পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল এবং সচেতন রাজ্যবাসীর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা মূলত কোভিড ১৯ রোগীর সনাক্তকরণ সংক্রান্ত তথ্য গোপনের। রোগী করোনা আক্রান্ত কি না ? সনাক্তকরণ এ নিশ্চিত হবার পরেও রোগী ও তার পরিবারকে সে তথ্য দেবার অধিকার সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের কাছ থেকে আগেই কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এবার অভিযোগ উঠেছে করোনা সনাক্তকরণের পরীক্ষা কম করাবার।
https://www.sangbadpratidin.in/bengal/row-over-suspected-corona-victims-cremation-in-bankura/
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে রাজ্য সরকার অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রী রাজ্যে টেস্টিং কিট পাঠাচ্ছে না। এ ব্যাপারে কলকাতাস্থিত ন্যাশনাল ভাইরোলজি রিসার্চ ল্যাবরেটরির ডিরেক্টর ডা. শান্ত দত্ত জানালেন যে তাদের কাছে এই মুহুর্তেও ২৭৫০০ টেস্টিং কিট জমা আছে। তিনি এও জানালেন যে কোনো অজ্ঞাত কারণবশতঃ অতিসম্প্রতি প্রতিদিন টেস্টিং এ আসা ইউনিটের পরিমাণ কমে গেছে। আগে যেখানে রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতিদিন গড়ে ১০০ ইউনিট টেস্টিং এর জন্য পাঠাতেন তা এখন গড়ে ৫০ এ নেমেছে।
এর আগে চিকিৎসক, নার্সদের PPE এর বদলে রেনকোট পাঠানোর মতো ঘটনার সময়েও কিন্তু রাজ্য সরকার কে কেন্দ্র এর দিকে আঙ্গুল তুলতে দেখা গেছিলো, পরে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার এই অজুহাত বাম আমল থেকেই চলছে। এই সরকারও নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সেই নীতিই অনুসরণ করছেন। তবে এটা তথ্যের স্বাধীনতার যুগ। সত্যকে আর আগের মতো চাপিয়ে রাখা যাচ্ছে না এবং রাজ্যের ভুক্তভোগী জনগণের কাছে এই সরকারের অপদার্থতা আরো বেশি করে প্রমাণিত হচ্ছে চিকিৎসকদের করোনা সন্দেহে আইসোলেশনে পাঠাবার ঘটনা উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায়।