মেয়াদ বৃদ্ধির পর ভারতে (India) লকডাউন শেষ হতে আর মাত্র দু’দিন বাকি। ৩ মে শেষ হচ্ছে বর্ধিত লকডাউনের মেয়াদ। কিন্তু, মারণ কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপদ্রব ঠেকানোই যাচ্ছে না। ভারতে কোভিড-১৯ (Covid-19) ভাইরাসে ফের বাড়ল আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। শুক্রবার সকাল আটটার মধ্যেই ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় ৩৫ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল। ইতিমধ্যেই ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১১৪৭ জনের। করোনাকে পরাজিত করে ভারতে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮,৮৮৯ জন। বিগত ২৪ ঘন্টায় ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৯৯৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫,০৪৩ জন (সক্রিয় করোনা রোগী ২৫,০০৭)। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৪৭। এর মধ্যেই চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮,৮৮৯ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, ১১৪৭ জনের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে, অসমে একজনের, বিহারে দু’জনের, দিল্লিতে ৫৯ জনের, গুজরাটে ২১৪ জনের, হরিয়ানায় ৩ জনের, হিমাচল প্রদেশে একজনের, জম্মু-কাশ্মীরে ৮ জনের, ঝাড়খণ্ডে ৩ জনের, কর্ণাটকে ২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন, কেরলে ৪ জন, মধ্যপ্রদেশে ১৩৭ জন, মহারাষ্ট্রে ৪৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, মেঘালয়ে একজন, ওডিশায় একজনের, পঞ্জাবে ১৯ জন, রাজস্থানে ৫৮ জনের, তামিলনাড়ুতে ২৭ জন, তেলেঙ্গানায় ২৬ জন, উত্তর প্রদেশে ৩৯ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের নিরিখে সর্বাগ্রে মহারাষ্ট্রই। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১০,৪৯৮, দিল্লিতে ৩,৫১৫, তামিলনাড়ুতে ২৩২৩, অন্ধ্রপ্রদেশে ১৪০৪ জন, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৩৩ জন, অরুণাচল প্রদেশে একজন, অসমে ৪২ জন, বিহারে ৪১৮ জন, চন্ডীগড়ে ৫৬ জন, ছত্তিশগড়ে ৪০ জন, গোয়ায় ৭ জন (প্রত্যেককেই সুস্থ), গুজরাটে ৪,৩৯৫ জন, হরিয়ানায় ৩১৩ জন, হিমাচল প্রদেশে ৪০ জন, জম্মু-কাশ্মীরে ৬১৪ জন, ঝাড়খণ্ডে ১০৯ জন, কেরলে ৪৯৭, কর্ণাটকে সংক্রমিত ৫৬৫ জন, লাদাখে ২২ জন, মধ্যপ্রদেশে ২৬৬০ জন, মণিপুরে দু’জন (উইয়েই সুস্থ), মেঘালয় ১২ জন, মিজোরামে একজন, ওডিশায় ১৪২ জন, পুদুচেরিতে ৮ জন, পঞ্জাবে ৩৫৭ জন, রাজস্থানে ২৫৮৪ জন, তেলেঙ্গানায় ১০৩৮ জন, ত্রিপুরায় দু’জন, উত্তরাখণ্ডে ৫৭ জন, উত্তর প্রদেশে ২২০৩ এবং পশ্চিমবঙ্গে ৭৯৫ জন।