হিন্দু মন্দিরগুলি ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপের স্নায়ু কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। বেশিরভাগ ছোট মন্দির মন্দির পরিদর্শনকারী ভক্তদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অনুদানের দ্বারা পরিচালিত হয়। এখানে একটি বিস্তৃত বাস্তুতন্ত্র রয়েছে যা দেবতাদের প্রতিদিনের উপাসনার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করে।
পূজারী , কর্মকান্ডি কলাকার, অন্যান্য মন্দির সেবকগন সনাতনকে জীবিত রাখার নিমিত্ত ভক্তির সঙ্গে নিজেদের কর্ম পালন করে থাকেন এবং দিন রাত পরিশ্রম করেন। আমরা সবাই জানি যে, পরমাত্মার এই সকল সেবক এবং সেবায়েত পরিবার গুলি গ্রামীন মন্দিরগুলিতে দর্শনার্থীদের দ্বারা প্রদত্ত প্রসাদ গুলি গরিব মানুষদের ভোজন করিয়ে থাকেন।
করোনা (Corona) নামক মহামারীর সঙ্গে মোকাবেলা করার জন্য সারা দেশ জুড়ে চলছে লক ডাউন (Lock down)। -মহামারী মোকাবেলা করার জন্যই বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম বন্ধ হয়েছে। ফলে মন্দির গুলিতে ভক্ত সমাগম কমেছে। ফলত , যেসব গরিবরা মন্দিরের প্রসাদ খাদ্য হিসেবে পেতেন তাঁদের অবস্থা শোচনীয় হয়েছে। মহামারী দ্বারা সৃষ্ট আর্থিক মন্দা অনেক মন্দির কমিটি তাঁদের মন্দিরের আচার অনুষ্ঠানকে কমিয়ে দিয়েছেন।
তদুপরি মার্চ এবং এপ্রিল মাস হল উৎসবের সময়। লকডাউন (Lock down) , মন্দিরের দরজায় তালা সে সব কিছুকে বন্ধ করেছে। ফলত অনুষ্ঠান পার্বন গুলি পালিত হওয়া স্থগিত আছে। এর প্রভাব পড়েছে মন্দির ও উৎসবের সঙ্গে জড়িত এবং জীবিকা অর্জনকারীদের উপর। যেমন – মেলায় বসা নানা দোকানদার, ডালি করে বসা দোকান , ফেরিওয়ালা, আর নানা কলাকার। এসকল ব্যক্তিরা মন্দির প্রাঙ্গনগুলির বার্ষিক উৎসবের জন্য নিজের পুরো জীবনকে উৎসর্গ করে থাকেন। এঁরাই কিন্তু আমাদের সভ্যতার ধারক ও বাহক। এই রাক্ষসী বেলায় এই সকল ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এটাই আমাদের সনাতন আমাদের শিক্ষা দিয়েছে।
পূর্বেই ইন্ডিক কালেক্টিভ ট্রাস্ট সাহায্যের জন্য এই সুবিশাল এবং আধ্যাত্মিক ভারতের (India) নিকট আবেদন করেছিল। ভারতের জনগন তাঁদের সামর্থ্য মতো সাহায্য করেছেন। সেই প্রাপ্ত সাহায্য নিয়ে ইন্ডিক কালেক্টিভ ট্রাস্ট পৌঁছে গেছে ভারতের ছোট ছোট গ্রামীণ মন্দির এবং সেই মন্দিরের উপর নির্ভরশীল থাকা পরিবার গুলির নিকট।
মালেশ্বারাম, বেঙ্গালুরু বেলেগুয়াপলসস্বামী মন্দিরের সামনে ফুলের বিক্রেতা মঞ্জুলা, উক্ত অর্থ সাহায্য পেয়ে ভীষণই আনন্দিত হয়েছেন। তিনি সমস্ত ভারতীয় দাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এবং বর্তমান লকডাউনের সময় বিভিন্ন ক্ষুদ্র গ্রামীণ মন্দিরগুলির সেবায়তদের সমর্থন ও সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
শ্রী জগন্নাথ মন্দির, বড়িষা (Boresha) (কলকাতা) -এর পুরোহিত শ্রী সঞ্জীব কুমার পান্ডা (Shri Sanjeev Kumar Panda) , ইন্ডিকডাকশিনার (Indicdashiner) মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন এবং সমস্ত দাতাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এরই সাথে বর্তমান লকডাউনের কারণে বিভিন্ন ক্ষুদ্র গ্রামীণ মন্দিরগুলির সেবায়তদের সমর্থন ও সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
তন্দ্বা শ্রী দেবী মন্দির, ছাতারা (ঝাড়খণ্ড) – মন্দির পরিষ্কারকারম শ্রীমতী সোহা দেবী (Smt. Soha Devi) এবং তাঁর পরিবার ইন্ডিকডাকশিনার (Indicdashiner) মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। তারা সকল দাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এবং এরই সাথে বর্তমান লকডাউনের (Lock down)কারণে বিভিন্ন ক্ষুদ্র গ্রামীণ মন্দিরগুলির সেবায়তদের সমর্থন ও সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
মুর্শিদাবাদের ঢাকী চন্দন দাস (Chandan Das) এবং তাঁর দুই পুত্র বিজয় এবং অজয় যারা ইন্ডিকডাকশিনার (Indicdashiner)মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন তারা সমস্ত দাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং এরই সাথে বর্তমান লকডাউনের কারণে বিভিন্ন ক্ষুদ্র গ্রামীণ মন্দিরগুলির সেবায়তদের সমর্থন ও সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
ত্রিভানভান্দুরের মন্দিরের বাজনদার, শ্রী কে এস সঞ্জীব কুমার (Shri KS Sanjeev Kumar) , যিনি ইন্ডিকডাকশিনার (Indicdashiner)মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন, সমস্ত দাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং বর্তমান লকডাউনের কারণে বিভিন্ন ক্ষুদ্র গ্রামীণ মন্দিরগুলির সেবায়তদের সমর্থন ও সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
কট্টুমান্নারকোভিল, শ্রী বীরা নারায়ণ (Shri Veera Narayan) পেরুমল মন্দিরে পুরোহিত আন্না শ্রীনিবাসন , যাঁরা ইন্ডিকডক্ষিনার (Indikadakshina) মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন তাঁরা সমস্ত দাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং বর্তমান লকডাউনের কারণে বিভিন্ন ক্ষুদ্র গ্রামীণ মন্দিরগুলির সেবায়তদের সমর্থন ও সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
মান্নার (আলাপুজা) কালারি প্রশিক্ষক শ্রী রদীপ কেআর (আর) যিনি বর্তমান লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন । তিনি ইন্ডিকডাকশিনার (Indicdashiner)মাধ্যমে প্রদত্ত আর্থিক সহায়তার জন্য সকল দাতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বর্তমান লকডাউনের কারণে বিভিন্ন ক্ষুদ্র গ্রামীণ মন্দিরগুলির সেবায়তদের সমর্থন ও সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
ভারতের (India) সভ্যতাগত অখণ্ডতা সংরক্ষণের কাজ করার জন্য ইন্ডিক কালেক্টিভ ট্রাস্ট (Indic Collective Trust) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমাদের পবিত্র সভ্যতার ধারাবাহিকতার জন্য নিবেদিত জীবন যাপন করে এমন পুরুষ ও মহিলাদের জীবন রক্ষা করা দরকার। এই বিপর্যয়ের সময় মন্দিরের কর্মীদের শ্রদ্ধা জানাতে আমরা আপনাদের সমর্থন চাইছি । আমরা অবশ্যই দানকারীদের তথ্য অদ্যন্ত করতে থাকব।