বিচিত্র ও জঘন্য খাদ্যাভ্যাস, নিজের দেশের মানুষের প্রতি অমানবিক ও নিষ্ঠুর ব্যবহারের মাধ্যমে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কর্ণধাররা আক্ষরিক অর্থেই যেন ভারতীয় পুরাণে বর্ণিত নর-রাক্ষস। চীনে (China) বিশ্বের সবথেকে বেশি নাস্তিক মানুষ বাস করে।অমানবিক, হিংস্র ও নিষ্ঠুর আচরণ না করার ক্ষেত্রে যে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ কাজ করে তা এদের একদমই নেই। এদের প্রায় সবাই কমিউনিস্ট ক্যাডার। যে কোনও পৈশাচিক কাজ এরা ঠান্ডা মাথায় করতে পারে। সে দেশের যা কিছু উন্নতি, সুখ স্বাচ্ছন্দ সবই কমিউনিস্ট ক্যাডার ও তাদের আত্মীয় স্বজনদের জন্য। সাংহাই এর মত নগর কেন্দ্রিক উন্নতি, জাঁকজমক এর যে ছবি তারা দেখায় তা শুধু ওই মুষ্টিমেয় মানুষের জন্য। অবশিষ্ট চীন অন্ধকারময় সেখানে সাধারণ মানুষের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। এদের বিভৎসতা ও পৈশাচিকতার কিছু নমুনা – কথায় বলে চারপেয়েদের মধ্যে চেয়ার, টেবিল, খাট ও দু-পেয়ের মধ্যে মানুষ,আকাশে ওড়া এরোপ্লেন বাদে বহু চীনা (China) সবই খায়। ফসলের ক্ষতি করে বলে চীনারা অধিকাংশ প্রজাতির পাখি, পশু ও পোকামাকড় খেয়ে লোপাট করে দিয়েছে। ভারত সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চোরা শিকারিদের মাধ্যমে এরা বাঘ মেরে ফেলছে । কারণ, বাঘের অন্ডকোষের ডালনা, লিঙ্গের সুপ ইত্যাদি খেলে নাকি তাদের যৌন ক্ষমতা বাঘের মতো হবে ইত্যাদি। কাজেই এ ধরনের বিচিত্র খাদ্য ভক্ষণকারী তামসিক ও নাস্তিক মানব গোষ্ঠী ” সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ” নীতিতে বিশ্বাসী ভারতীয়দের কাছে সব সময় বিপদজনক। ১৯৬২- তে তার জলজ্যান্ত প্রমাণ আমরা পেয়েছি।
এদের অভিনব পৈশাচিক কীর্তির এখানেই শেষ নয়।বহু বছর আগে ২০০৫ সালে ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া ‘- য় এ সেপ্টেম্বর মাসে একটি প্রতিবেদন ( রেশমি রোশন লিখিত) প্রকাশিত হয় যে,” চীনে ফাঁসি দেওয়ার পর মৃতদের চামড়া ছাড়িয়ে তা থেকে প্রাপ্ত এক ধরনের রাসায়নিক দিয়ে চীনা কোম্পানি লিপস্টিক ও কোলাজেন ইনজেকশন তৈরি করে যা ব্যবহারে নাকি মানুষের বয়স কম দেখায়। ওই প্রতিবেদনে প্রকাশ যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ১৯৯৫- তে আমেরিকান সিনেটকে জানায় যে চিনে ৯০% প্রতিস্থাপিত কিডনি ফাঁসিতে মৃত বন্দীদের দেহ থেকে সংগৃহীত হয়। উদ্ধত চীন এসব কিছুকে তাদের পরম্পরা মনে করে। শুধু ২০০৪ সালের পরিসংখ্যান দেখায় যে সারাবিশ্বে প্রায় ৫৫০০ ফাঁসির মধ্যে শুধু চিনে প্রায় ৫০০০ ফাঁসি হয়েছে। সেই সময়ের গড় হিসাব দেখায় যে প্রতিবছর সারাবিশ্বে কার্যকর ফাঁসির ৭৭% চিনে হয়। চীনে গড়ে প্রতিদিন ৬২ জনের ফাঁসি হয়।” তাহলেই বুঝুন যে শিরদাঁড়ায় কাঁপন ধরিয়ে দেওয়া উপরোক্ত পৈশাচিক কাজের জন্য চীনে বেশি সংখ্যক ফাঁসি কার্যকর করতে একটা দুষ্ট চক্র কাজ করে। নিজ দেশবাসীর সঙ্গে যারা এরকম নারকীয় আচরণ করে তারা অন্য দেশের সঙ্গে যে কী করতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। যেমন, হাসপাতালের রোগীদের রক্ত, থুতু, মলমূত্র যুক্ত তুলো, ব্যান্ডেজ ও মহিলাদের ব্যবহৃত ন্যাপকিন দিয়ে খেলনা তৈরি করে চীন নাম মাত্র মূল্যে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষভাবে এর ফলে ভারতে খেলনা ও অন্যান্য ক্ষুদ্র শিল্প প্রায় ধ্বংস হওয়ার মুখে।
এখন যে করোনা ভাইরাসের (Corona virus) জন্য সারা বিশ্বে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে তার পিছনেও নাটের গুরু চীন (China) । চীনের ধারাবাহিক অতীত পৈশাচিক কুকীর্তির প্রেক্ষিতে অনেক সন্দেহ ও আশঙ্কা মনে জাগে যা একেবারেই অমূলক নয়। যেমন ১) বর্তমানে চীনের জনসংখ্যার একজন যুবক পিছু প্রায় ছয় জন প্রবীণ। বেজিং এইএই প্রবীণ মানুষদের বোঝা এবং তার আর্থিক বিকাস দর বৃদ্ধির পথে প্রধান বাধা মনে করে। তাই প্রবীণ নাগরিকদের বোঝা কমানোর জন্য বেজিং জেনেটিক্যালি মডিফাইড করোনা ভাইরাস (Corona virus) তৈরি করতে পারে যা ষাটোর্ধ্ব মানুষের ক্ষেত্রে যমদূত। এর প্রতিষেধকও হয়তো তৈরি করেছে। যা করোনা আক্রান্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের দেওয়া হবে না, কিন্তু অন্যরা আক্রান্ত হলে দেওয়া হবে। এর ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে মসৃণভাবে বৃদ্ধ মানুষদের নিকেশ করে দেওয়া যাবে।
২) নিজেরা প্রতিষেধক তৈরি করে অন্য দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়া। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৫ কোটি চিনা পর্যটকদের যে কেউ এর বাহক হতে পারে। ইতালি ও আমেরিকায় এত বেশি সংক্রমণের কারণ ওই দুই দেশে চীনা পর্যটকের সংখ্যা সবথেকে বেশি। নিজেদের সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখতে নিজের দেশে স্বল্প মাত্রায় ছড়ানো এবং কিছু মৃত্যু ঘটতে দেওয়া। এর ফলে কিছুদিন ব্যবসা-বাণিজ্য, রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ক্ষতি নেই। আর্থিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার জন্য কিছুদিনের মধ্যেই তারা তা সামলে নেবে। কিন্তু আর্থিকভাবে নিম্ন ও মাঝারি মানের দেশ সে ধাক্কা সামলাতে পারবে না কারণ তাদের কাছে প্রতিষেধক না থাকায় মৃত্যু ও আর্থিক ক্ষতি হবে ব্যাপক। সেই সুযোগে ওই সমস্ত দেশগুলির বন্ধু সেজে তাদেরকে ঋণের ফাঁদে ফেলা যা আগামী দিনে তাদেরকে আর্থিকভাবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শক্তিশালী দেশ হতে সাহায্য করবে। ইতালি, ইংল্যান্ড ও ইরানের পরিণতি সে কথাই মনে করাচ্ছে। এমনকি আমেরিকাও করোনার মুখোমুখি হয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
আর ভারতের (India) মত প্রবল প্রতিপক্ষ যে আগামী দিনে আর্থিক শক্তিরুপে চীনকেও ছাপিয়ে যেতে পারে এবং আমেরিকা যদি অনেকটা কাবু হয় তা হলে চীনের সামনে দাঁড়ানোর মত আর কেউ থাকবে না। অবশ্য শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে আমরা এই করোনা বিপর্যয় কাটিয়ে উঠব এই বিশ্বাস আমাদের আছে।
৩) চীন জীবাণু ও জৈব- রাসায়নিক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবং এটা একটা মহড়া যা হয় ইচ্ছাকৃত নয় তো দুর্ঘটনাজনিত। যদিও শেষোক্ত ক্ষেত্রেও চীন নিজের দায়িত্ব এড়াতে পারে না।
উপরের কোনটি ঠিক তা একমাত্র চীনেরই কোনও অকুতোভয় ও মহান হৃদয় ব্যক্তি( যেমন ক্লাওস ফ্লুক্স নামক বিজ্ঞানী পরমাণু বোমার প্রযুক্তি কৌশল গোপনে রাশিয়ায় পাচার করে দিয়েছিলেন যাতে বিশ্বে ভারসাম্য থাকে) বা বিদেশী গুপ্তচর যদি নিজেদের প্রাণের বাজি রেখে উপযুক্ত প্রমাণ সহ প্রকাশ করেন তবেই বিশ্ববাসী জানতে পারবে । তবে তার সম্ভাবনা খুবই কম কারণ দেশটার নাম চিন। সেখানে গণতন্ত্র নেই, নির্বাচন নেই, বিরোধী দল নেই। কমিউনিস্ট পার্টির একদলীয় শাসনের নিষ্পেষণে সাধারণ মানুষের জীবন নরক হয়ে উঠেছে যার সামান্যতম আমরা জানতে পারি না। সেখানে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নেই । সেখানে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের জ্বালানী শেষ হয়ে যায় , ফেসবুক মুখ থুবড়ে পড়ে। জুকেরবার্গ সেখানে জোকার হয়ে যান। হোয়াটস অ্যাপ সেখানে শাট আপ (তাদের যত বাহাদুরি ভারতের মতো উদার ও গণতান্ত্রিক দেশে।)
সেখানকার যে ডাক্তার/বিজ্ঞানী এই চিনা (Chinese) ভাইরাস সম্পর্কে কিছু গোপন তথ্য প্রকাশ করেন তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। একজন রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী করোনা নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্টকে ভাঁড় বলার কদিন পর থেকে আত্মীয়-স্বজন তার আর কোনও খোঁজ পাচ্ছে না।
চিনা (Chinese) কমিউনিস্ট পার্টির একমাত্র লক্ষ্য আর্থিক ও সামরিক শক্তিতে বলিয়ান হয়ে সারাবিশ্বে দাদাগিরি করা। এইজন্য তারা নিজের দেশবাসীর সঙ্গেও ক্রীতদাসের মতো ব্যবহার করে । কমিউনিস্ট নেতা ও তাদের আত্মীয় স্বজনকে তুষ্ট রেখে বিশ্বের সমস্ত বহুজাতিক সংস্থা স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিশ্বের সব থেকে কম মজুরিতে সাধারণ চীনাদের অকথ্য শোষণের মধ্য দিয়ে খাটাতে পারে। তাই চীনে উৎপাদিত পণ্য বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় সস্তা। বিশ্বের বহু দেশে শিল্পোৎপাদন চিন থেকে আমদানি করা যন্ত্রাংশের উপর নির্ভরশীল।
বিচিত্র ব্যাপার হল শুধু সস্তায় পণ্য তৈরীর লালসায় বিশ্বের বহু দেশ, বহু কোম্পানি যারা আবার অনেকে মিডিয়া হাউসের মালিক, তারা চীনে নারকীয় ও বীভৎস কার্যকলাপ নিয়ে একেবারে নিরব।
এরজন্য ঘরে ও বাইরে চীনের ঔদ্ধত্য আকাশ
ছোঁয়া। তারা ভারতের সাথে বন্ধুত্বের ভান করলেও নিজেদের অনলাইন মানচিত্রে সম্পূর্ণ কাশ্মিরকে কখনোই ভারতের অংশ হিসেবে দেখায় না। অরুণাচল কে ক্রমাগত নিজেদের বলে দাবি করে। নিজেদের সাম্রাজ্যবাদী অভিলিপ্সা পূরণ করার জন্য নেপাল ভুটান সর্বত্র ভারতকে অপদস্থ করার চেষ্টা করে। ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ পাক অধিকৃত কাশ্মীর এর মধ্য দিয়ে করিডোর তৈরীর সুযোগ খুঁজছে। জাল ঔষধ এর মোড়কে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লিখে দীর্ঘদিন ধরে তারা ভারতের ঔষধ শিল্পের বিশাল রপ্তানি বাজার ধ্বংসের চেষ্টা করে আসছে। বেইজিংয়ের সরকারি মুখপাত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’ – এ ভারত ও ভারতীয়দের সম্পর্কে অপমানকর মন্তব্য পূর্ণ প্রবন্ধ ছাপা হয়। যেমন, ” ভারতীয়রা কামচোর; তারা কম পরিশ্রম করে, ইউনিয়ন করে আর বেশি অর্থ চায়; ভারতীয় পণ্য চীনা পণ্যের থেকে নিকৃষ্ট; ভারতীয়রা চীনা পণ্যের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল; তাই ভারত সরকার চীনা পণ্য নিয়ে শুধু চেঁচাতে পারে, কিন্তু চীনকে কামড়াতে পারবেনা ইত্যাদি ইত্যাদি।”
তাই আজ করোনা নিয়ে চীন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলে যে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তা কাজে লাগিয়ে বেজিংকে (Beijing) ‘ আইসোলেশনে’ পাঠাতে হবে। যা চীনের শক্তি সেটাই উল্টো দিক দিয়ে তার দুর্বলতা। চীনের অর্থনীতির ৬০ শতাংশ রপ্তানি নির্ভর। এই কেলেঙ্কারির জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে চীনা পণ্য বয়কটের ডাক দিতে হবে। যতদিন চীনে ওই দূর্বিনীত পৈশাচিক কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় থাকবে ততদিন যদি আন্তর্জাতিক মহল একযোগে চীন থেকে আমদানি কমিয়ে দেয় তবে চীনের কোমর ভেঙ্গে যাবে। কারণ, শক্তিশালী সোভিয়েত রাশিয়া কোনও যুদ্ধের জন্য দুর্বল হয়নি। আর্থিক দুর্বলতার জন্য সে ভেঙে খান খান হয়ে গেছে। তাই চীনকে ভাতে মারার এটাই সুবর্ণ সুযোগ।
ভারতবাসীকে মনে রাখতে হবে যে সস্তা চিনা পণ্য কেনার মানে হলো প্রথমত, সেখানকার শ্রমিকের উপর চলা অকথ্য শোষণের ভাগিদার হওয়া। দ্বিতীয়তঃ নিজের দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ধ্বংসের ভাগিদার হওয়া, যার পরিণতিতে আমাদের ঘরের সন্তানরাই কাজ হারাচ্ছে ।তৃতীয়ত, ওই লাভ এর অর্থ দিয়ে বেইজিং ভারতকে টুকরো টুকরো করার জন্য পাকিস্তান, ইসলামী জঙ্গী ও মাওবাদীদের সাহায্য করছে। তাই চীনা পণ্য কেনার মানে ভারত বিরোধী ওই চক্রান্তেরও ভাগীদার হওয়া।
স্বয়ং গান্ধীজি বলেছেন “আমরা যেমন উৎকৃষ্টতর জলবায়ুর জন্য স্বদেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যাই না, সেইরূপ বিদেশি জিনিস বেশি সস্তা বা সুন্দর হলেও দেশি জিনিস বর্জন করা আমাদের কর্তব্য নয়। যে স্বামী নিজের স্ত্রী সুন্দরী নয় বলে অন্য সুন্দরী স্ত্রীলোকের সন্ধানে যায়, সে যেমন স্ত্রীর কাছে বিশ্বাসঘাতক প্রতিপন্ন হয়, সেইরূপ যে ব্যক্তি স্বদেশী জিনিসের চেয়ে ভালো বলে বিদেশী জিনিস পছন্দ করে সে তার দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। প্রতি দেশের উন্নতির নিয়ম এই যে, সেই দেশের অধিবাসীরা স্বদেশে উৎপন্ন দ্রব্য অধিক পছন্দ করবে। ( ইয়ং ইন্ডিয়া ৩০-০৫-২৯) চীনা পণ্য বর্জনে আমাদের এই ভাবনাকেও পাথেয় করতে হবে।
বেজিংকে কোনঠাসা করার ক্ষেত্রে ভারতের সুবিধাজনক অবস্থানও এক্ষেত্রে বিবেচ্য। প্রথমত ভারতের চাষযোগ্য জমির পরিমাণ ১৬.৫ কোটি একর। চীনের মাত্র ৯ কোটি একর। ভারতের সেচযুক্ত জমি প্রায় ৬ কোটি একর, বিশ্বে প্রথম। এখনও ভারত মূলত কৃষি নির্ভর দেশ। তাই আর্থিক মন্দার সম্মুখীন হলেও ন্যূনতম ডাল ভাত/ রুটি খেয়ে আমরা দীর্ঘদিন টিকে থাকতে পারব। রপ্তানি নির্ভর চীনের পক্ষে দীর্ঘদিন তা সম্ভব নয় । দ্বিতীয়তঃ, আগেই বলেছি চীনে একজন যুবক প্রতি বৃদ্ধের অনুপাত ৬ যা চীনের আর্থিক বিকাশ ব্যাহত করবে। অন্য দিকে, ভারতের জনসংখ্যায় তরুণ প্রজন্মের হার বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক। বিশ্বের প্রায় ৩০ শতাংশ শ্রমশক্তি ভারতের। যে কোনো উন্নয়ন মূলক কার্যকলাপ, যুদ্ধ, বিপর্যয়ের সময় এই যুব শক্তি ভারতের কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ ও চীনের তুলনায় সুবিধাজনক।
তৃতীয়তঃ, চীনা পণ্যের তুলনায় বিশ্ববাজারে ভারতীয় পণ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেশি।
চতুর্থত,ভারতের অর্থনীতি চীনের মতো শুধুমাত্র শিল্পজাত পণ্যের রপ্তানির উপর নির্ভরশীল নয়। চীনে ভারতীয় পণ্যের রপ্তানির তুলনায় ভারতে চীনা পণ্যের আমদানি অনেক গুণ বেশি। তাই চীনের সঙ্গে ভারতের আমদানি ও রপ্তানি দুইই যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে চীনের ক্ষতি ভারতের তুলনায় বহুগুণ বেশি।
সবশেষে, কিন্তু সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বেইজিংকে বিচ্ছিন্ন করতে হলে ভারতকে তার বিকল্প হয়ে উঠতে হবে। আমেরিকা বা ইউরোপের অন্য যে কোনও উন্নত দেশের তুলনায় ভারতে এখনো শ্রমিক সস্তা। একশ দিনের কাজের প্রকল্পে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনুৎপাদক কাজের জন্য মজুরি দেওয়া হয় যেমন, কারো ব্যক্তিগত পুকুর কাটা, বাড়ির ভিত মাটি দিয়ে উঁচু করা ,শীত-গ্রীষ্মে মাটি কেটে রাস্তা উঁচু করা, বর্ষায় সেই মাটি ধুয়ে যাওয়ায় পরের বছর আবার তা উঁচু করা ইত্যাদি। এক্ষেত্রে ভারত সরকার এক কৌশল অবলম্বন করতে পারে। যেমন, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে স্বদেশী/ বিদেশী যে সংস্থা ভারতে পণ্য তৈরি করে রফতানি করবে তাদের ক্ষেত্রে নিযুক্ত শ্রমিকদের বর্তমান ন্যূনতম মজুরি আরো কিছুটা কমিয়ে এবং একশ দিনের অনুৎপাদক কাজে খরচ হওয়া টাকা সেই অনুপাতে সরাসরি ওই শ্রমিকদের একাউন্টে পাঠান যাতে শ্রমিকরা আগের মতোই মজুরি পান কিন্তু মজুরি বাবদ উৎপাদকদের খরচ কম হয়। এর পাশাপাশি বাড়তি শিল্প শ্রমিকের চাহিদা পূরণের জন্য দ্রুত ‘স্কিল ইন্ডিয়া‘ প্রকল্পের মাধ্যমে অদক্ষ শ্রমিককে অর্ধদক্ষ ও দক্ষ করে তোলা। এর ফলে সস্তায় পণ্য তৈরিতে লালায়িত বিদেশি সংস্থা চীনের পরিবর্তে ভারতে পণ্য তৈরিতে আগ্রহী হবে।
চীনের শোষিত, নির্যাতিত সাধারণ মানুষের প্রতি আমাদের কোন বিদ্বেষ নেই। তাই উপরোক্ত কৌশলে, আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতা এবং ভারতবাসীর আন্তরিক সদিচ্ছা ও দৃঢ়তা বলে যদি আমরা বেইজিংকে ‘ আইসোলেশনে ‘ পাঠাতে পারি তা হলে এটা নিশ্চিত যে অদূর ভবিষ্যতে সেখানে জনমনে কমিউনিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ বারুদের স্তুপ হয়ে আছে তাতে বিস্ফোরণ ঘটবে এবং সোভিয়েত রাশিয়া, রোমানিয়ার মত চিনেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, যা শুধু চীনবাসীর পক্ষেই নয়, বিশ্বের পক্ষেও মঙ্গল জনক।
বোধিসত্ত্ব সমাজপতি ( Bodhisatwa Samajpati )
The time has come to isolate Beijing or to send Beijing into isolation
Through typical and horrible food habits, inhumane and cruel attitude towards own people, Chinese Communist party literally have become groups of demons as described in Bharatiya Puranas. Highest number of atheists in the world live in China. They are absolutely devoid of those moral and spiritual values which help to abstain from cruel, inhumane and hellish behaviour. Most of them are communist cadres. They can commit any kind of hellish work with cool brain. The entire development there are solely for those communist cadres and their near and dear ones. The picture of Shanghai like smartcity based development, prosperity shown by them is only for those limited people. The rest of China is completely sullen. People are suppressed there and have completely lost their utterance. Some example of their horrible and hellish works are – as the saying goes that most of such Chinese people eat everything except human being among twolegged, chairs, tables and devans among fourlegged and aeroplane among flying beings in the sky. These Chinese have almost eaten out majority species of birds, animals and insects as these are harmful to agro products. They usually collect tiger’s meat through hunters from Bharat and other Asian countries. They believe that tiger’s testicle curry, penis soup will make them sexually powerful like a tiger. Imagine how nasty are their thoughts! People having such typical, filthy food habit and atheists are invariably injurious to the peace loving, calm & quiet and more or less spiritual Bharatiya People who believe in the principle of ” sarve bhavantu sukhina ” i.e ” let’s all be happy”. we have experienced its burning proof in 1962.
This is not the end of their hellish and devilish works. A report by Reshmi Roshan in Times of India, September 2005, in a nutshell stated that,” a Chinese cosmetics company harvest skin from the corpses of executed convicts to develop beauty products, lipsticks and collagen injection for sale in the UK and Europe used for anti aging and beauty treatment, cosmetic surgery to plum up lips to highlight pouting beauty and to iron out wrinkles.” The report further states that,” amnesty international has told US Senate that nearly 90% of transplanted kidneys in China come from executed prisoners.” Not only that,” at least 5000 of the roughly 5500 known execution worldwide in 2004 took place in China. ……….according to recent statistics gathered just over a decade ago 77% of all executions that took place in the world occurred in China. The country l routinely executes 62 people a day.” The report claims that, “the Chinese see the practice as ‘traditional’ and nothing is unethical about harvesting the skin of condemned convicts.” So it can be concluded that a vicious circle is heavily proactive in China to cause more execution by any means. Now it is easily apprehensive that, those who are accustomed to behave with their own people in such a nasty way could treat the people of other countries in any way. As follows that China has spreaded out worldwide moulded toys made of used cotton, bandages for patients and women’s napkins. Just imagine their filthi thoughts and deeds.
This scenario leaves no room for any doubt that China is also the king pin behind this Corona disaster which has created worldwide tremors. Keeping in view of the continuous and past devilish misdeeds, several suspicions come to mind which can’t be nullified as baseless. Such as 1) At present the ratio of young and old in China’s population is 1:6. Beijing consider these senior citizens as a burden since they are the main obstacles for rapid economic growth . So to reduce this burden considerably it is quite possible that Beijing has developed genetically modified Corona virus which is particularly dreadful to senior citizens. They might have also invented it’s resistant/ vaccine not to be applied for the Corona infected senior citizens but for others. As a result, smoothly and silently within a specific period senior citizens would be wiped out.
2) Having invented vaccine/resistant, let these viruses be spreaded out in other countries in normal way. (any one of the 15crores(approx) Chinese travellers going abroad each year may be its carrier. Italy and America are affected so much because number of Chinese travellers in these two countries are maximum. And just to keep ownselves above and beyond suspicion let it be spreaded in their own country and even let some people die there. If businesses, economy suffer to some extent, no matter. Being economically strong they would tackle it easily. But this Corona episode will cause huge economic debacle in economically weak or mediocre countries since they would suffer immensely for not having any resistant/ vaccine. And taking this chance, China would pretend to be their friend in need and bring them into it’s debt trap. It would help Beijing to be Economically the most powerful country. The consequences of Italy, Spain and Iran like countries are indicating the same. Even America is quite at a loss facing Corona. And if Bharat, which is capable to supercede China economically in near future and America would suffer a lot, there would be none to stand before the Chinese dragon. Though all of us strongly believe that we would be certainly victorious in this fight against this Chinese virus.
3) China is taking preparation for bio-chemcial war and it’s a trial either willful or accidental, though China can’t deny its responsibility in the latter case also.
Now, which above-mentioned hypothesis is the true one could be known by the world only if some daredevil and great hearted persons ( like Claose Flukes who secretly passed the technology of atom bombs to Russia so that a balance of power could be maintained in the world) or undercover agents would be able to reveal the same even at the stake of their life. But it is almost impossible, because the name of the country is China. There is no democracy, no election, no opposition. Lives of ordinary people there have become hell under the oppression of the communist dictatorship. We couldn’t even know a little bit of that. The number of post Corona death cases in China so far as we have come to know is nothing but tip of the iceberg only. Because, media enjoys no freedom there. The fuel of Google search engine exhausts there; Facebook is defaced; Zukerberg becomes a joker and WhatsApp has to shut up there. Their entire charisma is in Bharat or alike democratic countries.
There is no trace of the doctor or scientist who for the first time revealed some secrets of this virus. A real state merchant who has called the Chinese president a joker in the context of Corona debacle, subsequently is not being traced by his kith and Kin.
The sole objective of Chinese Communist party is to dominate the world like Hitler or Stalin, having been supreme economic and military power. Even Mao dreamt of a complete atomic war on the assumption that at the end of the war the entire population of America, Russia, Japan ( the then potential rival of China) would be almost wiped out but China would have at least 35 to 40 crores population to rule the world. Thank God! such a hellish dream couldn’t be materialised. For this, even they treat their own people (except communist cadres and their near and dear ones) like slaves. Any business concern (either domestic or foreign) can exploit Chinese laborers by paying them lowest wages in the world by just satisfying the communist leaders and their kith and kin. Under the communist regime Chinese laborers are not in a position to burgain for proper wages through their respective trade union as they have no right to form a trade Union at all( perfect example of proletarian dictatorship indeed!). That’s why China made products are the cheapest in the world and it has become the only destination for all the manufacturers worldwide just to reap of the benefits of lowest cost. As a result, industrial production of many countries have become completely dependent on plant and machinery, tools, spare parts and semi-finished inputs either imported from or made in China. Many countries and MNCs ( some of them also own media houses) typically keep mum on all such above hellish and inhumane misdeeds of Beijing just to do business with low-cost.
For this reason, Chinese arrogance has no limit. They pretend to be a close friend of Bharat but never show entire Kashmir in their official maps. They always demand Arunachal as their own territory and try to project it as a disputed territory. They have been trying to humiliate Bharat in Nepal, Bhutan everywhere. They eagerly want to build corridor through POK which is unquestionably integral part of Bharat. Their adament attitude in South China violating the judgement of the international law tribunal is well known to all. Their paid agents have been marking label or packages of fake medicines with “made in India ” in order to malign Goodwill of original Medicines ‘made in Bharat’ as well as to destroy the huge worldwide export markets of ‘made in Bharat’ medicines. Beijing’s official correspondent ‘Global Times’ is accustomed to publish article filled with deragotery comments against Bharat and Bharatiya People such as- we have no work culture; we work less but demand more through trade union; Bharatiya products are inferior than Chinese products; we are completely dependent on Chinese products from dawn to late night; so Delhi can only bark but can’t bite etc.
Now this is our turn. Capitalizing the environment of suspicion and anger created against Beijing among international community in the context of Corona disaster, the time has come to send China into ‘Isolation’. For their misdeed, now the world community are compelling to maintain ‘Social Distance ‘ and passing days through immense mental agony. We should pay back all these along with interest to China by just maintaining ‘ Economic Distance ‘ with them i.e to lock down imports from China.
The strength of China is reversely their weakness also. Sixty percent of China’s economy is export- based. There should be a worldwide call for boycotting ‘China made products’. If world community collectively ‘Lock Down’ imports from China, the backbone of their economy will definitely crumble down. In this way we could Knock down Beijing not by hand but by bread.
Every Bharatiya should always keep in mind that to buy China made products really means 1) to be the partner of those inhumane exploitation of Chinese hapless laborers. 2) to be responsible for destruction of our domestic small and cottage industries, as a result of which our own youths are losing their jobs or not getting.
3) With those profits China is becoming more and more powerful economically and militarily; helping Pakistan, Islamic militants and Maoists ( tukde tukde gang) just to break Bharat into pieces. So, to buy Chinese products means to be an associate of that bloody conspiracy indirectly.
Gandhiji said,” Since we don’t go to any foreign country leaving our motherland just for better climate, it’s not our duty to reject or boycott domestic goods if foreign goods are cheaper and more beautiful. The husband, who goes in search for other woman as his own wife is not beautiful, is considered a betrayer to his wife, similarly, the person who likes foreign goods for being better than domestic goods also betrays his own country. The rule for the progress of each country is that, the countrymen should prefer domestic goods more.” ( Translated, Young India, 30-05-1929) We should follow this feeling for boycotting ‘ made in China’ products.
In the context of isolating China, the favourable position of Bharat is also noteworthy. Firstly the volume of cultivable land in Bharat is 16.5 crores acres. In China it’s only 9 crores. Irrigable land is 6 crores acres (approx), first in the world. So, we are capable to survive for a long period just consuming rice/ bread and pulses which is not possible for export based China. Secondly, as already stated that the ratio between young and old in China is 1:6. It would distort their economic growth. in comparison the percentage of young generation in Bharat is the highest in the world. Approximately 30% of labour force in the world is of Bharat. In case of any developmental work, war or disaster this youth power is a blessing and advantage for Bharat in comparison with China.
Thirdly, reliability and durability of ‘made in Bharat’ products in international market is much more higher than ‘made in China’ products. So, if we can reduce the production cost to a further extent, in the long run we will obviously be the winner.
Fourthly, Bhartiya economy is not solely dependent on exports like China. Imports from China is near about five times higher than exports to China. If Bharat -China bilateral trade is locked down or curtailed to a great extent, the financial loss to China would be many times higher than Bharat.
And lastly the most important factor is, we should have to be the best alternative to China for all manufacturers worldwide. The rate of wages in Bharat is still much lower than any developed countries in Europe and America. On the other side, as per” hundred day’s work” scheme, in most of the cases wages are paid for non productive work. For example, digging personal pond; increasing the base height of any individual house with soil; making village road high cutting soil from two sides which is washed out in the rainy season and in the next year again making the same roads high and so on.
Government of Bharat Can adopt a strategy such as, the current rate of wages for the labourers employed under ‘make in India’ scheme should be reduced considerably and non productive wages incurred under’ hundred day’s work’ scheme would be transferred to those labourers account to that extent so that ultimately each labour would get the same wages but manufacturer have to pay less. As a result, production cost in Bharat will be considerably reduced and for this no labourer would be deprived or exploited like in China. It would make ‘make in India’ scheme most popular Worldwide. Parallelly, under ‘skill India’ scheme the unskilled labourer should be imparted skill to make them skilled and semi skilled. Consequently, manufacturers worldwide eager to do business at low cost would be greatly attracted to make in Bharat instead of China.
Therefore, in a nutshell our core strategy should be i) calling people worldwide to boycott ‘ made in China’ products ii) to maintain ‘economic or business distance’ with Beijing iii) to lock down imports from Beijing. iv) to send Beijing into isolation
We have no hatred or annoyance to the hapless common people of China exploited and opressed by the communist regime. We should increase ‘People to people contact’ with Chinese ordinary people. If we adopt the above strategy with cordial goodwill and conviction it is inevitable that we would be able to isolate Beijing in the long run and the cumulative anger in the mind of common people against the Chinese Communist party would obviously blast and democracy would be established in China like Soviet Union, Romania which is not only auspicious for the common Chinese, but also for the world.
Bodhisatwa Samajpati