চলতি মাসের ৯ তারিখ কলকাতার টালা ব্রিজের উপর লরি থেকে উদ্ধার হয় হাজার কেজি ওজনের বিস্ফোরক৷ ওই ঘটনায় ওড়িশা থেকে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ৷ ধৃত মুস্তাফা শেখ, বোম মুস্তফা বলে পরিচিত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে৷ ধৃতের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে৷
ইতিমধ্যেই ধৃত মুস্তফাকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসার ছাড়পত্র পেয়েছে পুলিশ৷ এদিনই তাকে ফের আদালতে পেশ করা হবে বলে লালবাজার সূত্রে খবর৷
টালা ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় কলকাতা পুলিশের টাস্ক ফোর্সের হাতে ধরা পড়ে যায় বিস্ফোরক বোঝাই লরিটি। গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালক ইন্দ্রজিত ভুঁই ও খালাসি পদ্মলোচন দে-কে। ধৃত দু’জনেই ওড়িশার বালেশ্বরের বাসিন্দা বলে জানা যায়৷
ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বিপুল পরিমাণের এই বিস্ফোরক কাদের তৎপরতায় কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা জানার চেষ্টা করে এসটিএফ। পুলিশের কাছ থেকে জানা যায় ধৃত দু’জনকে জেরা করে রবিউল ইসলাম নামে আরও একজনতে গ্রেফতার করা হয়৷ রবিউলের নির্দেশেই ওড়িশা থেকে এই বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক আনা হচ্ছিল বলে জানা যায়৷
পুলিশের জেরাতে রবিউল জানায়, নৈহাটীর বোমা তৈরির কারখানায় বিস্ফোরক পৌঁছানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিল৷ জেরাতে উঠে আসে বোমা মুস্তফার নাম৷ অভিযান চালিয়ে তাকেও গ্রেফতার করল পুলিশ৷ এই নিয়ে টালা ব্রিজে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের জালে মোট চার জন৷
জঙ্গি সংগঠন, নাকি ভোটের মুকে অন্য কোনও কাজে এই বিস্ফোরক ব্যবহার করা হত, ধৃতদের জেরা করে তা জানতে তৎপর লালবাজারের তদন্তকারীরা৷