এই মুহূর্তের সবথেকে আলোচিত একটি নাম রতন কাহার (Ratan Kahar)। যার বাড়ি বীরভূমের সিউড়ি শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নগুরী পাড়ার বাসিন্দা।পাঞ্জাবি জনপ্রিয় গায়ক বাদশা বড়লোকের বেটি লো এই গানটির দুটি লাইন ব্যবহার করেছেন আর এই গানটি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই মুহূর্তে গানটি কয়েক কোটি মানুষ দেখে ফেলেছেন। ও আরো অন্যান্য সোশ্যাল সাইটে লক্ষ লক্ষ এই গানের অডিও নিয়ে ভিডিও তৈরি করছে। বাদশা বাবু জানতেন না এই গানটি কার লেখা তাই তিনি লেখক এর নাম দিতে পারেননি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি সম্প্রতিককালে সোশ্যাল সাইটে লাইভ ভিডিও এসে বলেছেন রতন কাহার বাবুকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এবং তিনি আরও জানিয়েছেন এই মুহূর্তে সারা দেশজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতি না থাকলে নিজে বীরভূম এসে দেখা করতে। আজ থেকে মাত্র ১০ দিন আগে যে মানুষটিকে সেরকম কেউ চিনতো না। যে মানুষটাকে একসময় তার নিজের কাছের মানুষেরা চিনতে অস্বীকার করেছিল।তাঁর আক্ষেপ, ‛বড়লোকের বেটি লো’- এই গানটি যে তাঁর নিজের লেখা ও তাঁর নিজের সুর দেওয়া এই কথাটা বুঝতে ৫০ বছর লেগে গেল। আজকের এই সময় দাঁড়িয়ে এক কথায় সকলেই বলছে রতন কাহারের (Ratan Kahar) গান বড়লোকের_বিটি_লো।
Infinity_waves নামে স্বনামধন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল এই রতন কাহার (Ratan Kahar) মহাশয় এর ডকুমেন্টারি ভিডিও তৈরি করে সারা বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তার সঙ্গে। টিম_গাঁদা_ফুল গায়ক বাদশা (Badsha) সর্বপ্রথম রতন কাহারের (Ratan Kahar) বিষয়ে জানতে পারেন Infinity_waves ইউটিউব চ্যানেলের ডকুমেন্টারি ভিডিও দেখে।এই স্বনামধন্য ইউটিউব চ্যানেলে সব সময় রতন কাহার বাবুর পাশে আছেন।
Infinity_waves একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন একমাত্র তাকে তার প্রাপ্য সম্মান দিয়েছেন স্বনামধন্য গায়ক শিলাজিৎ (Shilajit) বাবু। সর্বপ্রথম বড়লোকের বিটি লো গানটি নিয়েছিলেন একজন স্বনামধন্য গায়িকা স্বপ্না চক্রবর্তী (Swapna Chakraborty)। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বপ্না চক্রবর্তী মহাশয়া এই গানটি তিনি যখন রেকর্ডিং করেছিলেন তখন গানের লেখক এর নাম দেননি। তিনি তাঁর বক্তব্যে আরো অসংখ্য গায়কের কথা ইঙ্গিত করেছেন। তিনি বলেন, ‛বহু জনপ্রিয় ব্যক্তি আমার কাছ থেকে আমার লেখা গান নিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে বহু টাকা পয়সা কামিয়েছে কিন্তু কেউ আমাকে প্রাপ্যসম্মান তেমনি দেয়নি।’আজ তিনিই কার্যত হতাশ। তাঁর গান নিয়ে অন্যের প্রতিষ্ঠিত হলেও, অন্যেরা প্রচুর অর্থ রোজগার করলেও তিনি সেই অন্ধকারে রয়েছেন। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার সামর্থ তাঁর নেই। কথায় বলে, যে ঘরে মা সরস্বতী থাকে, সেখানে মা লক্ষী থাকেন না। রতন কাহারের (Ratan Kahar) ক্ষেত্রে এই কথাটা একদম সত্যি। এইভাবে কিছুও মানুষের ষড়যন্ত্রের ফলে শিল্পীর নাম হয়তো একদিন মুছে যাবে পৃথিবী থেকে, কিন্তু তাঁর সৃষ্টি মানুষকে আনন্দ দিয়ে যাবে চিরদিন।