বিজেপির পক্ষ থেকে আজ লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণাপত্র প্রকাশিত করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা থেকে কৃষি, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সহ বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উন্নতির কথা বলা হয়েছে এতে। ২০২২ সালে দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে পঁচাত্তর দফা কর্মসুচির কথা আছে ঘোষণাপত্রে।
কৃষির উন্নতির লক্ষ্যে দ্রুত মুলধন ফেরতের শর্ত সাপেক্ষে ১লাখ টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণে কোনো রকম সুদ দিতে হবেনা বলে বলা হয় ঘোষণাপত্রটিতে। ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকের আয়কে দ্বিগুণ করা সহ ৬০ বছরের বেশী বয়স্ক ক্ষুদ্র ও প্রান্তীক চাষীদের জন্য পেনশন ব্যবস্থার ফ্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চায়ী যোজনার কাজ সম্পুর্ন করার পাশাপাশি সেচের আওতায় কৃষি জমির পরিমান বৃদ্ধি সহ সব ঋতুতে গ্রামে যোগাযোগের সুব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।
মৎসজীবীদের উন্নতির জন্য মৎস সম্পদ যোজনার অধীনে মাছের সংরক্ষন ও অন্যান্য পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।
সড়ক নির্মানে ভারতমালা প্রোজেক্টের ফেজ:১ দ্রুততার সাথে শেষ করার কথা বলা হয়েছে।
রেলের ক্ষেত্রে ২০২২ সালের মধ্যে পন্যপরিবাহী ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোর প্রকল্প সম্পূর্ণ করার সাথে সমস্ত রেলপথ বৈদ্যুতায়ন ও ব্রড গেজে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
প্রত্যেক নাগরীকের কাছে শুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছানোর পাশাপাশি, ১০০% বিদ্যুতায়ন সহ সবার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও প্রতি ঘরে শৌচালয়ের নিশ্চিত করার ঘোষনা আছে ঘোষণাপত্রে।
‘গগনায়ন’ এর অন্তর্গত হিসাবে ভারতীয় মহাকাশযানে করে একজন ভারতীয়কে মহাকাশে পৌঁছানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
দেশের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর শহরগুলিতে নলবাহীত জ্বালানী গ্যাস পাঠানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীন দেড় লাখ স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা কেন্দ্র গড়ার সঙ্গে ৭৫টি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মেডিকেল কলেজ খোলার কথা বলা হয়েছে। শিশুদের সম্পূর্ন টীকাকরনের আওতায় আনা হবে বলে ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে।
উপজাতি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে নির্মিত ছয়টি সংগ্রহশালার কাজ সম্পূর্ন করা হবে বলে বলা হয়েছে।
বিচার বিভাগের আধুনীকিকরনের জন্য সমস্ত কোর্টগুলির ডিজিটাইজেশন করা হবে।
ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি থেকে আসা নিপীড়িত হিন্দু,বৌদ্ধ,জৈন ও শিখ দের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে নতুন নাগরিকত্ব বিলের আওতায়।
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সুরক্ষিত ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি বলা হয়েছে সংবিধানের ধারা ৩৫এ ও ৩৭০ জম্মু কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেয় আর এই ধারা ৩৫এ রাজ্যের উন্নতিতে বাধা দিচ্ছে সহ এর বিলুপ্তির কথা ঘোষণাপত্রে বলা আছে।
দেশের প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়কে অগ্রগতির লক্ষ্যে অঙ্গীকার করে নির্বাচনের ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে “মেইন ইন ইন্ডিয়া” উদ্যোগের নতুন সংযোজন হিসেবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া ইন ডিফেন্স’ আসতে চলেছে। এর কর্মসুচি হিসাবে এ কে -০৩(অটোমেটিক ক্যালাসনিকভ) স্বয়ংক্রিয় রাইফেলস উৎপাদন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হবে। ভারতীয় নিরাপত্তা ও সশস্ত্র বাহিনীকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বিজেপি সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করছে। উপকূলবর্তি সুরক্ষার বিষয়ে জোর দেওয়ার সাথে আগামী পাঁচ বছরে নকশালপন্থীদের নিশ্চিহ্ন করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এক কথায় বিজেপির ঘোষণাপত্রটি এই সময়ে দলের জয়সূচক প্রতিশ্রুতিগুলির সংকলন।