আজ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস৷ সারা বিশ্বেই শিশুদের মধ্যে বাড়ছে অটিজমের প্রকোপ৷ ঘাবড়ে না গিয়ে অটিজমের লক্ষণগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখুন৷ জানাচ্ছেন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট শুচিস্মিতা চক্রবর্তী৷
অপরিণত মস্তিষ্ক বা কোনও রকম নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারের কারণে অটিজম হতে পারে৷ তাই অটিস্টিকরা কোনও কিছুতেই আই কনট্যাক্ট করতে পারে না৷ থেরাপির মাধ্যমে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়৷
অটিস্টিকদের মধ্যে রেস্ট্রিকটেড ইন্টেরেস্টের লক্ষণ দেখা যায়৷ এদের যেই বিষয়ে উৎসাহ থাকে সেটা নিয়েই সারাদিন কাটিয়ে দিতে পারে৷ নিজেদের জগতে থাকতেই এরা স্বচ্ছন্দ৷ যে কারণে রিপিটেটিভ ও রেস্ট্রিকটিভ বিহেভিয়ারেই ওরা অভ্যস্ত হয়৷
অটিস্টিকদের মধ্যে অ্যাটেনশন বা মনযোগে ঘাটতির সমস্যা দেথা যায়৷ কোনও কাজেই এরা মনসংযোগ করতে পারে না৷ADHD বা অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভ ডিজঅর্ডার অটিজমের অন্যতম লক্ষণ৷
অটিস্টিকরা নিজেদের টেম্পারমেন্ট বা মেজাজ বশে রাখতে পারে না৷ ফলে এরা সহজেই রেগে যায়৷ বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনোর পর এদের অনেকের মধ্যেই অসহ্য হয়ে ওঠা বা আগ্রাসী আচরণ চোখে পড়ে৷
অটিস্টিকরা খুবই অস্থির হয়৷ চঞ্চলতা, বসে ক্রমাগত দুলতে থাকা, অকারণ লাফানো এঘলো অটিস্টিক শিশুদের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায়৷
অটিস্টিকদের মধ্যে সেন্সরি প্রসেসিং ডিজঅর্ডারের সমস্যা থাকে৷ কেউ জোরালো আলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়, কেউ জোরে আওয়াজের প্রতি, কারও বা কাইনেসথেটিক সেনসেশনের সমস্যা থাকে৷ তাই অনেকের মধ্যে নিজেকে আঘাত করার প্রবণতা দেখা যায়৷
অটিস্টিকদের ট্যাক্টাইল সেনসেশনের সমস্যা থাকার কারণে তারা বিপদের আশঙ্কা বুঝতে পারে না৷ আসন্ন বিপদ আঁচ করতে না পারায় তারা দুর্ঘটনা প্রবণ হয়৷
কোনও রকম শারীরিক সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও অটিস্টিকরা কথা বলে না অনেক সময়৷ দেরিতে কথা বলে৷ ফলে এদের কমিউনিকেশন বা সংযোগ তৈরির সমস্যা থাকে৷
বেশিরভাগ সময়ই অটিস্টিকরা সোশ্যাল কিউ বুঝতে পারে না৷ ফলে এদের মধ্যে কিছু ব্যবহারিক ত্রুটি দেখা যায়৷ সমাজে থাকতে গেলে যেমন আচরণ করা প্রয়োজন তেমনটা করে না৷ প্রায়শই এদের আচরণ অসামাজিক মনে হয়৷