১৬ মার্চ নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে উনিশের লোকসভায় বিজেপির নির্বাচনী স্লোগান, ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইসঙ্গে এও বলেছিলেন, ৩১ মার্চ ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ অনুষ্ঠানে দেশের সব চৌকিদারদের সামনে নিজের বক্তব্য রাখবেন মোদী। কথা মতোই রবিবার দিল্লির তালকোটরা স্টেডিয়ামে বিকেল ৫টায় চৌকিদারদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী। সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মোদী বলেন, “আমার উপর ভরসা রাখুন। চৌকিদার আপনাদের টাকা সুরক্ষিত রাখবে।”
দিল্লির সভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি কাউকে আপনাদের টাকা ছিনিয়ে নিতে দেব না। দেশের চৌকিদার হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সবার টাকা সুরক্ষিত রাখা।” প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এও বলেন, শুধুমাত্র তিনি একাই চৌকিদার নন, দেশের প্রতিটি মানুষ চৌকিদার। তিনি বলেন, “প্রত্যেক ভারতীয়, তিনি দেশের ভিতরেই থাকুন, আর বাইরেই থাকুন, তিনি শিক্ষিত হন, আর অশিক্ষিত হন, তিনি যুবকই হন, আর বৃদ্ধই হন, প্রত্যেকেই চৌকিদার।” তিনি আরও বলেন, “দেশের প্রতিটি মানুষ, যিনি দেশের উন্নতির জন্য আয়কর দেন, তাঁদেরই অধিকার আছে দেশের উন্নতিতে।”
এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের কটাক্ষও করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই বিরোধীরা প্রতি মুহূর্তে আমার সমালোচনা করেছেন। কিন্তু যতই তাঁরা আমার সমালোচনা করেছেন, দেশের মানুষের মধ্যে আমার জনপ্রিয়তা বেড়েছে।” মোদী বলেন, বিরোধীরা তাঁর সমালোচনা না করে যদি নিজেদের দল গঠনে জোর দিতেন, তাহলে হয়তো তাঁদের জন্য সেটা ভালো হত। অন্যদিকে বিরোধীদের এই সমালোচনায় বিন্দুমাত্র প্রভাবিত না হয়ে দেশ গঠনের কাজ করেছে বিজেপি, এমনটাই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার সকালেই মোদী টুইট করে এই ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ অনুষ্ঠানের কথা ঘোষণা করেন। টুইটে তিনি লেখেন, “যে দিনটার অপেক্ষা করছিলাম, সেই দিন চলে এসেছে। বিকেল ৫টায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ চৌকিদার সরাসরি আমার সঙ্গে যোগ দেবেন। এই অনুষ্ঠান কেউ মিস করবেন না।”
অবশ্য এ দিনের অনুষ্ঠান নিয়েও কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের এক নেতার বক্তব্য, এই সব অনুষ্ঠান করে সাধারণ মানুষের মন জয় করা যাবে না। সাধারণ মানুষ মোদীর প্রকৃত স্বরূপ বুঝে গিয়েছেন। ভোটের ফলেই সাধারণ মানুষ বিজেপিকে সব জবাব দেবেন।