তাবলীগ ইমাম আল্লামা মুফতি হুজুর মুসলিম রা উপমহাদেশে কোরআন অনুযায়ী চলে। ধর্মের ব্যাপারে সরকারি আইন মানতে বাধ্য করালে রায়ট করে।এদের জন্য শরীয়ত আইনের দেশ দরকার।এদেরকে এদের মতই থাকতে দেয়া উচিত এদের আয়ে। এদের সংগঠন তিন তালাক,caa nrc আইনের বিরোধিতা যাতে প্রত্যেক মুসলিম করে, গণতান্ত্রিক দল বিজেপি (BJP) কে যাতে ভোট না দেয়, সে জন্য তারা ইমামদের মাধ্যমে প্রত্যেক মুসলিম কে মসজিদে নামাজ পড়ার সময় পরামর্শ নিয়মিত দিয়ে যায়। ওয়াজি দের দিয়ে মুসলিম দের টিভি ও সভার মাধ্যমে জানায়,করোনা থেকে মুসলিমদের কোনো ভয় নেই।তার অর্থ তারা জানে, অমুসলিম দের ভয় আছে। তাই অমুসলিমদের কে করোনা আক্রান্ত করতে পারলে ও 50 কোটি ইন্ডিয়ান অমুসলিম মারতে পারলে,ইন্ডিয়া তে অতি সহজে কয়েক বছরের মধ্যে শরিয়তি আইন চালু করতে পারে। এই হিসাব করেই মুসলিম ধর্ম নেতা রা এগিয়েছে। তাতে কিছু মুসলিমরা যদি মরে, সেটা হবে জিহাদে মৃত্যু। জান্নাত বাসী হবে। বিনা ক্ষতি তে কোনো লক্ষ্য পূরণ হয়না।

আমার পুরনো সতর্কবাণী পড়লে জানবেন, আমি করোনা প্রকোপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত , অমুসলিম দের মুসলিম দের থেকে আলাদা থাকতে বলেছি। কেহ কেহ আমায় সাম্প্রদায়িক বলেছে।আমি বাস্তববাদী।

মুসলিম রা কেবল ইসলামিক ফতোয়াতেই বিশ্বাসী। যে 10%মুসলিম বিজ্ঞান মানে, তারা ইসলামে সংখ্যালঘু।তারা এদের ভয়েই চুপ থাকে। তাই অনেক বার আমি লিখেছিলাম, বাংলাদেশে 3 টা প্রদেশ হোক। উদার মুসলিম, মুসলিমঅমুসলিম দের জন্য।

সব মানুষের বাঁচার অধিকার আছে,অন্যের ক্ষতি না করে। মুসলিমদের ও।1450 বছরের আরবি নিয়মে বর্তমান সময়ে বাঁচা কঠিন। আরবি রা তাই দরকারে মসজিদে জামাত বন্ধ করে ও মেনে চলে। young আরবী মুসলিম রা যত মডার্ন, উপমহাদেশের young মুসলিমরা ততই গোড়া ধার্মিক

যেভাবে ইন্ডিয়ান বামপন্থীরা পশ্চিমা মার্ক্সবাদ কমুনিজম না বুঝে মুখস্ত করে উপমহাদেশে চালু করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে, উপমহাদেশের মুসলিম দের বেলায় ও সেটা হয়েছে।বোরখা ইসলামের পূর্বেও ছিল আবহাওয়ার কারণে। এদেশে দরকার হয়না। কিন্তু এদের কে বোঝাবে?

উপমহাদেশের মুসলিমরা মডার্ন আরবি নিয়ম মানতে পারবেনা।কারণ এরা না বুঝে কনভার্টেড মুসলিম। এদের জিনে এই বিশ্বাস ঢুকে গেছে, ইমাম দের কথা না মানলেই মৃত্যুর পর বাকি ‘জীবন‘ খুব কষ্টদায়ক। তাই ভয়ে অন্ধভাবে ইমামদের অনুসরণ করে। আর মুরিদ না থাকলে, ইমামদের পেট সংসার চলবে কি করে?ইমাম আল্লামা রা গৃহ ত্যাগী নারী-ত্যাগী সন্ন্যাসী নয়। এরা একাধিক পত্নীর গর্বিত স্বামী। এত বড় সংসার চালাতে হলে-মানুষকে অতি ধার্মিক বানাতেই হবে।এরা ভালো মার্কেটিং ম্যানেজার। প্রোডাক্ট এর উপর বিশ্বাস টিকিয়ে রাখতে জানে।কোকাকোলা এদের থেকে শিখতে পারে।

করোনা (Corona) সত্যিই আশীর্বাদ।বিশ্ব বাসী কে অনেক শিক্ষা দিয়েছে।সব দেশ এখন অন্য দেশ কে বাঁশ দেবার চিন্তা স্থগিত রেখে, নিজের দেশ কে টিকিয়ে রাখার চিন্তায় ব্যস্ত। সব মানুষ ঘরে থাকতে ও ভাবতে নিজেকে চিনতে বাধ্য হচ্ছে। পরের ক্ষতির কথা এই মুহূর্তে কেহ ভাবেনা।

করোনা মুসলিমদের মধ্যেও পরিবর্তন আনবে।অন্যরাও ইসলাম কে চিনবে। তারপর সবাই এই সিদ্ধান্তে আসতে পারে, মুসলিম রা কোরানে সুখী, অমুসলিম রা বিজ্ঞানে। তারপর পার্মানেন্ট আলাদা হবার ব্যাবস্থা হতে পারে।

অথবা মুসলিমরা বুঝতে শিখবে,সময়ের সাথে তাল মিলিয়েই চলতে হবে হিন্দুদের মত,নতুবা প্রকৃতি বিনাশ করবে। যেভাবে খ্রিস্টান ধর্মে প্রোটেস্টেন্ট শাখার সৃষ্টি হয়েছে, ইসলাম থেকেও আরো একটি নতুন শাখা অদূর ভবিষ্যতে আসবে।

অমুসলিম দের কে করোনা ছড়িয়ে মারার বিশ্বাসে ধাক্কা খেয়েছে। হিন্দুরা এই সব মহামারী অনেক দেখেছে ও তার থেকে শিখে এদের জীবন ধারণ পদ্ধতি পাল্টেছে। এবার অন্য ধর্মের লোকেরা , বিজ্ঞানীরা আরো বেশি হিন্দুত্ব স্টাডি করবে।বিশ্ব সমাজ হিন্দুত্ব মানবে। হিন্দুত্ব স্বপ্নে পাওয়া ধর্ম নয়, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা জীবন পদ্ধতি।শীতলা মায়ের পাশে এবার করোনা মা আসবে। সরস্বতীর পাশে গুগল। অসুর এর চেহারা এবার চীনা প্রেসিডেন্টের মত হবে। সবটাই জন শিক্ষা দেবার জন্য।

যা হয়েছে ভালোই হয়েছে,যা হবে ভালোই হবে। যা হয়েছিল ভালোই হয়েছিল-গীতা।

তাবলীগ বিদেশিদের সম্মানের সাথে কোয়ারেন্টাইন (Quarantine) এ রেখে,সুস্থ্য করে বাড়ি পাঠাক সরকার।নিজামুদ্দিন মসজিদ তাদের ভুলের সব আর্থিক দায় নিক।

মৃণাল মজুমদার (Mrinal Majumdar), বার্লিন (Berlin)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.