আমার প্রিয় বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জাইদ মেডেল দেওয়া হবে। আবু ধাবির যুবরাজ এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সেনাবাহিনীর সুপ্রিম কম্যান্ডার শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ অল নাহিন ঘোষণা করেছেন একথা।
আবু ধাবির যুবরাজ টুইট করে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক যোগাযোগ রয়েছে। আমার প্রিয় বন্ধু মোদী সেই যোগাযোগ দৃঢ়তর করে তুলেছেন। এই অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট তাঁকে জাইদ পদক প্রদান করবেন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ অল নাহয়াইন কবে প্রধানমন্ত্রীকে ওই পদক দেবেন জানানো হয়নি।
জায়েদ মেদেল বা অর্ডার অব জায়েদ হল আমিরশাহির সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান। বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট, রাজা বা অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানকে ওই পদক দেওয়া হয়। এর আগে ওই সম্মান পেয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ, এরিত্রিয়ার প্রেসিডেন্ট ইসাইয়াস আফওয়েরকি। ১৯৯৫ সালে প্রথমবার জাপানের যুবরাজ প্রিন্স নারুহিতোকে ওই পদক দেওয়া হয়।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথও ওই সম্মান পেয়েছেন। গত পাঁচ বছরে এই নিয়ে তিনবার প্রধানমন্ত্রী মোদী কোনও পশ্চিম এশীয় দেশ থেকে সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পেলেন।
২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল তিনি অর্ডার অব আবদুল আজিজ অল সৌদ সম্মান লাভ করেন। তা সৌদি আরবের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান। মোদীকে স্পেশ্যাল ক্লাস ক্যাটেগরিতে ওই সম্মান দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে প্যালেস্তাইন তাঁকে গ্র্যান্ড কলার অব দি স্টেট অব প্যালেস্তাইন সম্মান দেয়। সেবছর ফেব্রুয়ারিতে তিনি প্যালেস্তাইন গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁকে ওই সম্মান দেওয়া হয়।
২০১৭ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে প্রধান অতিথি ছিলেন আমিরশাহির যুবরাজ। মোদী নিজেও দু’বার সফর করেছেন ওই দেশে। বিদেশমন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ১০-১১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী আমিরশাহি সফরে গিয়েছিলেন। তার ফলে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। ভারত প্রতি বছর যে পরিমাণ অপরিশোধিত তেল আমদানি করে, তার আট শতাংশ বিক্রি করে আমিরশাহি। ভারতে তেল রফতানিকারীদের মধ্যে আমিরশাহির স্থান পঞ্চম। ২০১৭ সালে ভারত ও আমিরশাহির মধ্যে ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৫০০০ কোটি আমেরিকান ডলার। আমিরশাহির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক সহযোগী হল ভারত।