পুনরাবর্তনশীল ইতিহাসের পাতা পিছন দিকে ওল্টাতে ওল্টাতে এসে গেল ১৯০৫ সাল। সারা বাংলা তথা ভারতবর্ষের কালপঞ্জিতে এক স্মরণীয় সময়। এক দুর্মর আন্দোলন রোষে ফেটে পড়ছে শহর থেকে গ্রাম, রাজপথ থেকে রাজদ্বারে, স্কুল-কলেজ থেকে সভাসমিতি সর্বত্র। চলছে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন, জনকল্লোলে মুহুর্মুহু ধ্বনিত হচ্ছে ব্রিটিশবিরোধী অঙ্গীকার।
তারই মাঝে ওই বছরের ১৬ অক্টোবর (৩০ আশ্বিন) যেদিন বঙ্গভঙ্গ কার্যকরী হল সেদিন সারাদিন ধরে আপামর জনগণের সঙ্গে রাখিবন্ধন উৎসব পালন করে ‘ফেডারেশন হল’ গ্রাউন্ডের বিরাট সভায় যে মানুষটি জলদ্গম্ভীর স্বরে জনসাধারণকে জাতীয় সঙ্কল্পবাক্য পাঠ করাচ্ছিলেন তিনি তো আমাদের অতি কাছের মানুষ, যাঁর অস্তিত্ব আমাদের হৃদয়ে চির ভাস্বর! তিনি স্বদেশী আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ, তিনি রবীন্দ্রনাথ।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের আদেশের পর স্বদেশী আন্দোলন আরম্ভ হয়। তবে সেই আন্দোলন হঠাৎ শুরু হয়েছিল সে কথা বলা যায় না। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষপাদে রবীন্দ্রনাথ যখন নবীন যুবক তখন বাংলায় বঙ্কিমচন্দ্রের যুগ। বঙ্কিমচন্দ্র কেবল সাহিত্যসম্রাট নন, তৎকালীন বাংলার চিন্তা ও ভাব জগতের একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন তিনিই। সাহিত্যের মাধ্যমে তিনি যে প্রবল ভাবের বন্যা বইয়েছিলেন, তার তরঙ্গের আঘাতে রাষ্ট্র, সমাজ, ধর্ম সর্বত্র জাতির সামনে নতুন দ্বার খুলে গিয়েছিল। তাঁর জাতীয় আদর্শের মূল ভিত্তি ছিল আত্মশক্তির সাধনা ও ভিক্ষা নীতি বর্জন। জননী জন্মভূমি তাঁর কাছে কেবল আকাশ, জল, মাটি ও জনসমষ্টি মাত্র ছিল না, তিনি তাতে জীবন্ত দেবী রূপই প্রত্যক্ষ করেছিলেন। বন্দেমাতরম্ সঙ্গীতে মায়ের এই জীবন্ত রূপই ধ্যান করা হয়েছে। তাঁর স্বদেশ প্রেম ছিল ভক্তিরই নামান্তর। সর্বস্ব ত্যাগ—এই স্বদেশ প্রেমের সাধনায় সিদ্ধি লাভের উপায়। ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার মাধ্যমেই বঙ্কিমচন্দ্র প্রথমে স্বদেশ যজ্ঞের হোমানল প্রজ্জ্বলিত করেছিলেন। এই মহাযজ্ঞে তাঁকে সহায়তা করার জন্য যাঁরা তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁরা সকলেই ছিলেন এক একজন দিক্পাল শক্তিমান পুরুষ। দীনবন্ধু মিত্র, কবি হেমচন্দ্র, নবীনচন্দ্র, রমেশচন্দ্র দত্ত, অক্ষয় চন্দ্র সরকার, যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ, রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, রজনীকান্ত গুপ্ত, রামদাস সেন, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী প্রভৃতি স্বনামধন্য কবি, মনীষী ও সাহিত্যিকরা বঙ্কিমচন্দ্রের অনুসারী ছিলেন। স্বদেশপ্রেমের অনির্বাণ অগ্নি তাঁদের হৃদয়ে প্রজ্জ্বলিত হয়েছিল, যা তাঁরা চারিদিকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।
সিপাহী যুদ্ধের (১৮৫৭) পর দেশে যে একটা নতুন ভাবের সঞ্চার হয়েছিল, বাংলাদেশের কবি ও সাহিত্যিকদের মনেই তা সর্বপ্রথম প্রতিধ্বনি তুলেছিল। মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কাব্য ‘মেঘনাদ বধ’ কেবল মিত্রাক্ষর ছন্দের শৃঙ্খলা ভেঙ্গেই বিদ্রোহের পরিচয় দেয়নি, ঐ কাব্যের ছত্রে ছত্রে স্বাধীনতার জন্য দুর্দমনীয় আকাঙ্ক্ষা অন্তঃসলিলা ফল্গুর মতো প্রবাহিত হয়েছে। ওই সময়েই কবি রঙ্গলাল তাঁর ‘পদ্মিনী’ কাব্যে তূর্যধ্বনি করেছেন—
“স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় রে, কে বাঁচিতে চায়,
দাসত্ব শৃঙ্খল বল কে পরিবে পায় রে, কে পরিবে পায়।
…
দিনেকের স্বাধীনতা স্বর্গসুখ তায় রে, স্বর্গসুখ তায়।”
দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটক এই সময়েই বিদেশী অত্যাচারের বিরুদ্ধে তীব্র ভাবে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
এইরূপ যুগসন্ধিক্ষণেই ১৮৬১ সালে রবীন্দ্রনাথ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর জীবন স্মৃতিতে বলেছেন, তিনি যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, সে পরিবারে আগের থেকেই স্বদেশী ও জাতীয় ভাব প্রবল ছিল। তাঁর বাবা ও দাদারা–মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ প্রমুখ বিশ্রুতকীর্তি মনীষীদের দানে জাতীয় জীবনের নানা দিক পুষ্ট হয়েছে। বিশেষত, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ প্রবর্তিত তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা যে স্বদেশী ভাব প্রচারে যথেষ্ট সাহায্য করেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
রবীন্দ্রনাথের ছোট বেলায় ‘হিন্দু মেলা’র সৃষ্টি হয়। কংগ্রেসের জন্মের ১৮ বছর আগে ১৮৬৭ সালে হিন্দু মেলা’র সূচনা। জাতীয় ভাবের বক্তৃতা, দেশাত্মবোধক সঙ্গীত প্রভৃতির মাধ্যমে এই হিন্দু মেলায় দেশবাসীর হৃদয়ে দেশপ্রেম জাগ্রত করা ও দেশসেবায় আত্মনিবেদনে উদ্বুদ্ধ করা হত। স্বদেশী শিল্পের পুনরুদ্ধারের আয়োজনও এই মেলাতেই সর্বপ্রথম হয়েছিল। হিন্দু মেলার উদ্যোক্তারা অখণ্ড ভারত ও এক ভারতীয় মহাজাতি গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কেবল বাংলা ও বাঙালীর কথাই ভাবেননি। এর আগে ভারতবর্ষের কোনও প্রদেশে কেউ অখণ্ড ভারত ও ভারতীয় মহাজাতির কথা বলেননি। পরবর্তীকালে ‘ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন’ (১৮৭৬) ও ‘কংগ্রেস’ (১৮৮৫) যে হিন্দু মেলার কাছ থেকেই এই ভাব গ্রহণ করেছিল তাতে সন্দেহ নেই। হিন্দুমেলার কর্ণধাররাও বঙ্কিমচন্দ্র ও তাঁর অনুগামীদের মতোই আত্মশক্তির বলেই দেশের স্বাধীনতা লাভ করতে চেয়েছিলেন, আবেদন নিবেদনের পথে নয়।
কিশোর বয়সেই রবীন্দ্রনাথ অগ্রজদের সঙ্গে হিন্দু মেলায় যান। ১৮৭৪ সালে চোদ্দ বছর বয়সী রবীন্দ্রনাথের কবিতা ‘হিন্দু মেলার উপহার’ পঠিত হয়। ১৮৭৭ সালে হিন্দু মেলায় তিনি আরেকটি জাতীয় ভাবোদ্দীপক কবিতা পাঠ করেন, যার সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘জীবন স্মৃতি’তে। ঐ সময়েই জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বৃদ্ধ রাজনারায়ণ বসুর নেতৃত্বে যে ‘স্বাদেশিক সভা’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কিশোর রবীন্দ্রনাথ তারও সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তৎকালীন বাংলার জাতীয়তাবাদীদের স্বাধীনতার স্বপ্ন রাজনারায়ণ বসুর লেখায় ব্যক্ত হয়েছিল—“আমি দেখিতেছি আমার সম্মুখে মহাবলপরাক্রান্ত হিন্দু জাতি নিদ্রা হইতে উখিত হইয়া বীরকুণ্ডল পুনরায় স্পন্দন করিতেছে এবং দেববিক্রমে উন্নতির পথে ধাবিত হইতে প্রবৃত্ত হইতেছে। আমি দেখিতেছি যে, এই জাতি পুনরায় নবযৌবনান্বিত হইয়া পুনরায় জ্ঞান, ধর্ম ও সভ্যতাতে উজ্জ্বল হইয়া পৃথিবীকে সুশোভিত করিতেছে। হিন্দু জাতির কীর্তি, হিন্দু জাতির গরিমা পৃথিবীময় পুনরায় বিস্তারিত হইতেছে।” মনীষী রাজনারায়ণের স্বপ্ন কিশোর রবীন্দ্রনাথের মনে স্বাধীনতার বীজ বুনেছিল। যখন এইভাবে স্বদেশী ভাব ও দেশাত্মবোধক উদ্দীপনা বাংলার আকাশ-বাতাস ও মাটিকে দেশ মাতৃকার শৃঙ্খলমোচনের আকুলতায় অনুরণিত করে তুলেছিল ঠিক সেই যুগ সন্ধিক্ষণে কিশোর রবীন্দ্রনাথের জীবনে ক্রমশঃ স্বাদেশিকতা ও তীব্র দেশভক্তি মুকুলিত হয়ে উঠল। কবি রবীন্দ্রনাথ পূর্বসূরী বাংলা সাহিত্যিকদের কাছ থেকেই আত্মশক্তির সাধনার ধারা লাভ করেছিলেন। এই বিষয়ে তিনি ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্রেরই যোগ্য শিষ্য। বঙ্কিমচন্দ্র সাহিত্য শিষ্য হিসাবে তরুণ রবীন্দ্রনাথের গলায় নিজের মালা পরিয়ে দিয়েছিলেন। দিয়েছিলেন ‘আত্মশক্তি সাধনা’র দীক্ষা। ১৮৯৩ সালে কলকাতায় (চৈতন্য লাইব্রেরীতে) এক জনসভায় রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিখ্যাত প্রবন্ধ ‘ইংরেজ ও ভারতবাসী’ পাঠ করেন, যে সভার সভাপতি ছিলেন স্বয়ং বঙ্কিমচন্দ্র। ওই সময়ে স্ব-সম্পাদিত ‘সাধনা’ পত্রে রবীন্দ্রনাথের বহু সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রবন্ধ, দেশাত্মবোধক কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়। ওই সমস্ত লেখারই মূল নীতি ছিল, আত্মশক্তির দ্বারাই জাতিকে অগ্রসর হতে হবে—‘ভিক্ষায়াং নৈব নৈব চ‘। তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘এবার ফিরাও মোরে’ এই ‘সাধনা’তেই প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি বলেছেন—
“কী গাহিবে, কী শুনাবে! বলো, মিথ্যা আপনার সুখ,
মিথ্যা আপনার দুঃখ। স্বার্থমগ্ন যে জন বিমুখ
বৃহৎ জগৎ হতে সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে।”
বস্তুত ‘সাধনা’কে রবীন্দ্রনাথের যৌবনের স্বদেশ সাধনার যুগও বলা যায়।
ওই সময়ে রবীন্দ্রনাথ কংগ্রেস ও বঙ্গীয় প্রাদেশিক কনফারেন্সের কয়েকটি অধিবেশনে যোগ দিয়ে তাঁর বক্তব্যে ও কর্মে সর্বদা ‘আবেদন-নিবেদনের নীতি‘র প্রতি ঘৃণা ও আত্মশক্তির সাধনার উপর জোর দিতেন। ১৮৯৬ সালে কলকাতার কংগ্রেস অধিবেশনে বাল গঙ্গাধর তিলকের উপস্থিতিতে রবীন্দ্রনাথ বঙ্কিমচন্দ্রের বিখ্যাত ‘বন্দেমাতরম্’ সঙ্গীতে সুরারোপ করে গান করেন। সেই থেকে রবীন্দ্রনাথ প্রদত্ত সুরেই বন্দেমাতরম্ গীত হচ্ছে। যা আমাদের স্বাধীন দেশের জাতীয় স্তোত্র। ১৮৯৭ সালে নাটোরে এবং ১৮৯৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় প্রাদেশিক কনফারেন্সেও তিনি যোগ দেন।
১৮৯৮ সালেই রাজদ্রোহের অভিযোগে লোকমান্য বালগঙ্গাধর তিলকের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ওই সরকারি আচরণের তীব্র সমালোচনা করে প্রবন্ধ লেখেন এবং গ্রেপ্তারী মকদ্দমার ব্যয় চালাবার অর্থ সংগ্রহে সাহায্য করেন। রাজদ্রোহ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য কলকাতা টাউন হলে যে বিরাট সভা হয়, রবীন্দ্রনাথ সেই সভায় তাঁর বিখ্যাত প্রবন্ধ ‘কণ্ঠরোধ’ পাঠ করেন।
এরপর বিংশ শতাব্দীর সূচনায় বিভিন্ন স্বদেশব্রতী মনীষীদের অবদানে জনকল্লোলে জোয়ার আসার পালা। ১৯০০-১৯০৫ পরবর্তী স্বদেশী তথা স্বাধীনতা আন্দোলনের ঊষা কাল। বিবেকানন্দ, ভগিনী নিবেদিতা, বিপিনচন্দ্র পাল, আচার্য সতীশ চন্দ্র পাল, বিজ্ঞানী রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী, ব্রহ্মবান্ধর উপাধ্যায় প্রমুখ মনীষীদের বিপুল অবদানে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এই সময় কঠিন থেকে কঠিনতর রূপ পরিগ্রহের দিকে এগিয়ে চলে। আর এই কর্মকাণ্ডে অন্যতম প্রধান কাণ্ডারীর ভূমিকা নেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ওই সময়ে অসংখ্য ঘটনা প্রবাহের মধ্যে ১৯০৪ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘স্বদেশী সমাজ’ প্রবন্ধ প্রকাশ করে সেইমত পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন, যা পরবর্তী কালে স্বদেশী আন্দোলনের উপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছিল। অসহযোগ আন্দোলনের উপরও এর প্রভাব অনস্বীকার্য।
১৯০৪ সালের আরেকটি স্মরণীয় ঘটনা কলকাতার ‘শিবাজী উৎসব’। ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়, বিপিনচন্দ্র পাল প্রভৃতির উদ্যোগে এই উৎসব পালিত হয়। এই শিবাজী উৎসবের এক প্রধান অঙ্গ ছিল শক্তিরূপিণী ভবানীর পূজা। ছত্রপতি শিবাজী মোগলের দাসত্বমুক্ত যে স্বাধীন ভারতের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তারই আদর্শ জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য এই শিবাজী উৎসবের পরিকল্পনা হয়েছিল। মহারাষ্ট্রর নেতা লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলক সে উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ পাঠ করেছিলেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘শিবাজী উৎসব’। শিবাজীর আদর্শই যে স্বাধীনতাকামী ভারতকে গ্রহণ করতে হবে, এই কবিতায় কবি তা স্পষ্ট ভাবে ব্যক্ত করেন।
এইভাবে রবীন্দ্রনাথ ওই স্বদেশী যুগের ঊষায় জাতির ভাব ও চিন্তা পরিচালনার কাজে প্রধান দায়িত্ব গ্রহণ করে স্বদেশবাসীকে বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধ আন্দোলন অত শক্তি লাভ করেছিল, কাঁপিয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশ রাজশক্তিকে। তাই মহাবিপ্লবী রবীন্দ্রনাথকে প্রণাম জানাই তাঁর জন্মদিনে।
ডা. শিবাজী ভট্টাচার্য (Dr. Shivaji Bhattacharya)