আগামী ৩ মে, রবিবার শেষ হচ্ছে বর্ধিত লকডাউনের মেয়াদ। তার আগে ১ মে, শুক্রবার ‘রেড জোন‘, ‘অরেঞ্জ জোন‘ এবং ‘গ্রিন জোন‘-এর সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। নতুন তালিকায় দিল্লির (Delhi) সমস্ত জেলাই ‘রেড জোন‘-এর অন্তর্ভুক্ত। যদিও দেশের সমস্ত তুলনায় সর্বাধিক ‘রেড জোন‘ জেলা মহারাষ্ট্রেই।
পশ্চিমবঙ্গে রেড জোন জেলার সংখ্যা এক লাফে হয়ে গেল ১০। আগের চারটি জেলার সঙ্গে যোগ হল আরও ছ’টি জেলা। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব প্রতিটি রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন সংশোধিত রেড-অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোনের তালিকা। সেই তালিকা অনুযায়ী রাজ্যের ১০টি জেলা রেড জোন ভুক্ত, ৫টি অরেঞ্জ এবং ৮টি গ্রিন জোন ভুক্ত।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব প্রীতি সুদানের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে কেন্দ্র সংক্রমণের হার, কতদিনে সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে, কতজন ব্যক্তি সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসছেন, তা পর্যালোচনা করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আগেই কেন্দ্রীয় সরকার কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুরকে রেড জোন হিসাবে ঘোষণা করেছিল। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পশ্চিম মেদিনীপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, মালদহ জেলাও। অরেঞ্জ জোনের মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই বর্ধমান এবং হুগলি। বাকি আট জেলা গ্রিন জোনের অন্তর্ভুক্ত।
১. দিল্লির সমস্ত জেলাই ‘রেড জোন‘, যদিও দেশের সমস্ত রাজ্যের তুলনায় সর্বাধিক ‘রেড জোন’ জেলা মহারাষ্ট্রেই।
২. কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নতুন বিন্যাস অনুযায়ী, বিগত ২১ দিনের মধ্যে কোনও জেলায় যদি একটিও করোনাভাইরাসের সন্ধান না পাওয়া যায়, সেই সমস্ত জেলাই ‘গ্রিন জোন’-এর অন্তর্ভুক্ত।
৩. ৩ মে-র পরবর্তী সপ্তাহের জন্য নতুন তালিকা অনুযায়ী-‘রেড জোন‘ ১৩০টি জেলা, ২৮৪টি জেলা ‘অরেঞ্জ জোন’ এবং ৩১৯টি জেলা ‘গ্রিন জোন’।
৪. দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু এবং আহমেদাবাদ প্রভৃতি জেলা ‘রেড জোন‘-এর অন্তর্ভুক্ত।
৫. মহারাষ্ট্রে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে, দেশের মধ্যে শীর্ষে, মহারাষ্ট্রের ১৪টি জেলা ‘রেড জোন’-এর অন্তর্ভুক্ত।
৬. রেড জোন : দিল্লিতে ১১টি জেলা, তামিলনাড়ুতে ১২টি জেলা, উত্তর প্রদেশে ১৯টি জেলা, পশ্চিমবঙ্গে ১০টি জেলা, গুজরাট এবং মধ্যপ্রদেশে ৯টি করে জেলা এবং রাজস্থানের ৮টি জেলা ‘রেড জোন’-এর অন্তর্ভুক্ত।
৭. অরেঞ্জ জোন : বিহারের ২০টি জেলা, উত্তর প্রদেশের ৩৬টি জেলা, তামিলনাড়ুর ২৪টি জেলা, রাজস্থানের ১৯টি জেলা, পঞ্জাবের ১৫টি জেলা, মধ্যপ্রদেশের ১৯টি জেলা এবং মহারাষ্ট্রের ১৬টি জেলা ‘অরেঞ্জ জোন’-এর অন্তর্ভুক্ত।
৮. গ্রিন জোন : দেশের মধ্যে সর্বাধিক গ্রিন জোন অসমে, সেখানকার ৩০টি জেলা গ্রিন জোন। এছাড়াও ছত্তিশগড়ের ২৫টি জেলা, অরুণাচল প্রদেশের ২৫টি জেলা, মধ্যপ্রদেশের ২৪টি জেলা, ওড়িশার ২১টি জেলা, উত্তর প্রদেশের ২০টি জেলা এবং উত্তরাখণ্ডের ১০টি জেলা ‘গ্রিন জোন’।
৯. দিল্লির ১১টি জেলায় ‘রেড জোন’। গুরুগ্রাম অরেঞ্জ জোনে, ফরিদাবাদ রেড জোনে। উত্তর প্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগর, লখনউ, কানপুর, আগ্রা, সাহারানপুর, মেরঠ, রায়বরেলি, আলীগড় রেড জোন। গাজিয়াবাদ, হাপুর, বাঘপত, শামলি, প্রয়াগরাজ অরেঞ্জ জোন।
প্রীতি সুদান চিঠিতে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্য সচিবকে জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে এই জোন ভাগ করে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সংক্রমণের হারকে বা দ্বিগুণ হওয়ার হারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই মুহুর্তে গোটা দেশে রোগমুক্ত হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ায়, আরও বৃহত্তর আঙ্গিক বিচার করে এই জোন ভেদ করা হচ্ছে।