হোমিওপ্যাথি আর আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রয়োগ করে ৬৮০০ জনকে করোনা পজেটিভ হওয়া থেকে বাঁচালো গুজরাট

গুজরাট সরকারের (Government of Gujarat) তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, যারা করোনা পজেটিভ রোগীদের সংস্পর্শে এসেছিল আর যাঁদের পজেটিভ হওয়া প্রায় নিশ্চিত ছিল, তাদের আয়ুর্বেদিক (ayurvedic) আর হোমিওপ্যাথি (Homeopathy) ওষুধের মাধ্যমে পজেটিভ হওয়া থেকে রক্ষা করা গেছে। সরকার দাবি করেছে যে, ৬৮০০ অপ্রতিসম মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন পর্যন্ত রাখা হয়েছিল, আর তাদের হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদ ওষুধ দিয়ে সুস্থ করা হয়েছে।

গুজরাট সরকারের স্বাস্থ মন্ত্রালয় জানায় যে, যদি করোনা পজেটিভ মানুষ যদি চায়, তাহলে তাঁর উপরেও এই ওষুধের প্রয়োগ করা যেতে পারে। গুজরাট থেকে এখনো পর্যন্ত ২০৬৬ টি করোনা পজেটিভ মামলা সামনে এসেছে। এদের মধ্যে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আপনাদের জানিয়ে দিই, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অনেকেই আয়ুর্বেদিক আর হোমিওপ্যাথি ওষুধের ব্যবহার করে। কেন্দ্র সরকারও এর জন্য একটি গাইডলাইন জারি করে রেখেছে। কিছুদিন আগেই গুজরাটের স্বাস্থ এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রালয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার পর একটি দিশা-নির্দেশ জারি করেছিল।

আরেকদিকে, পতঞ্জলি যোগপীঠ এর বাবা রামদেবের সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণও কিছুদিন আগে দাবি করেছিলেন যে, আয়ুর্বেদের ওষুধের মাধ্যমে করোনার ১০০ শতাংশ চিকিৎসা সম্ভব। এমনকি আয়ুর্বেদিক ওষুধ ওই সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য ভ্যাকসিন রুপেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

বালকৃষ্ণ অনুযায়ী, ‘পতঞ্জলি অনুসন্ধান সংস্থান এটা নিয়ে তিন মাস ধরে পরীক্ষা করছে। ইঁদুরের উপর অনেকবার পরীক্ষা করার পর এটা সামনে এসেছে যে অশ্বগন্ধা, গুলঞ্চ, তুলসি আর খাসারির রসের নিশ্চিত অনুপাত সেবন করলে করোনা সংক্রমিত রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারবেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.