সব কথা এখন বলা কঠিন।
মনে নেই ।
ঐ যে আমার দেশের বাড়ির নদীটা।
ওটা পেরিয়ে চলে যেতাম মায়াপুরে, একদিন ।
ঘাটে নেমে চষা মাঠের মধ্যে দিয়ে,
এর-ওর ক্ষেত থেকে মটর, ছোলা তুলে
খেতে খেতে ।
তখন সবে তো সেভেনে ।
দাদার সাইকেলটা চালাই
মানুষটা তাঁতঘরে থাকলে,
তাও জোর মহানির্বান মঠ পর্যন্ত ।
তার বাইরে গেলে
যদি কেউ দেখে ফেলে
বিপদ অনিবার্য ।
তখন গৌড়ীয় মঠে গেলে প্রসাদ পেতাম ।
কোনদিন একটু খিঁচুড়ি – লাবড়া
কোনদিন লুচি – সুজি ।
পয়সা লাগত না ।
পয়সা তখন কোথায়?
বাবা প্রায়ই মেটাতে পারত না
সন্তোষকাকার দোকানের ধার ।
স্কুলে নাম কাটা যেত প্রতি মাসেই ।
সেখানে এই সেদিন গিয়েছিলাম,
ছেলের এসি গাড়িতে ।
কোথায় কী ?
সেই মটর – ছোলার ক্ষেত ,
দেখলাম না কোথাও ।
প্রসাদ যা খেলাম অর্থের বিনিময়ে ।
মন্দিরের প্রনামীর বাক্সটাও
দেখলাম দারুণ চকচকে ।
দিলীপ কুমার দাস