করোনা অবহেও বাংলায় নিবিড় জনসংযোগের পথে গেরুয়া শিবির, ময়দানে নামাল একঝাঁক তরুণ তুর্কি

বর্তমানে করোনা মহামারীতে বিধ্বস্ত গোটা বিশ্ব। যার প্রভাব এসে পড়েছে ভারতবর্ষ তথা বাংলাতেও। যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর মহামারির আকার যখন নিয়ে নিয়েছে করোনা (Corona) , ঠিক তখনই প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মানুষের পাশে থাকাই কাম্য। শাসক দল তৃণমূল থেকে শুরু করে, বিজেপি প্রত্যেকের পক্ষ থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে

তবে মানুষের সঙ্গে আরও একাত্মভাবে মিশতে এবং মহামারীর সময় মানুষের পাশে থাকতে এবার রাজ্যের যুবনেতাদের জনসংযোগের নির্দেশ দিলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার সমস্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং প্রতিটি রাজ্যের যুব সভাপতিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

যেখানে করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার যে সহযোগিতা করেছে, তার অর্থ যাতে মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, তার জন্য যুবনেতাদের দেখার নির্দেশ দেন তিনি। এক্ষেত্রে প্রতিটি যুবনেতাকে 40 জন করে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্থ সাহায্য করার ব্যাপারে বলা হয়েছে। তবে এই 40 জন শুধু যেন বিজেপি কর্মী সমর্থক না হয়, অন্যান্য সাধারণ মানুষ যাতে তার মধ্যে থাকেন, তার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির কাছে এখন প্রধান টার্গেট বাংলা দখল। আর এই সময় বাংলার মানুষদের আরও বেশি করে পাশে থাকতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এইবার তা অনেকটাই কাজে দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা বাংলায় যদি বিজেপি এই মহামারীকে কাজে লাগিয়ে মানুষের পাশে আরও বেশি করে থাকতে পারে, তাহলে মানুষের হৃদয়ে তারা ভালো জায়গা দখল করে নেবে।

এদিকে এদিন যুবনেতাদের পাশাপাশি বাংলার বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) , রাহুল সিনহা (Rahul Sinha) , মুকুল রায় (Mukul Roy) এবং সায়ন্তন বসুদের (Sayonton Boss) সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং শিব প্রকাশ। যেখানে বিজেপি’র (BJP) পক্ষ থেকে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বলা হয়েছে, বাংলায় তাদের জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকার প্রকৃত তথ্য গোপন করছে। রেশনে চরম দুর্নীতি হচ্ছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতৃত্বরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই কথা তুলে ধরে বোঝাতে চাইলেন যে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস কিভাবে তাদের ক্ষমতা কায়েম করে রাখতে চাইছে। এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই ব্যাপারে রাজ্যের কথা শুনে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। তবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পক্ষ থেকে প্রতিটি রাজ্যের যুবনেতাদের উদ্দেশ্যে এই ধরনের নির্দেশ সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিকে অনেকটাই লাভবান জায়গায় নিয়ে যাবে বলেই আশা বিজেপি ঘনিষ্ঠ মহলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.