২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানো অসম্ভব! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও পরিষেবা দিতে নারাজ মালিক সংগঠন

লকডাউনে (Lockdown) গ্রিন জোনে বাস চালানোর অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সরকার অনুমতি দিলে কী হবে, পরিষেবা দিতে এখনই রাজি নয় বাসমালিক সংগঠনগুলি! কী দাবি তাদের?
মূলত রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে, গ্রিন জোনগুলিতে মাত্র ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানো যেতে পারে। আর সেখানেই কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন বাস মালিকরা
প্রশ্ন ১. যদি মাত্র ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানো হয়, তাহলে জ্বালানির খরচ উঠবে কীভাবে?
প্রশ্ন ২. জ্বালানির খরচ বাদ দিলেও, যদি ওই ২০ জন যাত্রীর মধ্যেই কারোর করোনা পজিটিভ হয়ে থাকে, তাহলে বাকি যাত্রী ও বাস কর্মীদের দায়িত্ব কে নেবে?
প্রশ্ন ৩. বাস শ্রমিকরা, যাঁরা রাস্তায় বেরোবেন এই পরিস্থিতিতে, তাঁরা যে বিপদে পড়বেন না কে বলতে পারে!
প্রশ্ন ৪. লকডাউনের আগে একেবারেই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যেখানে বাসশিল্প ক্ষতির মুখ দেখছিল, সেখানে দাঁড়িয়ে এই পরিস্থিতিতে কীভাবে বাস চালিয়ে মুনাফা পাবেন মালিকরা?
স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্নগুলির উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত বাস চালাতে নারাজ বাস মালিক সংগঠনগুলি। তাঁদের দাবি, একটি বাসে দৈনিক ইএমআই ১২০০ টাকা থেকে ১৭০০ টাকা দিতে হয়, সঙ্গে আরও অনান্য খরচ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা বাস চালিয়ে আরও ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। যেখানে রেলের মতো গণপরিবহণ বন্ধ, সেখানে ২০ জন যাত্রী নিয়ে কীভাবে বাস চালাবেন তাঁরা?
বাসমালিক সংগঠনগুলি ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) এই মর্মে চিঠি দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গ্রিন জোনগুলিতে আদৌ বাস চলবে কিনা, তা প্রশ্নের মুখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.