ভারতে তাবলীগ জামাতের কাজকর্মে ব্যাপক বিদেশি অর্থের যোগানের খোঁজ পেলো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ED)। প্রতি বছর বিদেশ থেকে প্রচুর অর্থের যোগান আসছে ভারতে ইসলামিক কাজকর্ম চালানোর জন্য। ইতিমধ্যেই তদন্তকারী দল ১৪ জন ব্যক্তির খোঁজ পেয়েছে, যারা বিদেশি অর্থের যোগানের সঙ্গে যুক্ত। এরা প্রত্যেকেই বিদেশে থাকে এবং সেখান থেকেই তাবলীগ জামাতকে অর্থ জুগিয়ে আসছে।
ED, আয়কর দপ্তর এবং দিল্লী পুলিসের বিশেষ দল তাবলীগ জামাতের বিদেশি অর্থের যোগানের বিষয়টি তদন্ত করছে। তাঁরা ইতিমধ্যে তাবলীগ জামাত প্রধান মৌলানা সাদ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের ব্যাংক একাউন্ট-এর তথ্য খতিয়ে দেখছে। তাতেই কিছু সন্দেহজনক লেনদেন নজরে এসেছে তদন্তকারীদের। সূত্রের পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিদেশের বিভিন্ন দেশ থেকে টাকা জমা পড়েছে মৌলানা সাদ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাংক একাউন্টে। তারপর সেই টাকা ২৪ ঘন্টার মধ্যে অন্যান্যদের একাউন্টে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়েছে। এইভাবে চেষ্টা করা হয়েছে যাতে অবৈধ লেনদেনকে ঘিরে কোনো সন্দেহ না তৈরি হয়। এর ফলে আয়কর দপ্তরকেও ফাঁকি দিয়েছেন তাবলীগ জামাত প্রধান মৌলানা সাদ।
ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা আব্দুল আলীম (Abdul Alim) নামে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছেন, যিনি তাবলীগ জামাতের অর্থনৈতিক বিষয়টি দেখাশোনা করেন। এবিষয়ে তদন্তে উঠে এসেছে হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশি অর্থ এসেছে তাবলীগ জামাতের কাছে। তবে সরাসরি মৌলানা সাদ সে টাকা নেননি। নূর নামে এক হাওয়ালা কারবারীর মাধ্যমে বিদেশি অর্থ এসেছে আব্দুল আলীমের কাছে। তারপরেই সেই টাকা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা তাবলীগ জামাত সদস্যদের একাউন্টে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও তদন্তে উঠে এসেছে যে বিদেশি অর্থ তাবলীগ জামাতের মাথারা বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন এবং তার থেকে আসা লাভের টাকা দিয়ে চালানো হচ্ছে তাবলীগ জামাতের কাজকর্ম।