শাসনের বিরুদ্ধে ও স্বাধীনতার লক্ষ্যে ছত্রপতি শিবাজীর শৌর্য ও পরাক্রম, দেশ-ধর্ম রক্ষার জন্য নিরলস সংগ্রাম এবং উচ্চত্যাগের আদর্শে আধারিত তার রাজ্য শাসন যেকোনো কারণেই তোক পূর্ব ভারতে সেইভাবে উপযুক্ত খ্যাতি বা সমাদর পায়নি। তাই রবীন্দ্রনাথ তাঁর “শিবাজী উৎসব” কবিতার মাধ্যমেই রাজা শিবাজীর সেই খ্যাতি বা সমাদর না পাওয়ার কথা অকপটে স্বীকার করে স্বাধীনতা সংগ্রামী এই মৃত্যুঞ্জয়ী বীরকে যথাযোগ্য শ্রদ্ধা, সম্মান ও তার সুমহান আদর্শের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেছেন। ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকেই রবীন্দ্রনাথ উপলব্ধি করেছিলেন তিনশো বছর পার হয়ে গেলেও
“মরে না, মরে না কভু সত্য যাহা শত শতাব্দীর
বিস্তারিত তলে
নাহি মরে উপেক্ষায়, অপমানে না হয় অস্থির,
আঘাতে না টলে।…”
তাই তিনি শিবাজীকে উদ্দেশ্য করে বলতে পারেন—
“..তিন শত বৎসরের গাঢ়তম তমিস্র বিদারি
প্রতাপ তোমার
এ প্রাচীদিগন্তে আজি নবতর কী রশ্মি প্রসারি
উদিল আবার….”
“স্বদেশী সমাজ” প্রবন্ধের সেই আকাঙ্খিত ব্যক্তি যাকে অবলম্বন করে সমগ্র সমাজ তথা ভারতবাসী ক্রমে ঐক্যবদ্ধ হবে আসবে নূতন প্রাণ নূতন প্রভাত তাকে যেন কবি অকস্মাৎ খুঁজে পান সেই মারাঠা বীর তপস্বী ছত্রপতি শিবাজীর মধ্যে। তাই অনুভবী কবি বলেন
….একথা ভাবে নি কেহ এ তিন শতাব্দ কাল ধরি—
জানে নি স্বপনে
তোমার মহৎ নাম বঙ্গ-মারাঠারে এক করি
দিবে বিনা রণে,
তোমার তপস্যাতেজ দীর্ঘকাল করি অন্তর্ধান
আজি অকস্মাৎ
মৃত্যুহীন বাণী-রূপে আনি দিবে নূতন পরান
নূতন প্রভাত। …”
দেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে আত্মনিবেদিত শিবাজীর শৌর্য, বিক্রম ও তার ত্যাগের আদর্শে অনুপ্রাণিত বিশ্বকবির কণ্ঠে ধ্বনিত হয় সমগ্র বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান যা আজকের দিনেও সমান প্রাসঙ্গিক ।
“…মারাঠির সাথে আজি, হে বাঙালি, এক কণ্ঠে বলো
‘জয়তু শিবাজী।
মারাঠির সাথে আজি, হে বাঙালি , একসঙ্গে চলো
মহোৎসবে সাজি।
আজি এক সভাতলে ভারতের পশ্চিম–পুরব
দক্ষিণে ও বামে
একত্রে করুক ভোগ একসাথে একটি গৌরব
এক পুণ্য নামে।”
তথ্যসূত্র :
(১) জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ—শ্রী প্রফুল্লকুমার সরকার, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা-৯।
(২) আমার দেখা রবীন্দ্রনাথ ও তার শান্তিনিকেতন—শ্রী প্রমোদারঞ্জন ঘোষ, মনীষা গ্রন্থালয় প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা-৭৩।
(৩) হিন্দু-সাম্রাজ্য দিবস ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে—ডাঃ শিবাজী ভট্টাচার্য্য, সদ্য সমাচার, ২৩বর্ষ, ৩য় সংখ্যা, কলকাতা-৬।
(৪) রবীন্দ্র রচনাবলীর বিভিন্ন খণ্ড।
ডাঃ শিবাজী ভট্টাচার্য
(লেখক চিন্তাবিদ ও প্রাবন্ধিক)