করোনা কিট নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ করলেন বিজেপির(bjp) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ(dilip ghosh)। তিনি বললেন, “এখানেও অনেক কোম্পানি করোনা কিট তৈরি করে। কিন্তু কেন একটি কোম্পানিকেই কিট তৈরির বরাত দেওয়া হচ্ছে। এখানেও কি কাটমানির গল্প?”
করোনা রোগীর সংখ্যা কম করে দেখাতে পশ্চিমবঙ্গে (west bengal)পরীক্ষাই করাচ্ছে না রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নববর্ষে প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে ফের এই অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘করোনা(corona) পরীক্ষার জন্য কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪২,৫০০ কিট এসেছে। তার মধ্যে পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ৩,০০০ জনের। এই বিশাল পার্থক্য হচ্ছে কেন? সত্য গোপন করার জন্য?’
রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়েও হিসাবে গরমিল রয়েছে বলে দাবি করেছেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বলছে পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫২ জন। রাজ্য সরকার বলছে ১১০ জন। এই ৪০ জনের ফারাক হচ্ছে কেন? এই ফারাক আবার দিন দিন বাড়ছে।’
সোমবার নাইসেডের নির্দেশক শান্তা দত্ত যে কথা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গও তোলেন দিলীপবাবু। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এই রাজ্য কোন টেস্ট হচ্ছে না । নাইসেড যা বলছে তাতে মানুষের মনে ভয় হচ্ছে । রাজ্য সরকার এটা নিয়ে ভাবুক। কেন্দ্রীয় সরকার সঠিক তথ্য চাইছে । হাওয়াই চপ্পল পরে ডাক্তার কাজ করছে । এটা ভাবা যায় না ।” তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে, কিন্তু রাজ্য সরকার সেই টাকা খরচ করছে না। রাজ্য সরকার কেন সেই টাকা খরচ করছে না কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ” কেন ফুলের বাজার খোলা হল? এই রাজ্যে কোথায় টেস্ট হচ্ছে? সাধারণ মানুষ জানে না। কিট কেন দেওয়া হচ্ছে না?” পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ‘হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে’ বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
তাঁর অভিযোগ, “রাজ্য সরকারের হেল্পলাইনে ফোন করলে কেউ ফোন তোলেন না। বিজেপি লোকদের ত্রাণ নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে । ত্রাণ দিতে দেওয়া হচ্ছে না। জেলাশাসক ফোন ধরছে না। হাসপাতালে বিক্ষোভ হচ্ছে। কার্ড দেওয়া হচ্ছে না।”