আরোগ্য সেতু অ্যাপ (Aryogya Setu App) আসলে সরকারের তথ্য চুরির হাতিয়ার এই অভিযোগ আগেই করেছিলেন রাহুর গাঁধী (Rahul Gandhi)। এবার এই অ্যাপ বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদ জানাতে শুরু করলেন বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা। ইতিমধ্যেই এই অ্যাপটি ৯ কোটি ব্যবহারকারী ডাউনলোড করেছেন। কিন্তু এখন বিভিন্ন বেসরকারি আইটি সংস্থা যেমন ডেল, ইনটেল, ক্যানডন, সিসকো-র কর্মীদের বক্তব্য এই অ্যাপটিকে বাধ্যতামূলক করা যাবে না। সংস্থার কর্ণধারদের মতে তাঁরা তাঁদের কোম্পানিকে সচল রাখার জন্য অত্যন্ত উৎসাহী এবং আগ্রহী। কিন্তু তার জন্য এর কোনও প্রয়োজন নেই।
যদিও অ্যাপটি আগেই বলেছে যে সাধারণ মানুষের দেওয়া তথ্য তাঁরা গোপন রাখবেন কিন্তু এই আশ্বাসে আশ্বস্ত নন অনেকেই। তাঁরা করোনাত্তর অবস্থায় এই তথ্য ব্যবহারের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সাইবার সিকিউরিটি কনসালটেন্সি সংস্থা ডিফেনসিভ ল্যাব এজেন্সির মতে এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের পরিচয়, তাঁদের গতিবিধির ওপর নজরদারি করে যাবে। তিনি কখন কার সংস্পর্শে আসছেন কোথায় যাচ্ছেন সবই জানা যাবে অ্যাপের মাধ্যমে। এর ফলে ব্যবহারকারীর সামাজিক গ্রাফ পাওয়া যাবে সহজেই। যা কখনই কাম্য নয়।