আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার উত্তরাখন্ডের উধমসিং নগর জেলার রুদ্রপুরে দ্বিতীয় জনসভা করেন। নৈনিতাল-উধমসিং নগর লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী অজয় ভট্টের সাথে কংগ্রেসে হরিশ রাওয়াত এর সোজাসুজি মোকাবিলা।
জনসভার প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী উধম সিং প্রণাম জানান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, যেই মাটিতে গুরুনানক এর পা পড়েছিল সেই মাটিকে আমি প্রণাম জানাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই এলাকার উন্নতির জন্য যেমন ভাবে পাঞ্জাব এবং দেশের অন্য প্রান্ত থেকে মানুষেরা এসে কাজ করছে, সেটাই হল এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের জলজ্যান্ত উদাহরণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই জনসভায় আসা প্রত্যেকেই এখানকার প্রাক্তন সরকারের কাজ দেখেছেন। আপনারা আগেই কংগ্রেস সরকারের কাজ দেখেছেন, বিজেপি আর কংগ্রেসের সংস্কার নিয়ে আপনারা অবগত। এর আগেই কথা মনে করুন, যখন রাস্তা খারাপ ছিল, অনেক বড় জ্যাম পড়ত।
এর আগে এখানকার মানুষ রাস্তার অভাবে মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে যেত। মনে করুন কংগ্রেস আমলে করা সেসব দুর্নীতির কথা। সেই দুর্নীতি দিয়েই আগে মানুষ উত্তরাখন্ডকে চিনত। এখানে এর আগে ত্রাণের নামেও দুর্নীতি হত! কংগ্রেসের সংস্কৃতি উত্তরাখণ্ডকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়তকে আক্রমণ করে বলেন, এখানকার প্রাক্তন কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কদিন পর পর দিল্লীতে গিয়ে হাজিরা দিয়ে আসত। এখানকার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষের জন্য না, শুধুমাত্র একটা পরিবারের উন্নতির জন্য কাজ করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজপেয়ী জি যেই উত্তরাখণ্ডের স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমরা সেটা পূরণ করার জন্য বদ্ধপরিকর। কংগ্রেসের আমলে এই এলাকার মানুষ খালি ঘর পরিবার ছেড়ে অন্য যায়গায় চলে যেত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ দেব ভূমি উত্তরাখণ্ড এর চার ধামের সাথে সাথে আরেকটি ধাম জুড়ছি, সেটা হল সৈনিক ধাম। এখানে প্রতিটি ঘরেই ভারত মাতার রক্ষা করার জন্য সেনা তৈরি হয়। এই সৈন্য ধাম উত্তরাখণ্ডকে আমার কোটি কোটি নমস্কার।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিন দশক আগে কংগ্রেস ‘গরিবি হাঁটাও” এর স্লোগান এনেছিল, আর সেই স্লোগান তাঁরা এবারও দিচ্ছে। ৭২ বছর ধরে দেশের সাথে বেইমানি করা কংগ্রেস কখনো দেশ থেকে দারিদ্রতা মিটাতে চায়নি। দেশে দারিদ্রতার আসল কারণই হল কংগ্রেস। এখন দেশের মানুষ বলছে, কংগ্রেস হাঁটাও, দারিদ্রতা একা একাই চলে যাবে।