গোটা পৃথিবীতেই ইসলাম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা বাড়ছে। আর সেই বৃদ্ধির হার পর্যালোচনা করে সমীক্ষা বলছে ২০৬০ সালে বিশ্বে গরিষ্ঠতা পাবে মুসলমান জনসংখ্যা। আর তাতে আবার ভারতে থাকবে এক নম্বরে।
মার্কিন সমীক্ষক সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০৬০ সালের মধ্যে মুসলমান জনসংখ্যায় বিশ্বে ভারত হবে এক নম্বর। এখন এক নম্বরে থাকা ইন্দোনেশিয়াকে টপকে যাবে ভারত। ২০১৫ সালের হিসেবে গোটা বিশ্বের মুসলমান জনসংখ্যার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় ছিল ১২.৬ শতাংশ। সেটা কমে হবে ৮.৫ শতাংশ। ভারতে অবশ্য সেই শতাংশটা একই থাকছে। ২০১৫ সালের মতো ২০৬০ সালেও বিশ্বের মোট মুসলমান জনসংখ্যার ১১.১ শতাংশ থাকবে ভারতে। তবে ভারতের মোট জনসংখ্যার হিসেবে মুসলমান জনসংখ্যা ১৪.৯ থেকে বেড়ে হবে ১৯.৪ শতাংশ।
একই ভাবে পাকিস্তানেও বাড়বে মুসলমান জনসংখ্যার হার। ফলে ২০৬০ সালে ইন্দোনেশিয়াকে টপকে পাকিস্তান চলে আসবে দ্বিতীয় স্থানে। দেখুন সেই রিপোর্ট-
এর আগে ২০১৫ সালেও একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল পিউ রিসার্চ সেন্টার। সেবার বলা হয়েছিল ২০৫০ সাল পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ধর্মের ভিত্তিতে কেমন হবে জনসংখ্যার বিন্যাস। ২০১৫ সালে গোটা বিশ্বে মুসলমান জনসংখ্যা ছিল
১.৬ বিলিয়ন। ২০৫০ সালে সেটা বেড়ে হবে ২.৮ বিলিয়ন। অন্য দিকে, ২০১৫ সালে বিশ্বে মোট খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ছিল ২.৯ বিলিয়ন। ২০৫০ সালে সেটা হবে ২.৯ বিলিয়ন।
এখন বিশ্বে সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা। এটাই উল্টে যাবে বলে দাবি করে ওই সমীক্ষক সংস্থা। রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়, খ্রিস্টানদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ যতটা বেশি, মুসলমান সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে তুলনায় বেশি বংশবৃদ্ধির হার। একজন মুসলমান মহিলা গড়ে জন্ম দেন ৩.১টি শিশু। বাকি সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এই হার ২.৩টি।