উদ্যমেনহিপুরুষসিংহমূপৈতিলক্ষ্মী ।
দৈর্বেন দেয়মিতি কাপুরুষা বদন্তি ।।
দৈর্বং নিহত্য কুরু পৌরুষমাত্যশক্ত্যা ।
যত্নে কৃতে যদিনঃ সিদ্ধতি কোহত্র দোষঃ ।।
আমাদের পৃথিবী, আধুনিক বিশ্ব – – বৃহত্তর ব্রহ্মাণ্ডের অন্তর্গত একটি ক্ষুদ্রতর অংশ। একটি জীবনীশক্তি সম্পন্ন গ্রহ। যেখানে সৃষ্টির আদি কাল হতেই বিবর্তনের সূত্র ধরে অজানা সময়ের সরণির ধারাপাতে অসংখ্য প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের সাথে প্রতিষ্ঠা ও বিকাশ লাভ করেছে – – “মানব সভ্যতা” , যার প্রাণকেন্দ্র – “মানব জাতি” – এই ধরিত্রীর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। এই বিশ্ব-চরাচরে মানব সভ্যতার বিকাশ লাভের ক্রম বর্ধমান ধারা সমূহ – – সময়ের আদি, সনাতন ধারাটির ন্যায় – “Ever dynamic“। সময়ের সূত্র ধরে, কালের অমোঘ প্রবাহমানতার প্রেক্ষিতে সৃষ্টি, স্থিতি, লয়ের নানা সূত্র মানবজাতির সামনে হয়েছে বিদ্যমান। সেই সংক্রান্ত চর্চার একটি ধারা – “বস্তুবাদী“, আর অন্যটি – “ভাববাদী“।
এই দুইটি ভিন্ন মুখী চেতনার সংমিশ্রণ পৃথিবীতে এর পূর্বে বহু প্রাচীন সভ্যতার নানা নিদর্শনের মধ্য দিয়ে প্রতিভাত হয়েছে।
অধুনা ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন সভ্যতার প্রাচীন দেবতা সমূহের পার্থিব উপস্থিতি, সেই সব যুগের ঘটনাপ্রবাহে তাঁদের গুণগত যোগদান, তাঁদের তৎকালীন পূজার্চনা পদ্ধতি ব্যাখ্যা করতে হলে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন। এই নিবন্ধটি সেই কেন্দ্রিক নয়। আধুনিক সভ্যতা, কৃষ্টি ও সেসবের সাথে যুক্ত, সেই সব গর্বে অন্ধ মানব জাতির প্রবল অহমিকা, ঘৃণ্য ব্যভিচার ও সর্বোপরি বিষ ফল স্বরূপ চূড়ান্ত অবক্ষয়, অমানবিকতা, মূল্যবোধহীনতা ও সে সবের সম্ভাব্য অন্তিম ফলাফল, অদূর ভবিষ্যতে মানব জাতির ইতিহাসে ঘটতে চলা শেষ যুদ্ধের আধ্যাত্মিক তাৎপর্য, ও পৃথিবী জুড়ে মানবসভ্যতার গুণগত পরিবর্তন – প্রভৃতি আলোচনা প্রসঙ্গে আজ এই নিবন্ধের অবতারণা।
বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিক , দার্শনিক ডারউইনের তত্ত্ব এই যুগে প্রকাশিত হয়েছে। যাকে পশ্চিমী , ইউরোপীয় জীববিদ্যা ভিত্তিক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাকেন্দ্রিক ব্যবস্থা তাদের মত করে নানা তর্ক, বিতর্ক, তত্ত্ব, পাল্টা তত্ত্বের মিশেলে “Synthetic Theory” তে রূপদান করেছে। এই সিন্থেটিক তত্ত্ব কি বলছে ? সেই তত্ত্ব – বিবর্তনের লম্বা ধারা বেয়ে পৃথিবীর বুকে যোগ্যতম হিসেবে মানব জাতির আবির্ভাব ও উদ্বর্তনের কথা বলছে। “ডারউইনবাদ” হলো এই “যোগ্যতমের উদ্বর্তনের” কথা বলা আধুনিকতম এই মতবাদের মূলধন।
এই তথাকথিত বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তাধারার বিপরীতে একটি সর্বজনীন, সনাতনী , পবিত্র ভাববাদী উপলদ্ধি ও বর্তমান। The realization that believes in Divine Grace. যে বিচারধারা বলে, শুধু বলে না, – যুগ যুগান্তরে প্রমাণ করে যে সৃষ্টির মূলে আছে এক অনাবিল, অপার ঈশ্বরোপলব্ধি , – “That Human is indeed a special creation. A different Yoni altogether”. . . .. –
এবং এই পরম আধ্যাত্মিক, আধিদৈবিক, আধিভৌতিক চিন্তাধারার কেন্দ্রটি আর কিছু নয় – প্রাচীন সমস্ত সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র, প্রাচীন সমস্ত কৃষ্টির, ও সর্বাপেক্ষা উন্নত সংস্কৃতির রাজধানী – আমাদের সবার দেশ, – পৃথিবীর সহস্রার – “দেবভূমি ভারতবর্ষ”।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরবর্তীকালীন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পেক্ষাপটে পৃথিবী জুড়ে সেই যুদ্ধের পূর্ববর্তী শিল্পবিপ্লবেরই অব্যাহত ধারা, পরিণামে মানব সভ্যতার নিত্য নতুন শিখর স্পর্শ করার রেকর্ড – রোজ পুরোনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ার হাতছানি, সেই মহাযুদ্ধে জয়ী সংশ্লিষ্ট দেশ গুলি কে কার্যত পৃথিবী পরিচালনার মালিক বানিয়ে তোলে। তাদের সাথে অর্থনীতির ধারে ভারে, জিডিপি র পরিমাণে ক্রমশই পিছিয়ে পড়তে থাকে অন্য দেশ গুলি। পরিণামে জোটে – উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশের তকমা। মহাযুদ্ধের পর পরই দুই মেরুতে তে ভেঙে যায় এই বিশ্ব। সোভিয়েত ইউনয়নের নেতৃত্বে কমিউনিস্ট দুনিয়া ও আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সের নেতৃত্বে পুঁজিবাদী দুনিয়ার মেরুকরণ প্রত্যক্ষ করলো বিশ্ব। এর পরবর্তীতে বিশ্বে উত্থান ঘটে লাল চীনের। একদা Celestial empire এর স্বপ্নে বুঁদ হয়ে থাকা দেশে অভ্যুত্থান ঘটলো একদল বিভীষিকার – “Red Manchu Devils“! চীন সাক্ষী হলো সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের, যার ফলশ্রতিতে চীনে একজন মানুষের জীবনের দাম দাঁড়ালো একটি পিঁপড়ের জীবনের চেয়েও কম। – “Power corrupts. Absolute power corrupts absolutely“. – – এই আপ্তবাক্যের প্রতিফলন ঘটলো “সাংস্কৃতিক বিপ্লবের” (!!!) মাধ্যমে চীনা নেতৃত্বের চিরন্তন ভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত ও সংহত করার প্রয়াসের মধ্যে দিয়ে। মাও এর এই নিরঙ্কুশ রাজত্বের পরবর্তীতে চীনে ক্ষমতালোলুপ, সীমাহীন লালসার বশবর্তী কমিউনিজমের যে অধ্যায় শুরু হয় – তা বস্তুত কমিউনজম তো নামেই বাস্তবে তা – “Red Capitalism“। লাল চীন হয়ে ওঠে – “বাজার সমাজতন্ত্রের” দেশ ! ক্রমাগত নরমেধ যজ্ঞের মধ্যে দিয়ে ( উদাঃ- তিয়েন আন মেন স্কোয়্যারের গণহত্যা ) , রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মধ্যে দিয়ে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা র কেন্দ্রিকতা , ও তৎসহ তাইওয়ান, হং কং, মঙ্গোলিয়া, তিব্বত, জিনজিয়াং , দক্ষিণ চীন সাগর – – বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই বিশাল ভৌগোলিক অঞ্চল সমূহের ওপরে সাম্রাজ্যবাদী, ভূরাজনৈতিক আধিপত্য স্থাপনের লিপ্সা, ও সেই লক্ষ্যে ঘৃণ্য আগ্রাসন , অধুনা ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড, চীন – পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর ইত্যাদি – দক্ষিণ এশিয়ার বুকে চীনের এক ভয়ঙ্কর, অতি আগ্রাসী বৈদেশিক নীতি র প্রতিফলন ঘটিয়েছে। তা হলো – “বহুমেরু বিশ্বে একমেরু শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা” !! – (To be a Unipolar power in a multipolar world)। যার একটি অন্যতম অঙ্গ হিসেবে আজ পৃথিবী জুড়ে জীবাণু যুদ্ধ, করোনাসুরের দাপাদাপি ও জগৎ সংসার তাতে চরম আতঙ্কিত, অতিষ্ঠ , বিপর্যস্ত !!
অপর দিকে জাপানে (Japan) জোড়া পরমাণু হামলার দৌলতে মহাযুদ্ধের পরেই সর্ববৃহৎ পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হিসেবে ব্রিটেন কে টপকে পৃথিবী তে পাকাপাকি ভাবে অধিষ্ঠান হয় – আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের। তাদের প্রেসিডেন্ট (গণ) হয়ে ওঠেন এই গ্রহের সব চেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। তাদের কীর্তিকলাপের হেতু দুনিয়া জোড়া সাম্রাজ্যবাদের নগ্ন রূপ ফুটে ওঠে ভিয়েতনাম সহ পৃথিবীর সর্বত্র। প্রতিবাদ, প্রতিরোধের সম্মুখীনও হতে বাধ্য হয় আমেরিকা এই বিশ্বের বহু প্রান্তে। “রাজনৈতিক সাম্রাজ্যবাদ” আন্তর্জাতিক ক্ষমতার বৃত্তের কূটনৈতিক ও কুশলী চালে ফিরে আসে “অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদের” রূপ, আকার। ও দর্শন পরিগ্রহ করে। পৃথিবীর ওপরে চাপিয়ে দেওয়া শুরু হয় এক নয়া আর্থিক শোষণ ব্যবস্থা। এ যেন এক – “Virtual Empire” !! বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ , অথচ অনুন্নত, উন্নয়নশীল তকমা সম্পন্ন দেশ গুলি তে আব্বুলিশ সরকার নিয়োগ করে, চুক্তির প্রশাসন খাড়া করে সেই সব দেশের জল, জমি, জঙ্গলের পাকাপাকি দখলদারির ও অবাধ লুঠের সূচনা হয়ে গেল। এ যেন নতুন যুগের নতুন ধরণের এক ভয়াবহ দাস ব্যবস্থা । উল্টো দিকে বিপুল তেল ও গ্যাসের ভান্ডারে সমৃদ্ধ আরব দেশ গুলি কে চললো ঢালাও অর্থ সাহায্য, ও নির্লজ্জ তোষণ। পৃথিবী জুড়ে ‘ ধর্মনিরপেক্ষতা ‘ নামক সোনার পাথরবাটির বুলি রটাল এই পশ্চিমী দুনিয়া ! বিনিময়ে পেল সেই সব তেলের কুয়োর প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ দখলদারি। পৃথিবী জুড়ে অস্ত্র ব্যবসা রমরমিয়ে উঠলো। অস্ত্র বিক্রি না হলেই সেই চরম পুঁজিবাদী অস্ত্র ব্যবসায়ী, ধনকুবেরের দল যুদ্ধ চাইলো, ও যুদ্ধ তারা বাধালোও । শুরু হলো আগ্রাসন। পৃথিবী দেখলো উপসাগরীয় যুদ্ধ, বসনিয়ার যুদ্ধ, চেচনিয়ার যুদ্ধ, কার্গিল যুদ্ধ, ৯/১১ র আক্রমণ, আফগানিস্তান ও ইরাকের যুদ্ধ, পরবর্তীতে ফের সেই ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, ইরানের আরো বৃহৎ ভৌগোলিক ক্ষেত্র জুড়ে প্রাণঘাতী, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ দেখলো বিশ্ববাসী , যা আজও ঘটমান।
মহাযুদ্ধের আরেকটি পক্ষ ছিলেন সোভিয়েত একনায়ক জোসেফ স্ট্যালিন। যিনি কমিউনিস্ট বিশ্বের প্রতিনিধিত্ব করতেন । যিনি কুখ্যাত ছিলেন – The Great Purge , Siberian Labour camp, Gulag – এসবের দৌলতেই। এহেন রাশিয়া র সাথে মহাযুদ্ধের পরেই দীর্ঘ সময়ের জন্যে আমেরিকা “ঠান্ডা যুদ্ধে” (Cold war) লিপ্ত হয়। এই কমিউনিস্ট সোভিয়েত রাশিয়া নামক – “Godless Greedy Creed” দের একনায়কতন্ত্রের সীমাহীন অহমিকারও অবসান ঘটে ১৯৯১ – ‘৯২ সালে। ভেঙে যায় বার্লিনের প্রাচীর। শেষ হয় এক চূড়ান্ত ঈশ্বরহীন, জীর্ণ এক পন্থার। তার আগে ১৯৭৯ সালে আফানিস্তানের মাটি তে এই সোভিয়েত আগ্রাসনের সাক্ষী থাকে এশিয়া। যা স্থায়ী হয় ১৯৮৯ অবধি। CIA er চক্রান্তে, অস্ত্র ও অর্থ সাহায্যে সোভিয়েত পিছু হটতে বাধ্য হয়। সেই সময়ে সৃষ্টি হয় – তালিবান, আল কায়েদা ইত্যাদি জঙ্গি সংগঠনের ও ওসামা বিন লাদেন নামক এক বিভীষিকার। এই আল কায়েদা ও তারপরে বাগদাদী নামক আরেক বিভীষিকার নেতৃত্বাধীন ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সমূহের নিধনের স্বার্থে সেই যুদ্ধ ২০০১ থেকে শুরু হয়ে আজও বিশ্বের নানা প্রান্তে সমানে চলছে।
আধুনিক পৃথিবী তথ্য, প্রযুক্তির শিখরে পৌঁছলেও, বৈজ্ঞানিক উন্নতির চরম সীমাতে পৌঁছেও, চাঁদ – মঙ্গলে ল্যান্ডিং এর এ্যাম্বিশন নিয়ে বাঁচলেও চরম ভোগবাদী জীবনচর্যার কাছে, ঈশ্বরহীন পদ্ধতির কাছে নির্লজ্জ আত্মসমর্পন করেছে। করতে বাধ্য হয়েছে। এই মহাযুদ্ধ পরবর্তী – “আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন” – এই ৫ রাষ্ট্র কর্তৃক নির্মিত ও গঠিত “গ্লোবাল অর্ডার” ও তাদের অধীনস্থ রাষ্ট্রসংঘ আজ পৃথিবী জুড়ে মানব পাচার, নারী পাচার, বন্য প্রাণ পাচার, নানা বিধ হ্যাকিং, sophisticated fraud, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি, বিভিন্ন দেশ কে লুটে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ও প্রভাবশালী পুঁজিপতি দের সুইস ব্যাংক গুলি তে ঢালাও অর্থ পাচারের প্রবণতা, দাউদ ইব্রাহিমদের মত পাষন্ডদের নিয়ন্ত্রণাধীন অবৈধ লেনদেন ভিত্তিক অন্ধকার অর্থনৈতিক সাম্রাজ্য, ভয়ঙ্কর সব নেশার সামগ্রী, রিফাইন্ড কোকেন, সোনা, জাল নোট, সাপের বিষ, ইউরেনিয়াম পাচার, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সংখ্যালঘু নিপীড়ণ জনিত কারণে উদ্বাস্তু সমস্যা, পরমাণু অস্ত্র পাচার, বিশ্ব উষ্ণায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বিশ্ব জোড়া সবুজ ধ্বংস, এমন কি সমুদ্র – মহাসমুদ্রের দখলদারি – প্রভৃতি সব রকমের আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ প্রতিপন্ন হয়েছে। জীবকুলের সংকটকে আরও ঘনিয়ে তুলেছে। করোনাসুরের ছোবলে আজ ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে সর্বত্র।
এই শোষণ তান্ত্রিক ব্যবস্থার দৌলতে পৃথিবী জুড়ে কায়েম হওয়া অলিখিত মাফিয়া রাজ, প্রাকৃতিক সম্পদের অবাধ লুটতরাজ ও নপুংসক আন্তর্জাতিক আইন সমূহ – আজ পৃথিবীকে বিষাক্ত করেছে, পৃথিবী কে নীলকণ্ঠ করেছে, পৃথিবী জুড়ে আর্থিক বিপর্যয়ও ঘনিয়ে এনেছে। দুনিয়া জুড়ে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে – “ইকোনমিক স্লো ডাউন”, “রিসেশন” (Recession) , “শাট ডাউন” (Shut down) , “বাণিজ্য যুদ্ধ” (Trade war) , “গ্লোবাল মেলট্ ডাউন” (Global Melts Down) , ইত্যাদি শব্দ। ভারতীয় অর্থনীতিও সেই ভ্রূকুটির বাইরে নয়। গ্যাট চুক্তি, WTO, International mobilization, উদারীকরণ, বিশ্বায়ন-পরবর্তী বিশ্বে যার কোন কিছুই হয় তো বড্ড বেমানান নয় !
কথায় আছে – “বীরভোগ্যা বসুন্ধরা” ! কিন্তু সেই নীতি কার্যকর করতে গিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ পদ্ধতির জোরপূর্বক প্রয়োগ ( যে ট্রাক্টরের দাম শোধ করতে চাষী হয় সর্বশান্ত ! ) , অবাধে গোরু পাচার, গো-হত্যা , কেমিক্যাল সার প্রয়োগ, GM ( Genetically Modified ) ফসলের চাষ ( thereby compromising public health, soil fertility and breeders’ right ), জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে বাঁধ দিয়ে perennial water flow সম্পন্ন নদী গুলির জলধারণ ক্ষমতা নষ্ট করা, নদীর পাড়ের ক্ষতিসাধন, বন্য প্রাণ ধ্বংস –
ধরিত্রী মায়ের ওপর এই ব্যভিচার, এই অনাচার – পৃথিবী জুড়ে আজ স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লবের আহ্বান করেছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আজ আসন্ন। নিজেদের তৈরি এই মহান লুঠ তন্ত্রের ব্যবস্থা, নিজেদেরই তৈরি অস্ত্রের ঝনঝনানি, সর্বোপরি এই জীবাণু, গ্রহাণু , পরমাণু –
ঈঙ্গিত দিচ্ছে বিশ্ব জুড়ে ব্যবস্থা পরিবর্তনের – – ডাক দিচ্ছে – “বিপ্লবের“। এই শেষ যুদ্ধ হয়ে উঠবে প্রকৃত আর্য – অনার্যের যুদ্ধ। কলি যুগে পাপের সব কটা ঘড়া উপচে যাচ্ছে । নতুন যুগে নতুন সনাতন পৃথিবী হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
কিন্তু কাদের ডাকছে ? “জাঁতাকলে যখন গম পেশাই হয়, তখন ফাঁক দিয়ে একটা দুটো আস্ত ছিটকেও বেরোতে পারে“।
তো সেই দুঃসময়ে কারা ওই ফাঁক দিয়ে বেরোবে ? – “সেই কঠিন সময়ে যাঁরা মায়ের আঁচল ধরে থাকবে, তাঁরা রক্ষা পাবে“।
Biolob means Maa Kali. And Maa Kali means Biplob. Shri Shri Jagajjanani stands for revolution herself. Time is ever dynamic, since time flows eternally. Goddess Kali, the “Supreme Self” is the controller of Time. Goddess Kali and Universe is synonymous. She is endless as Universe. God(s) cannot create or initiate a biplob or a Juddho. God acts through human. And it needs situation, ,, Situations that is created and / or made by none other than Human beings. And the “Shokti“, the supreme energy that drives human towards the Juddho, that gives them the morale and physical strength, and courage to stand the fight and finally win that decisive battle – – is the Goddess Shri Shri Durga – Kali herself. Without divine grace, – no fight, no battle can assume any win whatsoever. Such biplob hence depends on divine grace. And it may seem easy to initiate a Juddho, but if any unexpected, unprecedented, uneven situation arises in between, during that Juddho, – which potentially may outcalculate every figure and status of the said warfare, and turn around the battle- – Then One who has initiated the war, fighting it since its inception, – must know how to regain the control of such situation, and finally win the battle without getting much rattled. Let uneven situation arise, But One must have the ability to master it, by getting back control over it, time to time.
আজ এই পৃথিবীতে মনুষ্যসৃষ্ট অচলায়তন জুড়ে বিশ্ব-বাজার দখলের লক্ষ্যে যে ভয়ানক অচলাবস্থা, তা হয় তো ভবিষ্যতে পৃথিবীব্যাপী এক সামগ্রিক ব্যবস্থা পরিবর্তনের ঈঙ্গিত দিচ্ছে। এইসব ব্যর্থ রাষ্ট্রনায়কদের অহমিকার পূর্ণ যবনিকা পতনের ঈঙ্গিত দিচ্ছে। কোন বিপ্লবে, কোন গুণগত পরিবর্তনে ঈশ্বরহীনতার, Godlessness এর কোন স্থান নেই। থাকতে পারে না। Henceforth আর কোন Anti God activity চলবে না। চলতে পারে না। সভ্যতার এই অন্তিম যুদ্ধেও তার ব্যতিক্রম হবে না। সম্পূর্ণ সমর্পণ চাই। তাই এই দারুণ বিপ্লবের মুহূর্তে মানবজাতিকে এই বিপ্লবের মধ্যেই আধ্যাত্মিকতার সন্ধান করতে হবে। Spiritual upliftment চাই । সেই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে শ্রীভগবানের কৃপা ছাড়া মানবজাতি কিভাবে রক্ষা পাবে ? দুনিয়াজোড়া কায়েমী স্বার্থের প্রতিনিধিত্বকারী এই তাবড় রাষ্ট্রনেতাগণ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে হয়তো অদূর ভবিষ্যতেই বিশ্বকে যুদ্ধের দিকে ঘোরাবেন। তখন এক ঘোর অমানিশা বিশ্বকে গ্রাস করার আশঙ্কা থেকে যায়। সেদিন সেই অমানিশার কালো রাতে বিশ্ববাসীর দেওয়ালে সম্পূর্ণ পিঠ ঠেকে যাবে। সেদিন এই অভাবনীয় পরিস্থিতিতে, শ্মশানের শূলাসনে বসে গোটা ভারত তথা পৃথিবী কাকে স্মরণ করবে ? সেদিন বিশ্ব শ্রীভগবানের শরণ নেবে। অনন্যোপায় হয়ে নিতে বাধ্য হবে। বিশ্ব জুড়ে “ত্রাহি মধুসূদন” ধ্বনি না উঠলে স্বয়ং শ্রীমধুসূদনও ধার্মিকদের রক্ষার্থে প্রকট হতে পারছেন না যে। একদিন সেই ঘোর অমানিশার ক্ষণে বিশ্ববাসী তাঁর শরণ নেবে। তিনি কার্য, তিনিই কারণ। তিনি হলেন এক সূর্যের মতই। সূর্যের প্রকাশ সূর্য স্বয়ং। When Sun rises, We see the Sun rises . . . ..
পরিত্রাণায় সাধুনাম্ বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্. . . ..
শাশ্বত ভারতের জাগ্রত বিবেক স্বামীজির বিশ্ববিজয়ের পরে ভারতবর্ষে প্রত্যাবর্তনের দিন টি ছিল – ২৪ জানুয়ারি, ১৮৯৭ । তার ঠিক একদিন আগে – ২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৭ – কটকে ভূমিষ্ঠ হয়েছেন ভারত জননীর শ্রেষ্ঠ সন্তান, দেশপ্রেমিকোত্তম নেতাজী সুভাষ চন্দ্র। ভারতে প্রবেশের সেই ক্ষণটি তে আধ্যাত্মিক চেতনায় উদ্ভাসিত, সত্য দ্রষ্টা স্বামীজি উক্তি করেন – “The longest night seems to be passing away“. . . .. ১৯৪৫ এর পরবর্তী পর্যায়ে সন্ন্যাসী দেশনায়ক, ভারত পথিক, শ্রীভগবানজী , মহাকাল – – তিনিই যে এ যুগের স্বয়ং শ্রীরামচন্দ্র । “Embodiment of the past, Product of the present, Prophet of the future“। দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালনে তিনি যে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনিই যে পৃথিবী কে একদিন – “Fourth Stage of Civilization” – এ নিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সত্যিই তাঁর অপার লীলা ! আজ এই প্রবল দুর্যোগের তিমিরেও শ্রীমর্যাদা পুরুষোত্তম এর মন্দির নির্মাণের বার্তা – কি সেই ছায়ারই কায়ায় আসার ঈঙ্গিত ? ভবিষ্যত পৃথিবীতে ভারতের বিশ্বগুরু হয়ে ওঠার ঈঙ্গিত ? জানি না। ভগবান শিব থাকেন চির ধ্যানস্থ। সমাধিস্থ। যোগস্থ থেকে ধারণ করেন এই মহাবিশ্বকে। তাঁর সমাধি ভাঙলে প্রলয় হয়। তিনি যে প্রলয়েরই কর্তা। স্বামীজির ভবিষ্যতবাণী সফল করে এই ঘোর অমানিশার রাত একদিন কাটবেই । কুটিল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ভেদ করে এ যুগের সেই শ্রীরামচন্দ্রের পুণ্য আবির্ভাবের পথ চেয়ে এ যেন শবরীর প্রতীক্ষা !! আধুনিক সভ্যতার দান – – এই তথাকথিত উন্নতির করাল গ্রাসে ও তার সাথে উপর্যুপরি এই মানবজাতির ঘোর সংকটের কালে, – অধর্মের পরাজয়, ধর্মের বিজয়, – – অখণ্ড ভারত, Federated Asia, সনাতন পৃথিবীর ভবিষ্যত স্বপ্নে বিভোর হয়ে, এই যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আজ সেই সন্ন্যাসী দেশনায়কের অমোঘ বাণীটিই সদা সর্বদা কানে বাজে – . . .”I believe and know and have faith in divine grace. I know that honest endeavours pursued with dedication are surely blessed with divine grace. . . And even if the pioneer dies, his Sadhana dies not. It is taken up by other Sadhakas of the same line – and thoughts are pursued to its glorious consummation. . . My Sadhana can not – shall not fail ! Matri Sadhana can never fail.”
অংশুমান গঙ্গোপাধ্যায় (Angshuman Gangopadhyay)