পটল পূর্ব ও উত্তর ভারতে পাঞ্জাব থেকে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা ও আসামে বেশি করে চাষ করা হলেও ইন্দো-মালয় অঞ্চলেও এর দেখা মেলে।
এর বিভিন্ন স্বাস্থ্য গুণের কারণে রান্নাঘরে সবজি হিসাবে গ্রীষ্ম থেকে বর্ষা সব সময় পটলের দেখা মেলে। পটল ভাজা, দোলমা, মাছ বা অন্য সবজির সাথে রান্না করেও খাওয়া হয়।
পটলের বিজ্ঞানস্মত নাম ট্রাইকোসানথেস ডায়োইকা(Trichosanthes dioica)
পটল সবজি হিসাবে ব্যবহৃত হলেও এর পাতাকে অনেকে খাবারের তালিকায় রাখেন।
পটলে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ২ ও ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
ক্যালোরি কম থাকার কারণে কোলেস্টেরল নিযন্ত্রণ করে ও শরীরের ওজন কমাতে এর জুড়ি মেলা ভার। যারা ডায়েট করছেন তারা পটল খেতে পারেন।
আয়ুর্বেদে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা হয়।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ঠান্ডা, জ্বর ও গলা ব্যথা বা ফ্লু কমাতে ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয় পটল।
ব্লাড সুগারের মাত্রা প্রাকৃতিকভাবে কমাতে সাহায্য করে পটল ও কচি পটলের বীজ।
ফাইবারের উপস্থিতির কারণে পটল হজমের উন্নতি ঘটায় এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যারও সমাধান করে।
লিভারের সাথে সম্পর্কিত সমস্যা জেমন জন্ডিসে বেশ উপকারী এই সবজিটি।
পটলের বীজ একটি স্বাস্থ্যকর বীজ যা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে। পটলের পাতার রস লিভারের সমস্যায় দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য।
রক্তকে পরিশোধিত করে ত্বকের যত্নেও পটলের উপকারিতা দেখা গেছে। এর ফলে ব্রোণোর সমস্যা দূর হয়।
পটলে ভিটামিন এ , সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বলে ত্বকের জন্য উপকারী। ফ্রি র্যাডিকেল কে ধ্বংস করে ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে পটল।