সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের বিদ্ধ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ ব্রিগেডের সভায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে সন্ত্রাসবাদীদের মদতদাতা বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন তিনি৷ বোঝানোর চেষ্টা করেন বিরোধীদের হাতে দেশ অসুরক্ষিত৷ একমাত্র মোদীই পারেন সন্ত্রাসবাদ ও দেশের মাঝে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে৷
ভাষণের শুরুতেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ারস্ট্রাইক ও মিশন শক্তি নিয়ে বিরোধীদের নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ ভরা সভা থেকে প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, ‘‘ এয়ারস্ট্রাইকের প্রমাণ কে চেয়েছে? সন্ত্রাসবাদীদের মৃতদেহ দেখতে কে চেয়েছিল? ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ যারা অন্তরীক্ষে মিসাইল পাঠিয়ে উপগ্রহ ধ্বংস করতে পারে৷ এটাকে ড্রামা করে বলেছিল?’’ পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে খোঁচা মেরে মোদী বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীর এয়ারস্ট্রাইক করার ক্ষমতা আগেও ছিল৷ বিজ্ঞানীরা আগেই মহাকাশে মিসাইল পাঠিয়ে দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিল৷ কিন্তু তখন তারা করতে পারেনি৷ কারণ আগের সরকারের কোনও সদিচ্ছা বা সাহস ছিল না৷’’
মঙ্গলবার কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে৷ ইস্তেহারে আফস্পা আইন সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে৷ এই নিয়ে বিজেপি শিবির থেকে অনেকেই সরব হয়েছে৷ ব্রিগেডের সভায় কংগ্রেসকে এই নিয়ে সমালোচনায় ভরিয়ে দেন মোদী৷ বলেন, ‘‘টাডা আইন কে সরিয়েছে? কংগ্রেস সবসময় সন্ত্রাসবাদীদের কাছে নরম থেকেছে৷ ক্ষমতার লোভে তাদের সমর্থন করছে৷ ইস্তেহারে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেনার সুরক্ষা কবচ সরিয়ে দেবে৷ এই আইন সেনাদের শক্তিশালী করে৷ যারা ৬০ বছর দেশে রাজত্ব করেছে তারা এই কথা বলছে৷ কংগ্রেস এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তাহলে পাকিস্তানে থাকা জঙ্গিরা মদত পাবে কীনা৷ কংগ্রেস দেশের সুরক্ষা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে৷ আসলে ওরা যা করছে তাতে দেশের সেনাদের মনোবল ভেঙে যাবে৷ কংগ্রেসের এক্সপায়ারি ডেট তৈরি৷ তারিখ হল ২৩ মে৷ কংগ্রেসও যাবে তাদের ইস্তেহার ও যাবে৷’’
ব্রিগেডের ভরা জনসভা দেখে উচ্ছসিত মোদী বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ২৩ মে কী হতে চলেছে তা এই জনসভা থেকেই বোঝা যাচ্ছে৷ ২০১৪ সালে মানুষের ভোটের কারণে সন্ত্রাসবাদীদের জবাব দিতে পেরেছি৷ ২০১৯ এর ভোটে দেশকে বিকাশের নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে চাই৷