গ্রামের হাই স্কুল কে কোয়ারেন্টাই সেন্টার করাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ , বোমাবাজি। চলল গুলি। পুলিশের সঙ্গেও খণ্ড যুদ্ধ। ঘটনায় মৃত্যু একজনের।। মৃতের নাম শেখ সাইফুদ্দিন (Sheikh Saifuddin) ওরফে শ্যামবাবু (Shambabu)। পায়ে গুলি লেগে আহত আরও একজন ।ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাঁড়ুই থানার (Parui police station) বনশঙখা অঞ্চলের তালিবপুর গ্রামের ঘটনা।
পাড়ুই থানার (Parui police station) সিউড়ি ২ ব্লকের অধীন বনশঙ্কা গ্রাম পঞ্চায়েতের তালিবপুর গ্রামে তালিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে (Talibpur High School) কোয়ারান্টাইন রুম করার জন্য পরিকল্পনা করেছিল জেলা প্রশাসন। সেই মত এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি টিম ঐ স্কুলে পরিদর্শনে যায। তখনই গ্রামের অনেকেই জড হয়। কোয়রান্টিন সেন্টার করা নিয়ে গ্রামের এক পক্ষ প্রশাসন কে সহাযতার আশ্বাস দেয। তখনই অপর পক্ষ তা করতে তীব্র আপত্তি জানায়। গ্রামের একাংশ এখানে কোয়ারান্টাইন রুম করতে দেবে না বলে বাধা দেয়। তাদের আশঙ্কা সেখানে ভিনরাজ্য সহ বিদেশ থেকে ফেরত আসা লোক জন দের রাখা হলে সারা গ্রাম জুড়ে ছড়িয়ে যাবে সংকরমন। এই নিয়ে গ্রামবাসীরা মধ্যেই দুপক্ষের ভাগ হয়ে যায। তাই প্রশাসনের কর্তাদের সামনেই শুরু হয়ে যায দুপক্ষের বিবাদ। অবস্থা সামলাতে প্রশাসনের কর্তারা পুলিশ ডেকে গ্রাম থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়। তাডা বেরিয়ে এলে দুপক্ষের বচসা চরম আকার নেয়। রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ শুরু হয়ে যায বোমাবাজি। মুহূর্তে গুলি ও চলতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌচছলে পুলিশের সঙ্গেও খণ্ড যুদ্ধ হয় গ্রামবাসীদের একাংশের।
বোমা মৃত্যু হয় একজনের। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শেখ সাইফুদ্দিন ওরফে শ্যামবাবু (Shambabu) ৷ পায়ে গুলি লেগে আহত হয় শেখ মহিবুল রহমান। তাঁকে অবিনাশপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত গ্রাম। চলছে বোমাবাজি। গ্রামের বাইরে বিশাল পুলিশ বাহিনী, কমব্যাট ফোর্স। আরও বেশ কয়েকজন জখম রয়েছেন। তবে তাদের খবর জানা যাচ্ছেনা।
স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই সংঘর্ষ হয়েছে। যদিও সিউড়ি দুই ব্লক তৃণমূল (TMC) সভাপতি নুরুল ইসলাম (Nurul Islam) বলেন, গ্রামের ইস্কুলে কোরটাইন সেন্টার করা কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। তাতৈ একজন মারা গেছে। ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তবে এর সঙ্গে দলের কোন বিষয নেই। “
জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, গ্রামবাসীদের মধ্যে বিবাদের জেরে একজন মারা গেছে। গ্রামে পুলিশ ঢুকছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।”