কবিতা: এখন-তখন

সব কথা এখন বলা কঠিন।

মনে নেই ।

ঐ যে আমার দেশের বাড়ির নদীটা।

ওটা পেরিয়ে চলে যেতাম মায়াপুরে, একদিন ।

ঘাটে নেমে চষা মাঠের মধ্যে দিয়ে, 

এর-ওর ক্ষেত থেকে মটর, ছোলা তুলে

খেতে খেতে ।

তখন সবে তো সেভেনে ।

দাদার সাইকেলটা চালাই

মানুষটা তাঁতঘরে থাকলে, 

তাও জোর মহানির্বান মঠ পর্যন্ত ।

তার বাইরে গেলে

যদি কেউ দেখে ফেলে

বিপদ অনিবার্য ।

তখন গৌড়ীয় মঠে গেলে প্রসাদ পেতাম ।

কোনদিন একটু খিঁচুড়ি – লাবড়া

কোনদিন লুচি – সুজি ।

পয়সা লাগত না ।

পয়সা তখন কোথায়?

বাবা প্রায়ই মেটাতে পারত না

সন্তোষকাকার দোকানের ধার ।

স্কুলে নাম কাটা যেত প্রতি মাসেই ।

সেখানে এই সেদিন গিয়েছিলাম,

ছেলের এসি গাড়িতে ।

কোথায় কী ? 

সেই মটর – ছোলার ক্ষেত , 

দেখলাম না কোথাও ।

প্রসাদ যা খেলাম অর্থের বিনিময়ে ।

মন্দিরের প্রনামীর বাক্সটাও

দেখলাম দারুণ চকচকে ।

দিলীপ কুমার দাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.