প্যাকেটে ভরে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া নয়, বাসিন্দারা বাজার করলেন নিজেদের ইচ্ছে মতো। ব্যাগ ভর্তি করলেন বিনা পয়সায়।
গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকারি উদ্যোগে চাল পাচ্ছে অনেকেই। কিন্তু কাজ হারিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় ডাল, তেল সবজি কেনার ক্ষমতা হারিয়েছেন সাধারণ মানুষ। লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়ে ঘরে বসে তাঁরা। উপার্জন নেই। তাই সাধকে বেঁধে রেখে আধ পেটা খেয়ে দিন চালাচ্ছেন অনেক নিম্নবিত্ত পরিবার। অনেক সংগঠন চাল ডাল তেল দিচ্ছে। তেমনই প্রয়োজনীয় সামগ্রীর পসরা সাজাল পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) মেমারির (Memory) পাল্লা রোডের (Palla Road) পল্লীমঙ্গল সমিতির সদস্যরা। এ পসরা বিনা পয়সার।
বিনা পয়সার হাট বসল বর্ধমানের চাঁদসোনা এলাকায়। প্যাকেটে ভরে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া নয়, বাসিন্দারা বাজার করলেন নিজেদের ইচ্ছে মতো। ব্যাগ ভর্তি করলেন বিনা পয়সায়। দরিদ্র বাসিন্দাদের পছন্দ মতন খাদ্য সামগ্রী বেছে নেওয়ার সুযোগ করে দিল পাল্লা রোডের পল্লীমঙ্গল সমিতির সদস্যরা। এদিন প্রায় দুশো পরিবার এদিন তাঁদের পছন্দ মতন খাবার নিয়ে গেলেন বিনা পয়সার হাট থেকে। সমস্ত রকম নিয়ম মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মানুষ এদিন হাটে অংশ নেন।
এলাকার বাসিন্দারা এই উদ্যোগে খুশি। তাঁরা বলছেন, অনেকেই এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাশে দাঁড়াচ্ছেন। চাল, ডাল, আলু দিচ্ছেন। তাদের এই উপকার ভোলার নয়। আবার পল্লীমঙ্গল সমিতির এই উদ্যোগও ভোলার নয়। যাঁর যা অভাব তিনি তা পেলেন। আরও কয়েকদিন ক্ষিধে মেটানোর রসদ মিলল। এলাকার কাজ হারানো দরিদ্র বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে তৃপ্ত পল্লীমঙ্গল সমিতির সদস্যরা।