বিশ্বজুড়ে মহামারী। যার আঁচ এসে পৌঁছেছে ভারতেও(india)। যদিও মারণ করোনার হাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে লম্বা লকডাউনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। টলমল আর্থিক অবস্থা। বর্তমানে পরিস্থিতি খারাপ হলেও আগামিদিনে ভারতই হয়ে উঠতে পারে সুপার পাওয়ার। আর ভারত যাতে বিশ্ব অর্থনীতির সুপার পাওয়ারে পরিণত হতে পারে সে কথা মাথায় রেখে এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। গত কয়েকদিন আগে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য ও রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে শুধুমাত্র গুটিকয়েক দেশের উপরে নির্ভর করে থাকলে আর চলবে না। বিশ্বজোড়া করোনা মহামারি জেরে সমস্ত দেশ আজ এই সত্য উপলব্ধি করতে পেরেছে।’ ইতিমধ্যে বিদেশি লিগ্নিকারীদের ভারতের মাটিতে আরও বিনিয়োগ করতে নয়া নীতি প্রণয়ন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনার কারণে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্বের অর্থনীতি। যার প্রভাব পড়েছে ভারতেও। অধিকাংশ শিল্পক্ষেত্রের উৎপাদন কার্যত বন্ধ। লকডাউন প্রত্যাহারের পরে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারে সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে সুস্পষ্ট আভাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিল্পমন্ত্রী।
শুধু তাই নয়, প্রবল চাপের মুখে রয়েছে দেশের শিল্পক্ষেত্রগুলিও। তাঁদের কথা ভেবে ইতিমধ্যে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই বিষয়টি বিস্তারিভাবে জানানো হয় বণিক সংগঠনকে। পাশাপাশি লকডাউনের জেরে সমস্যা নিয়ে প্রতিটি শিল্প ধরে ধরে প্রতিনিধিদের বক্তব্য শোনেন কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী। যদিও এখনই কারখানা খোলার বিষয়ে গোয়েল বলেন, এই বিষয়ে জেলাশাসকরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে, রেল মন্ত্রকের কাছে শিল্প সংস্থাগুলির বড় অংকের টাকা প্রাপ্য আছে। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর আগে স্বাগত ভাষণে লকডাউনের মধ্যে কয়লা এবং জ্বালানির মূল্যের ওঠানামা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারত চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট রমেশ কুমার সারাওগি। একইসঙ্গে দেশজুড়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিদেশে বরাত রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।