ওষুধ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা

প্রধানমন্ত্রী ওষুধ শিল্পকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কোভিড-১৯ এর জন্য RNA টেস্টিং কিট তৈরী করতে বলেছেন

সরকার API এর যোগান ঠিক রাখতে এবং তা দেশেই তৈরী করতে বদ্ধপরিকর

প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ বজায় রাখা এবং কালোবাজারি ও মজুত রোধ করা জরুরি: প্রধানমন্ত্রী

নতুন দিল্লি, ২১ মার্চ ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ওষুধ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে আলোচনা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ওষুধ নির্মাতা ও সরবরাহকারীদের বড় ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ, মেডিকেল কিট ও সরঞ্জামের যোগান ঠিক রাখাই শুধু নয় একই সঙ্গে নতুন ও উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করাও এই শিল্পের কর্তব্য।

তিনি বলেন, সরকার সক্রিয় ফার্মাসিউটিকাল উপাদান (API) এর যোগান ঠিক রাখতে এবং তা দেশেই তৈরী করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেছেন যে দেশের অভ্যন্তরে জীবনদায়ী ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন নিশ্চিত করতে সরকার যথাক্রমে ১০,০০০ কোটি এবং ৪০০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী ওষুধ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত নেতৃবৃন্দকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কোভিড ১৯ এর জন্য RNA টেস্টিং কিট তৈরী করতে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেছেন, ওষুধের যোগান ঠিক রাখতে এবং কালোবাজারি ও মজুত রুখতে ওষুধ বিক্রেতা ও রিটেলারদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন সম্ভব হলে, প্রচুর পরিমাণে ওষুধ সরবরাহ এড়ানো বাঞ্ছনীয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রয়োজনের এই মুহুর্তে, এই শিল্পের নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করা জরুরি এবং এখানে যথেষ্ট পরিমাণ কর্মী সংখ্যা নিশ্চিত করাও জরুরি। তিনি এই শিল্পে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য হোম ডেলিভারি মডেল এবং ভাইরাসের বিস্তার রোধে ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন

ওষুধ সংস্থা গুলি সঙ্কটের এই সময়ে প্রধানমন্ত্রীকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে । সংস্থাগুলি আরও বলেছে তারা প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সরঞ্জাম সরবরাহ বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ভ্যাকসিন তৈরির জন্য কাজ করছে। তারা বলেছে যে ওষুধ শিল্পের জন্য সরকারী নীতি এই ক্ষেত্রকে উৎসাহ দেবে।

প্রধানমন্ত্রী এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলকে তাদের কাজের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, জনগণের কাছে বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রসারে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

ফার্মাসিউটিক্যালস দপ্তরের সচিব প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিমানবন্দর ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা তুলে ধরেন। স্বাস্থ্য সচিব ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন যে এখন পর্যন্ত সরবরাহের কোনও ঘাটতি নেই এবং প্রোটেকটিভ ওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনগুলির সাথে সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

কেন্দ্রীয় জাহাজ চলাচল, রাসায়নিক ও সার প্রতিমন্ত্রী, প্রধান সচিব, ক্যাবিনেট সচিব, স্বাস্থ্য, বস্ত্র ও ফার্মাসিউটিক্যালস দপ্তরের সচিবরা, ওষুধ শিল্প সংস্থা গুলি যেমন ইন্ডিয়ান ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যালায়েন্স, ইন্ডিয়ান ড্রাগ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, অর্গানাইজেশন অফ ফার্মাসিউটিকাল প্রডিউসারস অফ ইন্ডিয়া, অল ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন অফ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্টস, টরেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস, বাল্ক ড্রাগ ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন এবং অ্যাসোসিয়েশন অফ মেডিকেল ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রি -র শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.