কোলে বিস্কুট। এই নামটির সাথে বর্তমান বাঙ্গালীর পরিচয় না থাকলেও, একসময় তার সাথে ওতপ্রোত পরিচয় ছিল। প্রায় এমন কোন পরিব্বার ছিলোনা তখন যাঁরা চায়ের সাথে কোলে বিস্কুট পছন্দ করতেন না। প্রধান দুটি কারণ তার – দাম সাধ্যের মধ্যে, স্বাদেও অতুলনীয়। এককালের কংগ্রেসী (Congressman) নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী জগন্নাথ কোলের (Shri Jagannath Kole) এই ব্যবসার দাপটে বহুজাতিক কোম্পানির বিস্কুট বাজার দখল করতে পারেনি। স্বয়ং মহানায়ক উত্তমকুমারও এই একটিমাত্র বিস্কুটের বিজ্ঞাপনেই কাজ করেছিলেন। কিন্তু এরও ঝাঁপ বন্ধ হল ১৯৮০ সালের ১৭ই অক্টোবর, দুর্গা পূজার সময়, লকআউট ঘোষণা হল। বহু টানাপোড়েন হল, প্রতি মে দিবসে মুঠ করে শপথ নেওয়া শ্রমিকের মনে আশা জাগে যে এই বুঝি কারখানা খুলবে। তার আধপেটা সংসারের অবস্থা ক্রমশ সিকিপেটাতে এসে ঠেকেছে। ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক কোলে বিস্কুট শ্রমিক-কর্মচারী সমিতির বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার আবেদন মঞ্জুর হয় হাইকোর্টে , ২১শে এপ্রিল, ১৯৯৫ সালে। ১৯৯৭ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী জ্যোতি বসু কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করেন কিন্তু তার কয়েকদিনের মধ্যেই জিসিজিএসএ (Greater Calcutta Gas Supply Authority), পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি সংস্থা, কোলে বিস্কুটকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় যার দরুণ কোম্পানীর ব্যবসায়িক উৎপাদন প্রথমে ব্যাহত ও শেষাবধি বন্ধ হয়ে যায়। আর তালা খোলেনি। বাঙ্গালীর শ্রম – পুঁজি – শ্রমিকের অপমৃত্যু ঘটে।

একসময়ের সুবিখ্যাত মোহিনী মিলের অবস্থাও তথৈবচ। ১৯০৮ সালে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আদ্যন্ত স্বদেশী শ্রী মোহিনীমোহন চক্রবর্তী কুষ্টিয়া মোহিনী মিলস এন্ড কোম্পানী লিমিটেড নামক একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। আর একটি ইউনিট স্থাপন করেন (বর্তমান) উত্তর চব্বিশ পরগণার অবস্থিত বেলঘরিয়া অঞ্চলে। মূলত পেশাগত দক্ষতা ও ব্যবসায়িক নৈপুণ্যের দরুন সমগ্র এশিয়ায় মোহিনী মিল শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। কিন্তু ৬০-এর দশকের জঙ্গী বামপন্থী আন্দোলনের দৌলতে ঘনিয়ে আসে তার কাল। ৭০ র দশকের শুরুতে নকশালবাড়ি আন্দোলনের প্রমত্ততার দরুণ মিল বন্ধ থাকে বেশ কিছুদিন ও ক্রমশঃ তা আপন বাজার হারিয়ে ফেলে।

২০০৩ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তদানীন্তন বামফ্রন্ট সরকার হস্তক্ষেপ করেন, সমস্ত মিল চত্বরে নোটিশ দেওয়া হয় যে রাজ্য সরকার মোহিনী মিলকে অধিগ্রহণ করেছেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই; ক্ষণিকের জন্য আশান্বিত কর্মচারীরা ফের হতাশায় ডুবে যান কারণ সরকার মিলের পুনরুজ্জীবনের জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন না। আজ মোহিনী মিল একটি খণ্ডহরে পরিণত হয়েছে। এবং উপরিউক্ত দুটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানই নয়, অসংখ্য। বামপন্থীদের সৌজন্যে পশ্চিমবঙ্গে মে দিবস পালনের কলেরব ৩৪ বছরে বৃদ্ধি পেলেও পাল্লা দিয়ে বন্ধ হয়েছে কারখানা, শ্রমিকের ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করে।

১৯৪৭ এ স্বাধীনতা প্রাপ্তির পরের ১০/১৫ বছর পশ্চিমবঙ্গকে ভারতের শিল্পে সবচেয়ে অগ্রসর রাজ্য হিসেবে মনে করা হত। ১৯৬৩ সালে সমগ্র ভারতের রেজিস্টার্ড শিল্পদ্বারা আয়ের ২৩.১% র উৎস ছিল পশ্চিমবঙ্গ। ১৯৫৯ সালে এই অংশ ছিল ২২.২% । ‘৬৩ র পর থেকে প্রথমে ধীর গতিতে, পরে দ্রুতভাবে অংশটি কমতে থাকে। ৭০ র দশকের মধ্যভাগে তা ১০.২৪% থাকলেও ১৯৮৭-৮৮ সালে তা ৭.২% হয়। বর্তমানে তা ৭.৯% এ ঘোরাফেরা করছে।

অবশ্যই বামফ্রন্ট আমলে বন্ধ হওয়া কারখানা এবং যা বর্তমান তৃণমূল আমলেও একই স্থানে পরে আছে তার বেদনা কে অনুভব করতে গেছে!! পাঠকের সুবিধার্থে বন্ধ হয়ে যাওয়া অথচ এক সময়ের অত্যন্ত প্রতিষ্ঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামগুলি স্মরণ করা প্রয়োজন।
ন্যাশনাল ট্যানারী, ইস্টার্ন পেপার মিল, ডানবর কটন মিল, বেঙ্গল ল্যাম্প, সুলেখা, উষা, বাসন্তী কটন মিল, বঙ্গোদয় কটন মিল, বেণী লিমিটেড, জয় ইঞ্জিনিয়ারিং সহ অসংখ্য একদা লাভজনক শিল্পপ্রতিষ্ঠান আজ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সমর্থিত ও অসমর্থিত সূত্র অনুযায়ী, সমগ্র বাংলায় প্রায় ৫৮,০০০ কল-কারখানা বন্ধ তবুও প্রথামতো পশ্চিমবঙ্গকে দেশের মধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের শ্রেষ্ঠ গন্তব্যস্থলে পরিণত করার শপথ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে হয় না কোন কিছুই। পড়ে থাকে শুধু হাস্যকর প্রতিশ্রুতি।

অ্যালুমুনিয়াম ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি – লকআউট ১৯৯৮৫ সালে; ইস্টার্ন পেপার মিল – বন্ধ ১৯৮ সালে; সিদ্ধার্থ অ্যাপারেল – বন্ধ ২০০২ সালে। কলকাতার পূর্বপ্রান্তে বেলেঘাটার দক্ষিণ থেকে ট্যাংরা, তিলজলা, তপসিয়া – টায়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া -একসময়ে কাজ করতেন ৪, ৫০০ শ্রমিক। বেঙ্গল পটারী – কাজ করতেন ৪, ৯০০ জন। ভারত ব্রেকস এন্ড ভাল্বস। স্মিথ স্ট্যানিস্টিট – ৯৯০০ জন শ্রমিক কাজ করতেন। ইলেক্ট্ৰিলা ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির বেলেঘাটা ডিভিশনে নিযুক্ত ছিলেন ১, ৮০০ কর্মচারী। সায়েন্টিফিক ইন্ডিয়ান গ্লাস কোম্পানি।
বারাকপুর ট্রাঙ্ক রড ধরে হাঁটলে কামারহাটি, পানিহাটি, খড়দা পুরসভার বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে ছিল এক সুবৃহৎ শিল্পাঞ্চল। মূলত, পূর্ব পাকিস্তান থাকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তু মানুষদে এক অতি নির্ভরযোগ্য কর্মস্থল ছিল। ১৯৮৫ থেকে পরের দশ বছরের মধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। বেলঘরিয়া, কামারহাটি, পানিহাটি, সোদপুর, আগড়পাড়া, খড়দহ এলাকার যুব সমাজের অতি চঞ্চল কর্মক্ষেত্র ছিল বাসন্তী কটন মিল, মোহিনী মিল, বঙ্গোদয় কটন মিল, সোদপুরে কটন মিল, বেণী ইঞ্জিনারিং, দীপ্তি হ্যারিকেন ল্যাম্প ফ্যাক্টরি। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিহার ও উত্তপ্রদেশের মানুষজন কাজ করতেন স্থানীয় চটকল, রোলিং মিল, কাগজকলে।

দমদম-লেকটাউন-পাতিপুকুর অঞ্চল প্রসিদ্ধ ছিল তার শিল্পাঞ্চলের কর্মমুখরতার জন্য। অ্যাপোলো জিপার, অ্যামকো, ইস্ট আংলিয়া প্লাস্টিকস, রুবি পেইন্টস, হিন্দুস্থান আয়রন, এআরপি রাবার, নিউল্যাক রাবার, বিজনেস ফার্মস, আশীলা ফার্মাসিউটিসিকেলস, ইএমসি, মোটর মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারিং, পল্ লেহম্যান, ভেগাল ইঞ্জিন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, সিদ্ধেশ্বরী হোসিয়ারি, বিএমটি মিলস, ইস্টার্ন পেপার মিলস।
যাদবপুর – টালিগঞ্জ – অন্নপূর্ণা গ্লাস, ডাবর, জয় ইঞ্জিনিয়ারিং, সুলেখা ওয়ার্কস, বেঙ্গল ল্যাম্প, কৃষ্ণা গ্লাস, চোপড়া মোটরস, চালিহা রোলিং মিলস

তারাতলা – হাইড রোড – এক অত্যন্ত সম্ভাবনাময় শিল্পাঞ্চল রূপে উপস্থিত ছিল পশ্চিমবঙ্গের শিল্প মানচিত্রে। এখানকার কারখানাগুলি – আমেরিকান রেফ্রিজেরেটর, মেশিনারী ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, বেঙ্গল ইনগট, দাস রিপ্রোগ্রাফিক্স, এভেরি, গ্ল্যাক্সও, রোলস মিলস, পোদ্দার প্রজেক্টস, শালিমার টার, রোলস প্রিন্ট, মেটাল বক্স, ওয়েবেল, কেশোরাম কটন, এঞ্জেল ইন্ডিয়া, ফেরিনি, স্টিল এন্ড অ্যালয়েড প্রোডাক্টস, এপিজে ইন্ডিয়া, মাহিন্দ্রা এন্ড মাহিন্দ্রা, অ্যালকন, ইউনিভার্সাল অটোক্র্যাফ্ট প্রভৃতি।

বেলেঘাটা – ফুলবাগান – কাঁকুড়গাছি – ল্যাম্প ফ্যাক্টরি, করাত কল, বোর্ড মিল, স্মল ইঞ্জিনিয়ারিং, কোলে বিস্কুট, বালি জুট মিল, মন্ডল রাবার, গোবিন্দ সিট্ মেটালস, কেদার রাবার, ক্যালকাটা জুট মিল, টাটা অয়েল মিল, সন্তোষ বিস্কুট, স্মল টুলস ম্যানুফ্যাকচারিং ইত্যাদি।
সব কারখানা – সব বন্ধ। মূলত শ্রমিকশ্রেণীর নিজস্ব সরকারের উদাসীনতা ও অপদার্থতায় – পশ্চিমবঙ্গ ক্রমশ রূপান্তরিত হয়েছে জানা-অজানা মালিকশ্রেণীর পুঁজি লুঠ ও ট্রেড ইউনিয়নের নামে এক নতুন ব্যবসার। বকেয়া না পেয়ে, সংসার চালাতে অক্ষম হয়ে কত শ্রমিক আত্মহত্যা করল, মেটাল, রাবার ফ্যাক্টরির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিক সব হারিয়ে বাজারের চা বা ফুল বিক্রেতায় রূপান্তরিত হল, অভাবের তাড়নায় ও সামান্য টাকার জন্য কত সৎ, আত্মনির্ভরশীল শ্রমিক পরিবারের নারীরা রাতের অন্ধকারে বিকিয়ে যেতে বাধ্য হলেন তার কোন হিসেবে রইল না। পুঁথিগত শ্রমিক দরদী বামপন্থীরা কার্যত দালাল পরিণত হলেন

কিন্তু এতদ্সত্বেও কম্যুনিস্ট লাল ঝান্ডা ঊর্ধে উড্ডীন করে আন্তর্জাতিক, ” জাগো জাগো জাগো সর্বহারা অনশন বন্দী ক্রিতদাস শ্রমিক দিয়াছে আজি সাড়া উঠিয়াছে মুক্তির আশ্বাস…….” গাইতে ও বজ্রমুষ্টি সহ “দুনিয়ার মজদুর এক হও” বলে লাল সেলাম ঠুকতে বলতে বিরাম হয়নি প্রতি মে দিবসে। সমস্যা হল কবে যে লাল সেলাম বিখ্যাত কৌতুক ‘সামনে লেনিন, পেছনে হোচিমিন, যা পড়ুন গুছিয়ে নিন’ এ পরিণত হল, কারখানার মালিক পুঁজি নিয়ে প্রস্থান করলেন, বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ হিসাবের টাকা বুঝে classless society গড়তে গিয়ে class enemy হয়ে উঠলেন তা বঞ্চিত, অভুক্ত ও অসহায় শ্রমিকরা বুঝতে পারেননি।

পরিশেষে, এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের আইনী ক্ষমতা কতটা আছে দেখা যাক। West Bengal & Reforms Act (পশ্চিমবঙ্গ ভূমি সংস্কার আইন) অনুসারে, সরকার যে জমি lease এ শিল্প গড়তে সংশ্লিষ্ট কোন মালিককে দিয়েছেন, সেই জমিতে গড়ে ওঠা কোন শিল্পও সংস্থা যদি দীর্ঘকাল বন্ধ থাকে বা কেউ যদি শিল্প গড়ার জন্য নিয়ে জমিটি আটকে রাখেন বা সেই জমিতে নির্ধারিত শিল্পের স্থানে অন্য কিছু করে জমির চরিত্র বদল বা হস্তান্তর করার চেষ্টা করেন, তবে এই আইন অনুযায়ী রাজ্য সরকার সেই জমি পুনরায় অধিগ্রহণ (Resume) করতে পারেন। কিন্তু বামফ্রন্ট বা তৃণমূল আমলে এইপ্রকার প্রত্যাশিত ন্যায়স্থাপন কতবার হয়েছে? উত্তর – এক অপার নিস্তব্ধতা।

মহারাষ্ট্রের মতো প্রথম শ্রেণীর শিল্পোন্নত রাজ্যে শ্রমিক ছাঁটাই বা শ্রম বিরোধে শ্রম আদালতে গিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ, স্থগিতাদেশ পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, PULP বা Prevention of Unfair Labor Practice – এর মতো আইনের সৌজন্যে, যার রচয়িতা ছিল তথাকথিত শ্রেণীশত্রু বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু গত প্রায় ৪৩ বছরে বামফ্রন্ট বা অতি বাম তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে রয়ে গেছে অধরা।

তাহলে পরিত্রাণ কিসে? ১৯৬৭ সালের মার্চ মাসে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতার ভরকেন্দ্রে আসীন হয় শ্রী অজয় মুখার্জির নেতৃত্বাধীন, বিভিন্ন বামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন বিশিষ্ট যুক্তফ্রন্ট। প্রথম থেকেই একটি বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল যে ন্যায়সঙ্গত শ্রমিক আন্দোলনে পুলিশ হস্তক্ষেপ করবে না। এবং কোন শ্রম বিরোধে পুলিশের আগে হস্তক্ষেপ করবে শ্রম দপ্তর। যার ফলে ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই প্রায় ১, ০১৬টি ঘেরাও ঘটেছিল। এই প্রকার শ্রম আন্দোলন এমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে শব্দটি কালক্রমে English Dictionary তেও স্থান পায়। অর্থ – A protest in which a building or person is surrounded by people until demands are met…..এবং সেই শুরু পশ্চিমবঙ্গের সমাজের সর্বক্ষেত্রে মতোই শিল্প মানচিত্রে অবনমনের।

পুঁজির পলায়ন, মালিকের মুনাফা, ট্রেড ইউনিয়ন ব্যবসা ও সরকারী অপদার্থতার নাগপাশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ নিষ্কৃতি পায়নি এখনও। শোনা যায়, বিপুল পুঁজি বিনিয়োগ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু তা রয়ে যায় শুধু প্রতিশ্রুতিতেই। মধ্যিখানে পশ্চিমবঙ্গে ১৫০০ একর জমি না পেয়ে শ্রী পূর্ণেন্দু চ্যাটার্জির নেতৃত্বাধীন হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস (এইচপিএল) পরিশোধনাগার তৈরী করতে ২৮,৭০০ কোটি টাকা লগ্নি করে পার্শ্ববর্তী ওড়িশায়। পরিত্রাণ পেতে হলে স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গীসহ ,দেশাত্মবোধে উদ্দীপ্ত রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রয়োজন।

সুখের কথা একটিই, মে দিবস পালনের সংখ্যা ক্রমশ কমছে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)।

(তথ্যসূত্র সংক্রান্ত কৃতজ্ঞতা: নাগরিক মঞ্চ)

অনিমিত্র চক্রবর্তী (Animitra Chakraborty) – সমাজকর্মী এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.