হিজবুল মুজাহিদ্দিনের (Hizbul Mujahideen) শীর্ষ কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকুর (Riyaz Naikoo) মৃত্যুর পর অবন্তিপোরায় সেনার উপর ব্যাপক হারে পাথরবাজি করা হয়। শুধু তাই নয়, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সেনার গাড়ি ঘিরে সেনার উপর হামলা চালায়। খবর পাওয়ার পর সেনার বরিষ্ঠ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আর পরিস্থিতি কাবু করার চেষ্টা চালায়। সুরক্ষার কারণে দুপুর থেকেই গোটা এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
পুলওয়ামা জেলার বেগপুরায় জঙ্গিদের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলা এনকাউন্টারের পর হিজবুল মুজাহিদ্দিনের টপ কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকুকে খতম করা হয়। বেগপুরায় হিজবুল কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকুর লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে সেনা সেখানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল।
রিয়াজ নাইকু বর্তমানে উপত্যকার সবথেকে কুখ্যাত জঙ্গি ছিল। এনকাউন্তারে সবজার ভট এর মৃত্যুর পর রিয়াজই কাশ্মীরে জঙ্গি গতিবিধির দায়িত্ব নেয়। ডিসেম্বর ২০১২ সালে রিয়াজ হিজবুলে যোগ দেয়। আর মাত্র পাঁচ বছরেই সে হিজবুলের প্রধান হয়ে যায়। এক জঙ্গির জানাজায় যুক্ত হওয়ার পর সে সার্বজনীন রুপে পাকিস্তানকে সমর্থন করার ঘোষণা করে।
২০১৬ সাল থেকেই নাইকু সুরক্ষা এজেন্সি গুলোর র্যাডারে ছিল। হিজবুলের পোস্টার বয় বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে নাইকু সক্রিয় ভাবে জঙ্গি গতিবিধি চালানো শুরু করে। নাইকুর মাথার দাম ১২ লক্ষ টাকা রেখেছিল সরকার।
সেনার এনকাউন্টারে সবজার ভটের মৃত্যুর পর সে কাশ্মীরে হিজবুল মুজাহিদ্দিনের প্রধানের দায়িত্ব পায়। নাইকুকে গোটা কাশ্মীরই হিজবুল কম্যান্ডার হিসেবে মানত। সুরক্ষা এজেন্সি গুলো এর আগেও নাইকুকে বেশ কয়েকবার ঘিরে ফেলেছিল, কিন্তু বারবার সে পালাতে সক্ষম হয়ে যেত।