সজনে বা সজিনা গাছ ভারতের প্রায় সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায়। এর বিজ্ঞান সম্মত নামটি মরিঙ্গা ওলিফেরা। তাই অনেক সময় একে মরিঙ্গা বলা হয়। গাছটির পাতা , ফুল ও ডাঁটার গুনাগুন অনেক। আয়ুর্বেদেও একাধিক রোগ সারাতে এর উপকারিতার বিষয়ে জানা যায়।
ভিটামিন B6,B2,A,C ছাড়াও আয়রণ, ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম সহ একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে সজনেতে।

পাতা , ফুল ও ডাঁটা প্রধনত ভাজা ও তরকারিতে সবজি হিসাবে ব্যবহার হয়ে থাকে।
বাতের ব্যথা উপশমে এই গাছের ছাল বেটে রস চিপে নিয়ে নিয়মিত ৪-৬ চা চামচ খেলে বেশ কাজ দেয়। শুকনো পাতা গুঁড়ো করে খেলে রক্ত শর্করা বা ব্লাড সুগার কমে।দেহে হরমোনের সামঞ্জস্য়ও গড়ে তুলতে এর জুড়ি নেই।
সজনে দেহের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবাং শরীরের বিভিন্ন অংশের প্রদাহ থেকে আমাদের রক্ষা করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপস্থিতির কারণে ফ্রী রাডিকেল ধ্বংস করে ত্বককে রক্ষা করে।
দাঁতের ব্যথা ও মাড়ির সকল সমস্যার থেকে আরাম পেতে সজনে পাতা ১/২ গ্লাস জলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল দিয়ে ভালও করে প্রতিদিন কুলকুচো করতে হবে।
পেটে গ্যাস , বদহজম কিংবা পেটে ব্যথা হলে সজনের তৈরি তরকারি খেলে পেটের গোলমাল উপশম হয়।

হেঁচকি ওঠার সমস্যায় কয়েক ফোঁটা সজনে পাতার রস আধ গ্লাস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে উপকার হয়।
গর্ভাবস্থায় বা তার পরে সজনে পাতার ব্যবহারে মাতৃত্বকালীন বিভিন্ন সমস্য দূর হয় ও শিশুর জন্য বুকের দুধের জোগান বাড়ে।
কচি নয় এমন সজনে পাতার রস নিয়ম করে ৪-৬ চা চামচ খেলে উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে পুরুষদের যৌন ক্ষমতাকে ধরে রাখতে সাহায্য করে সজনে।
আর্সেনিকের বিষক্রিয়া প্রতিরোধকরে সজনে।
সজনের ফুলে থাকা ব্যাকটিরিয়া প্রতিরোধী গুণগুণের কারণে গলা, বুক ও ত্বকের সংক্রমনে উপকার মেলে। রক্ত পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য কর।

হরমোনের সামঞ্জস্য় বজায় রাখার কারনে সজনে মেজাজ ঠিক রাখতে ও মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উন্নতিতে সাহায্য করে।

