সীমান্তে গোলাগুলি চলছিলই, সেই উত্তাপ এ বার ছড়িয়ে পড়েছে আকাশেও। ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের বায়ুসেনা ক্রমাগত একে অন্যের বিরুদ্ধে আঘাত হানার চেষ্টা করছে। বালাকোটের হামলার স্মৃতি এখনও পাকিস্তানের মনে টাটকা। আর তাই তারা বারবার ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টায় লেগে রয়েছে। সোমবার ফের ভারতের আকাশসীমার কাছে দেখা গেল পাক যুদ্ধবিমান। ভারতীয় বায়ুসেনার তৎপরতায় অবশ্য আক্রমণের চেষ্টা ব্যর্থ করা গিয়েছে।
বায়ুসেনা সূত্রে খবর, সোমবার ভোররাত তিনটের সময় পঞ্জাবের খেমকরন সেক্টরে ভারতীয় আকাশসীমার কাছে বেশ কিছু পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ভারতীয় বায়ুসেনার র্যাডারে ধরা পড়ে এই সমস্ত ঘটনা। দেখা যায়, একটি বড় ধরণের স্বয়ংক্রিয় যুদ্ধবিমান ও চারটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ভারতীয় আকাশসীমার কাছে ঘোরাফেরা করছে। র্যাডারে এই ঘটনা ধরা পড়ার পরেই তৎপর হয়ে ওঠে তারা। ভারতের তরফে সুখোই ৩০ এবং মিরাজ যুদ্ধবিমানকে পাঠানো হয় সেখানে। ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে দেখার পরেই পিছু হটে পাক যুদ্ধবিমান। যদিও পাকিস্তানের তরফে এখনও এ ব্যাপারে কিছু স্বীকার করা হয়নি।
৪০ বছরে এই প্রথম দুই দেশ নিজেদের বায়ুসেনাকে একে অন্যের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। এ সবেরই সূত্রপাত ১৪ ফেব্রুয়ারি। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জইশ আত্মঘাতী হামলায় সিআরপিএফ-এর ৪০ জওয়ান শহিদ হন। তারই বদলা নিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে ১২টি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। বায়ুসেনা দাবি করে, তাদের দেওয়া সব টার্গেটে আঘাত হেনেছে তারা।
পরের দিনই পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান এফ-১৬ ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করলে ভারতীয় বায়ুসেনা তার উত্তর দেয়। এই হামলায় পাক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করে ভারতীয় বায়ুসেনা। যদিও পাকিস্তানের তরফে সেই দাবি মানা হয়নি। অবশ্য এই হামলায় ভারতের একটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমানও ধ্বংস হয়। উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান পাক সেনার হাতে আটক হন। প্রায় ৬০ ঘণ্টা বন্দি থাকার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।