শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে কমবেশি সব রাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরাই এগিয়ে এসেছেন। পিছিয়ে নেই ওপার বাংলার বিজ্ঞানীরাও। সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, বাংলাদেশের কয়েকজন বিজ্ঞানী মিলে একটি কোভিড-১৯ টেস্ট কিট আবিষ্কার করেছেন। তার দাম পড়বে তিন ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় আড়াইশ টাকা। মাত্র পনেরো মিনিটে ওই কিট দিয়ে পরীক্ষা করে বলে দেওয়া যাবে কোনও ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা।
দক্ষিণ এশিয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল নিয়ন্ত্রক সংস্থা—ডিরেক্টর জেনারেল অব ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিজিডিএ) এ ব্যাপারে তাদের সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে, যাতে তারা ওই কিটের গণ উৎপদান করতে পারে। কারণ, কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোখার ক্ষেত্রে অন্যতম পথই হল-টেস্টিং টেস্টিং অ্যান্ড টেস্টিং। সন্দেহজনক মনে হলেই পরীক্ষা করো। আর পজিটিভ ধরা পড়লে তাঁকে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা রাখো। যাতে নতুন কারও মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে।
বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলিতে গত সপ্তাহে লেখা হয়েছে যে তাদের দেশের জনসংখ্যার তুলনায় পর্যাপ্ত টেস্ট কিট নেই। সেই প্রেক্ষাপটে দেশের বিজ্ঞানীরা যে টেস্ট কিট আবিষ্কার করেছে তা ইতিবাচক বইকি। উন্নতিশীল রাষ্ট্র হিসাবে সাফল্যও বটে।
বাংলাদেশে এই কিটটি তৈরি করছে গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক লিমিটেড নামে একটি সংস্থা। তারা যে কিট তৈরি করেছে সেরকমই একটি কিট জানুয়ারি মাসে চিনেও তৈরি হয়েছিল। চিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর পরই তা তৈরি হয়েছে সেখানে। ওই টেস্ট কিট চিন কিছু অস্ট্রেলিয়াতেও রফতানি করেছিল।