• একদিন পার্বতী ভগবান শিবকে জিজ্ঞাসা করলে, আপনি গলায় এতগুলো মুণ্ডধারী মালা কেন পরেন? শিব তখন জবাব দিলেন, তুমি যতবার জন্ম নাও, আমি ততবার একটি করে মুণ্ড এই মালায় যোগকরি। তখন পার্বতী বললেন, আপনি তো অমর। এবার তাহলে আমাকে আপনি অমরত্ব লাভের গল্পটা বলুন।
• শিব গল্প বলতে রাজি হলেন না। পার্বতী বারবার শিবকে অনুরোধ করতে লাগলেন। তখন শিব বললেন, ‘অমর কথা’র শুনেই তিনি অমর। আর এই কথা যে শুনবে, সে অমর হবে। পার্বতী তাও শুনতে চাইলেন। শিব বললেন, এ গল্প কেউ জানে না। এমনকী সব দেবতাও না। কেবল তিন শ্রেষ্ট দেবতা এই গল্প জানেন।
• পার্বতী তাও বারবার গল্প শুনতে চেয়ে অনুরোধ করায় শিব ঠিক করলেন এক গোপন স্থানে এই গল্প বলবেন। তখনই অমরনাথের গুহা নির্বাচন করা হল।
• যাওয়ার পথে পহেলগাঁওয়ে নন্দী ও ষাঁড়টিকে ছেড়ে গেলেন, চন্দওয়ারিতে রাখলেন মাথার চন্দ্র ও জটা। পুত্র গণেশকে রেখে গেলেন পঞ্জতরণিতে। পঞ্চভূতকে ছাড়লেন আর সব ত্যাগ করার প্রতীক হিসাবে তাণ্ডব নৃত্য প্রদর্শন করলেন। সব শেষে পার্বতীকে নিয়ে শিব প্রবেশ করলে অমরনাথ গুহায়।
• গুহায় প্রবেশ করে হরিণের চামড়ার বস্ত্র পরে মহেশ্বর গল্প বলতে শুরু করলেন। কিন্তু দীর্ঘ যাত্রাপথের ক্লান্তিতে পার্বতী ঘুমিয়ে পড়লেন। সেই সময়ে গুহায় ছিল দুটি পায়রা। তাঁরা মহেশ্বরের থেকে অমর কথা শুনতে লাগল ও মুখ থেকে শব্দ করতে লাগল। শিব ভাবলেন পার্বতী শুনছেন।
• পুরো গল্প শেষ করার পর মহাদেব লক্ষ্য করলেন পার্বতী নিদ্রারত। তখন ভাবলেন, কে মুখ থেকে শব্দ করছে তবে? খুঁজে পেলেন পায়রা দুটিকে। তাদের হত্যা করতে উদ্যত হলেন। কিন্তু পায়রারা বললো, আমাদের হত্যা করলে গল্পের অর্থ মিথ্যা হয়ে যাবে।
• মহাদেব বুঝতে পেরে পায়রাদের আশীর্বাদ করলেন। এবং তাঁদের মুক্ত করে দিলেন। সেই থেকে এই পায়রা দুটি অমর। তাঁরা সবসময় এই গুহায় আসে।