জ্বালানি তেলের দাম কেন নেগেটিভ হয়? পিয়াঁজের দাম কেন বাড়ে?

তেল মাটির নিচ থেকে তোলা হয়! আর সেটা যারা কেনে, তাদের কে সেই তেল রাখার জন্য আলাদা ট্যাংক করতে হয়। উন্নত দেশ গুলো ৩ মাসের তেল মজুদ করে। যেহেতু চাহিদা কমে গেছে লক ডাউন এর জন্য, তাই জমা হওয়া তেল খরচ হয়নি। এখন যে তেল গুলো মাটির নিচ থেকে তোলা হয়েছে, সেই তেল চাইলেই আবার মাটির নিচে ঢুকিয়ে দেয়া যায়না। তেমনি সাগরে ভাসিয়ে দেয়া যায়না, কারণ পরিবেশ দুষন হবে ও প্রচুর জরিমানা হবে। তাই যারা তেল বিক্রি করছে, তারা ক্রেতা কে হাতে পায়ে ধরে, তেলের মূল্য না নিয়ে, তেল মজুদ করার জন্য এক্সট্রা টাকা দিয়ে তেল গুলো গছিয়ে দিয়ে গেছে। ইন্ডিয়া র মত দেশ এই সুযোগ নিতে পারেনি, কারণ তাদের ৩ মাসের মত তেল মজুদ করার ট্যাংক নেই। মনে হয় এক মাসের তেল মজুদ করার ব্যবস্থা আছে- মোদী বাড়াবার প্ল্যান করেছিল, তার ফল কি হয়েছে, জানিনা।। অর্থাৎ ইন্ডিয়ার দিন আনা দিন খাওয়া র মত অবস্থা! তাই তেলের দাম নেগেটিভ হয়েছে।

গতকাল WTI ফিউচার কন্ট্রাক্ট এ তেলের মূল্য ৪৬ সেন্ট হয়েছিল! আরও বিশদ ভাবে বুঝতে গেলে, ফিউচার ট্রেড কি জেনে নিন!

তবে এবার ভয়ে তেল উৎপাদন কমাবে। আবার যখন লোক ডাউন উঠে যাবে, জীবন যাত্রা স্বাভাবিক হবে,চাহিদা বাড়বে, দাম ও বাড়বে! তেল উৎপাদন দেশ গুলো যেমন মধ্য প্রাচ্য রাশিয়া ভেনেজুয়েলা USA র আর্থিক অবস্থা ভেঙে পড়বে। যে ব্যাঙ্ক গুলো এদের কে ঋণ দিয়েছিল, ঋণ ফেরত না পেয়ে দেউলিয়া হবে, মানে আপনি যে ব্যাংকে টাকা জমিয়েছিলেন, সেটা যাবে!

লাভ কারা করবে? যারা মজুদ করতে পারবে! চাষিরাও এভাবেই মরে ! ফলন বেশি হলে কেহ কেননা! মজুদ করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা সরকার করেনি। লাভ কারা করে? যারা মজুদ করতে পারে!

মূর্খ বামপন্থী রা হয়ত মজুতদার দের গালি দিতোনা, যদি সব কিছু বুঝতো! মজুতদার আছে বলেই পিঁয়াজ এর দাম ১০০০০ টাকা কিলো হয়না! যদি সঠিক সময়ে আরও মজুদ করার ব্যবস্থা থাকতো সারা বছর একই দাম রাখা সম্ভব হতো। সরকার এর উচিত ছিল, চাষি দের জন্য নো প্রফিট নো লস এ কোল্ড স্টোরেজ (Cold storage) বানানো! কংগ্রেস বা বামফ্রন্ট বা মমতা সরকার কি সেটা করেছে? আর আপনারা কি সরকার এর কাছে দাবি করেছেন?

দাবি করবেন কি করে? কোনটা কেন হয় – কিছুই তো বুঝতে চেষ্টা করেন না! যা বলে দেয়া হয়, সেটাই বিশ্বাস করেন! এবার নিজেকে পাল্টান! সাজেশন মুখস্ত করে সার্টিফিকেট বানিয়ে মা ও শাশুড়ি র কাছে দাম বাড়তে পারে, আসলে কোনো লাভ হয়না!

আপনি বিশ্বাস করুন, যাদের কে আপনারা ভোট দিয়ে জেতান, তারা এ সব বোঝেনা, তারা জানে কি করে মানুষ কে ম্যানিপুলেট করে খেপিয়ে দিয়ে ভোট জেতা যায়!

দিল্লি (Delhi) থেকে করোনা চেক করে কর্মী এসেছে, মমতা খুশি না হয়ে রেগে গেছে, কারণ যাতে তার কাজের ভুল ধরা না পরে !

মৃণাল (Mrinal) , বার্লিন (Berlin) , ২১.০৪.২০২০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.