হাসপাতালের মধ্যে তাবলীগ জামাত গুন্ডাদের উপদ্রব: ডাক্তারদের দিচ্ছে গালি গালাজ, থুতু, চাইছে যা খুশি খাবার

সমস্থ দেশবাসী এখন করোনা যোদ্ধাদের উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করছে। ডাক্তার, নার্স সকলকে একটা আলাদা সন্মান দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কট্টরপন্থীরা আবারও ডাক্তারদের সাথে অসভ্যতামি করে উপদ্রব শুরু করেছে। ভারত সরকার করোনাকে (corona)নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছিল। জনগণ সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে প্রশাসনের দ্বারা লাগু নিয়ম কানুনের পালন করছিল। সরকার করোনার চেন ব্রেক করার জন্য লকডাউন জারি করেছিল যা সঠিকভাবে পালন হতেও শুরু হয়েছিল। তবে তাবলীগ জামাত দেশে যে কান্ড করে দিয়েছে তাতে বিশেষজ্ঞরা পর্যন্ত পরবর্তী ১ মাসের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন। তাবলীগ জামাতের কারণে এবার ভাইরাস আরো একবার শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এখনও সরকার তাবলীগ জামাতের লোকজনকে খুঁজে বের করে তাদের চিকিৎসার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এখন যে খবর সামনে আসছে তা খুবই ভয়ানক।

আসলে তাবলীগ জামাতের অনেক লোকজনকে ধরে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। যাদের পজেটিভ ধরা পড়েছে তাদেরও চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তবে জামাতের লোকজন চিকিৎসকদের সাথে অভদ্রতামি করছে বলে খবর সামনে আসছে। ডাক্তার থেকে নার্স কাউকেও এই কট্টরপন্থীরা সহায়তা করছে না বলে জানা যাচ্ছে।

https://twitter.com/iShekharChahal/status/1245304238458073088

জামাতের লোকজন থেকে বাঁচার জন্য এখন ডাক্তার ও নার্সরা সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। জামাতের লোকজন ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য হাসপাতালে নিজেদের থুতু ফেলাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ডাক্তারেরা। এমনিতেই করোনা ভাইরা সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসার অর্থ জীবনের রিস্ক তার মধ্যে এই উন্মাদীরা যা শুরু করেছে তা অত্যন্ত ভয়াবহ।

কিছু কিছু জায়গায় ডাক্তার নার্সদের টিম কট্টরপন্থীদের উপসর্গ দেখতে মুসলিম বহুল এলকায় পৌঁছেছিল। আর সেখানই কট্টরপন্থীরা ভিড় জমা করে ডাক্তারদের ইট, পাথর নিয়ে তেড়ে আসে। জনিয়ে দি, তাবলীগ জামাতের সকলে যাতে সুস্থ হয় তার জন্য সকলকে আলাদা আলাদা কেন্দ্রে প্রেরণ করেছে সরকার। কিন্তু ডাক্তাররা জানিয়েছেন, কট্টরপন্থীরা কখনো খাবার চাইছে, কখনো গালি গালাজ করছে, কখনো হাসপাতালে থুতু দিয়ে ভাইরাস ছড়ানোর কাজ করছে। ডাক্তার ও নার্সরা বলেছেন হয় এদেরকে অন্যত্র কোথাও পাঠান নাহলে এদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সুরক্ষাকর্মী পাঠান। রেলওয়ের এক আধিকারিক দীপক কুমার জানিয়েছেন এরা ডাক্তার ও নার্সদের জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.