মার্কিন এক্সপেরিমেন্ট (US Experiment) অনুযায়ী: রুম টেম্পারেচারে মানে ( ২০-২২ ° C) যদি RNA ভাইরাস করনা প্লাস্টিক বা স্টিল এর উপর পড়ে – কাশি বা হাঁচি -যে করেই হোক, কম সংখ্যক হলেও ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত সেখানে বেঁচে থাকে – সেটা প্রমাণিত! কাগজের উপর পড়লে বাঁচে ২৪ ঘন্টা! কিন্তু জার্মানির এক্সপেরিমেন্ট অনুযায়ী ম্যাক্স ৯ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে স্টিলের, গ্লাস ও প্লাস্টিক এর উপর পড়লে।
যদি ৬২-৭১% ইথানল + ০.৫% হাইড্রোজেন পার অক্সাইড অথবা ০.১% নাইট্রোজেন হাইপার ক্লোরাইড এর মিশ্রন দিয়ে করোনা (Corona) জীবাণু আছে, এমন জায়গা সঠিক ভাবে পরিষ্কার করা হয়, এক মিনিট পর মারা যায়! এর মানে হলো, আপনারা যে বাজারি স্যানিটাইজার কেনেন, তা যদি ওই কেমিক্যাল দিয়ে বানানো হয়, তা হলেই আপনার হাতে যদি করোনা লাগে ও সঠিক ভাবে লাগান, ১ মিনিটের মধ্যে হাত জীবাণুমুক্ত হবে! এবার স্যানিটাইজার কেনার সময় দেখে নেবেন, কোন কেমিকাল এর কত মাত্রা দিয়ে তৈরী!. নতুবা বিপদে পড়বেন !
কাজেই কেহ যদি করোনা (Corona) আছে এমন বস্তু তে হাত দেয় , আর সেই হাত করণামুক্ত না করে ২৪ ঘন্টার মধ্যেও নাকে বা মুখে লাগায় , তা হলে হাতে যে জীবাণু থাকে, সেই জীবাণু নাক বা মুখ থেকে শ্বাস নালী তে ঢোকে! একবার শ্বাস নালী তে ঢুকলে দ্রুত বংশ বৃদ্ধি শুরু করে।
কোনো দরজার হাতলে কত পরিমান করোনা থাকলে, তা আমাদের হাতে লেগে আমাদের ক্ষতি করবে, এখনো (১৩.০৩.২০২০) তা নিয়ে কোনো এক্সপেরিমেন্ট হয়নি! আদৌ হাতল বা বাসের রড থেকে করনা থেকে ছড়ায় কিনা, এখনো এক্সপেরিমেন্ট হয়নি!
তবে করোনা রুগীর হাঁচি কাশির মাধ্যমে ২ মিটার কাছের ব্যক্তির নাকে মুখে করোনা জীবাণু লাগে, সেটা প্রমাণিত, তাই বিজ্ঞানীরা ২ মিটার দূরে থাকতে বলে! সত্যি বলতে এক এক জনের হাঁচি বা কাশি থেকে বের হওয়া তরল এক এক দূরত্বে যায়! সেটা ১.৫-৫ মিটার পর্যন্ত! ম্যাক্সিমাম লোকের ২ মিটার পর্যন্ত যায়! আর করোনা বা ভাইরাস এর স্যাঁতসেতে জায়গায় বংশবৃদ্ধি করতে সুবিধা হয়।
তাপমাত্রা বাড়লে কি এই জীবাণু বাঁচেনা?
আমি ভাইরাস স্পেশালিস্ট নই। লজিকাল এনালিস্ট। ফ্যাক্ট দিয়ে বিচার করবো এই প্রশ্নের!
যে যে আবহাওয়া তেই থাকুক না কেন, তার শরীরের তাপমাত্রা ৩৬.৫-৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাজেই বাইরের বায়ুর তাপমাত্রা যাই হোক না কেন, যাদের দেহ তে এই জীবাণু ঢুকেছে অন্য রুগীর মাধ্যমে, তারাই রোগাক্রান্ত হয়েছে। ফ্যাক্ট এই যে, WHO আশা করছে, বায়ুর তাপমাত্রা বাড়লে >২৬°C শরীরের বাইরে করোনা জীবানু বেশি ক্ষণ বাঁচবেনা, কিন্তু কোন তাপমাত্রা তে করোনা কতক্ষন বাঁচবে তা নিয়ে কোনো এক্সপেরিমেন্ট হয়েছে বলে খবর পাইনি! যদি করোনা রুগীর হাঁচি কাশি আপনার নাকে মুখে লাগে, তা হলে বাইরে ৫০°C তাপমাত্রা থাকলেও কিছু করোনা জীবাণু নাক মুখ দিয়ে গলায় যাবেই!
এবার আরও একটু ভাবি! বিদেশ থেকে যারা করোনা নিয়ে আমাদের দেশে এসেছে, তাদের মাধ্যমে স্থানীয় ব্যক্তিরা আক্রান্ত হয়েছে। বাংলদেশ, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিলে! দিনের বেলা ফেব্রুয়ারী মার্চ মাসে আমাদের দেশের ম্যাক্সিমাম অঞ্চলে কিন্তু ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর উপর তাপমাত্রা থাকে! কিন্তু আমাদের দেশের ঘরের বাইরের বায়ুর তাপমাত্রা কিন্তু কনস্ট্যান্ট নয়, মানে দিন রাত সব সময় একই থাকেনা। দিনে বেশি, রাতে কম! তার অর্থ দিন রাতের কোনো না কোনো সময় বায়ুর তাপমাত্রা ২৫ এর নিচে থাকেই , আর তখন বেঁচে থাকা জীবাণু অনায়াসেই দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করতে পারে ও সেটা ধরলে কারো হাতে সেই জীবাণু লেগে তার নাকে মুখে লাগতেই পারে । আর এটাও উপরে পড়েছেন, স্থান ভেদে ৩ – থেকে ৯ দিন এরা বাঁচতে পারে! তার অর্থ আমাদের আবহাওয়াতে করোনা জীবাণু ছড়াতে পারে!
আমি আশা করেছিলাম দেশের বিজ্ঞানীরা আমাদের কে স্পষ্ট ভাবে মাতৃভাষায় করোনা কি করে ছড়ায়, কেন ছড়ায় লিখবে। আমরা জানলেই সতর্ক হতে পারি!
আমার হিসাবে ইউরোপ যদি একজন এর থেকে ৩ জনের মধ্যে করোনা ছড়ায়, আমাদের দেশে সেটা ১০-২০ জন হতে পারে! কারণ ঘনবসতি দেশ ও ৯৫% মানুষ পাবলিক ট্রান্সপোর্টে গাদাগাদি করে যাতায়াত করে ও আমাদের মধ্যে সাবান দিয়ে হাত ধোবার সভ্যতা ১০% নাগরিকদের মধ্যেও নেই! আর যেহেতু খুব ঘাম হয়, ধুলা বেশি, আমরা আমাদের হাত ইউরোপীয়ান দের চেয়ে নিজেদের অজান্তে মুখে নাকে বেশি ছোঁয়াই। আর সে ভাবেই আমাদের দেহে করোনা জীবাণু অন্য দেশের চেয়ে বেশি ছড়াবে!
যদি কারো ডিয়াবেটিক, হৃদপিন্ডে রক্তসঞ্চালন সমস্যা, কিডনির সমস্যা বা ফুসফুসের সমস্যা না থাকে, ও শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ শক্তি পর্যাপ্ত থাকে, তা হলে ১-৬০ বছর বয়সী লোকদের সাধারণত এই রোগে কোনো সমস্যা হয়না। বিনা ওষুধে সেরে যায়. কোনো ওষুধ ও নেই। খুব দ্রুত হলে অক্টোবর ২০২০ র পূর্বে কোনো ভেকসিন বাজারে আসবেনা। তবে শরীরে সমস্যা থাকলে ( রিস্ক গ্রূপ) ও বয়স বেশি হলে মৃত্যুর হার তত বেশি! ধরে নিন আর সেটা ৫০-৬০% হতে পারে! মানে যাদের শরীরে পূর্বে লেখা অসুখ আছে ও বয়স ৬০ এর বেশি তাদের ৫০-৬০% মারা যাবে! আর যদি বয়স কম হয় কিন্তু ওই অসুখ গুলো থাকে, তাদের মৃত্যুর হার ৩০-৫০% হতে পারে! মনে রাখবেন ইতালি (Italy) তে যথেষ্ট কৃত্তিম ভেন্টিলেশন সিস্টেম না থাকায়, রুগী মৃত্যুর হার বেশি হয়েছে। অন্য ভাষায় বললে, রিস্ক গ্রূপের ম্যাক্স রুগীরা মরেছে!
উপমহাদেশে বিশেষ করে ইন্ডিয়াতে মৃত্যুর হাত কেন বেশি হবে?কারণ মধুমেহ, ফুসফুস, হার্ট ও কিডনির রুগী বেশী। ইমিউন শক্তি কম. কারণ মানুষ স্পোর্ট করেনা। স্ট্রেসে বেশি ভোগে। অটো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার সুযোগ নেই। হাসপাতালে চিকিৎসা করার টাকা নেই! হাসপাতালে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন সিস্টেম নেই। ডাক্তার নেই পর্যাপ্ত। ডাক্তার ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের নিজেদের সুরক্ষা করার পোশাক ও মাস্ক নেই! নেই পর্যাপ্ত N ৯৫ স্ট্যান্ডার্ড এর মাস্ক যা ৭ ঘন্টা পর পর চেঞ্জ করতে হয়। কাজেই ভয় হচ্ছে, স্বাস্থ্য কর্মীরা অসুস্থ হওয়া শুরু করলে, এরা পালাবে নিজে বাঁচার জন্য! আর ট্যাক্স আয়ের লোভে সরকার মদ বিক্রি বাড়াতে গিয়ে প্রচুর লোক নানা রোগে ভুগছে। বিশেষ করে হিন্দুরা। কাজেই হিন্দু পুরুষ রা বড় রিস্ক গ্রূপ ইন্ডিয়া তে। মহিলারা মদ খায় না বা ধূমপান করেনা, কাজেই তাদের যদি বাকি রোগ না থাকে, তাদের ক্ষতি কম হবে , যদি পর্যাপ্ত ইমিউন পাওয়ার থাকে।
মোট কথা, করোনা ইন্ডিয়াতে চীন বা ইতালির তুলনায় অনেক বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটাবে !
করোনার জীবাণু শরীরে ঢোকার পর কম বেশি ৩ দিন পরেই সিম্পটম দেখা যায়! সেটা যে করোনার জন্য, অনেকেই বুঝবে না, কারণ আমাদের দেশে অত জলদি ডাক্তার খানা যাবার কালচার নেই বা সুযোগ নেই! যে পরীক্ষার মাধ্যমে এই জীবাণু ডিটেক্ট করা হয়, তা দেহে ঢোকার ৩ দিন পূর্বে বোঝাই যায় না। কিন্তু শরীরে ঢোকার ১২ দিনের মধ্যেই তার দ্বারা অন্যরা আক্রান্ত হতে পারে। কাজেই আমলার ছেলের মাধ্যমে আমলা বা তার ডাক্তার বাবার দেহে করোনার জীবাণু গেছে কিনা, কন্টাক্ট এর ১ দিন পরের পরীক্ষায় ধরা না পরার কথা। কাজেই এই রোগ এর রুগীর সংস্পর্শে এলে নিজেকে এক ঘরে ১৫-২৫ দিন আলাদা করে রাখাই উচিত। কারণ শরীরে ঢুকে রোগের লক্ষণ দেখা দিতে ৩- ২৪ দিন সময় লাগে- যার যেমন শরীর। আর ইন্ডিয়া তে পর্যাপ্ত PCR টেস্ট করার কীট নেই, যা দিয়ে করোনা টেস্ট হয়। তেমনি নেই মডার্ন ল্যাব! কয়টা বেসরকারি ল্যাব এই পরীক্ষা করতে পারে, কি জানে?
যে সব সাধারণ মাস্ক দিয়ে লোক চলাফেরা করে, তা মোটেই করোনা রোধক নয়!দেয়া বা না দেয়া প্রায় সমান। তবে যার এই রোগ হবে, তাকে সব সময় করোনা রোধক N৯৫ স্ট্যান্ডার্ড মাস্ক পরিয়ে রাখতেই হবে যাতে তার কাশি হাঁচি থেকে অন্যদের দেহে না ছড়ায়! আর ৭ ঘন্টা পর পর তা চেঞ্জ করতে হবে. আর জার্মানির ফার্মাসি তে দেড় মাস পূর্বে এমন মাস্ক এর দাম ছিল ৮ ইউরো। ইন্ডিয়া তে ৩০০ টাকার নিচে কি N৯৫ মাস্ক পাওয়া যেত পূর্বে? কাজেই ৫ টাকার মাস্ক পরিয়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের কেন চিটিং করা হচ্ছে?????
কাজেই আত্মরক্ষা ছাড়া কোনো পথ নেই, যাতে জীবাণু না ছড়ায় ও আপনার দেহে প্রবেশ না করে। আর আত্মরক্ষার সহজ পথ হলো ২৫ দিন কেহ ঘরের বাইরে যাবেনা , গেলেও ২ মিটার দূরত্ব রাখবে ও অন্যের কাশি হাঁচি যাতে নিজের মুখে নাকে হাতে না লাগে ও নিজের মুখে নাকে না যায়,তার ব্যবস্থা করা! অর্থনীতি আমার হিসাবে ১০% ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তবে সব করোনা রুগীদের আলাদা করা যাবে ও নতুন করে ছড়াবেনা। তবে সেটা বিশ্বব্যাপী না হলে লাভ নেই! যদি কোনো দেশ সৎ ভাবে এভাবে নিজের দেশ কে করোনা মুক্ত করে, তবেই সেই দেশ থেকে কাউকে অন্য দেশে যেতে দেয়া উচিত। আর UNO র এ নিয়ে এভাবে উচিত।
করোনা র ভেকসিন ম্যাক্সিমাম এক বছরের মধ্যে বের হবে. ৬০-৮০% লোক করোনার সংস্পর্শে একদিন আসবে।এই বিপদ বেশিদিন থাকবেনা। কিন্তু দ্রুত ছড়িয়ে পরলে তাদের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়, বলেই মৃত্যুর হার কমাবার জন্য, যাতে এক সময়ে না ছড়িয়ে আস্তে আস্তে ছড়ায়, তাই অনেক দেশ ১৫-২৪ দিন শাট ডাউন মানে কারফিউ জারি করছে। মোর গেলে কাউকেই ফিরিয়ে আনা যাবেনা বলে! আর অনেক স্বাস্থ্য কর্মী ও মরছে, তাদের মধ্যেও অনেকে রিস্ক গ্রূপের।
৫ ধরনের করোনা (SARS-CoV) পূর্বেও ছিল! এবারের করোনা বেশি ভয়ঙ্কর, দ্রুত মিউটেশন মানে জীন পরিবর্তন করে তার কর্মক্ষমতা বা ক্ষতি করার ক্ষমতা নানা পরিবেশে বাড়াচ্ছে! এই করোনা মানুষের বানানো কিনা, বিশেষ উদ্যেশ্যে ছেড়েছে কিনা, না এক্সিডেন্ট এর ফল., পরে জানতে পারবো! কিন্তু যা ক্ষতি হবার হয়ে গেছে, এখন ক্ষতি কমানো দরকার।
এই করোনা গত ২ বিশ্ব যুদ্ধের চেয়েও বেশি ক্ষতি করেছে। করোনা (Corona) উত্তর পৃথবী অনেক পাল্টাবে। বিশ্বায়ন এর সমাপ্তি হবে , আসবে স্থানীয় উৎপাদন এর জোয়ার। ফলে অনেক উঠতি নব্য আর্থিক উন্নত দেশে বেকার প্রচুর বাড়তে পারে! তবে এই করোনা (Corona) তাদের জন্য একটা সুযোগও- যদি জনসংখ্যা কমাতে পারে। এক্সপোর্ট কমলে ইম্পোর্ট কি দিয়ে করবে? কাজেই বেঁচে থাকলে নিজের বিদ্যুৎ, খাবার নিজেই বাড়ির ছাদে বা জমিতে করা শুরু করুন। যত চাহিদা কমাবেন, যত কম পরনির্ভশীল হবেন, তত স্ট্রেস কম, টাকা লাগবে কম, সুখী হবেন।
অর্থনীতির ক্ষতি 1-2% হবে,যদি যে 24 দিন এখন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করবে, সেই 24 দিন ছুটি এবৎসর আগামী 3 বছর ধরে প্রাপ্ত ছুটি থেকে 5 দিন করে কর্মীরা কম পায়। বাকি 4 দিন ছুটি কারখানা ও সরকার কর্মীদের বেতন সহ দিয়ে দেয়।
ধরেই নিচ্ছি করোনা (Corona) হলো জৈব যুদ্ধ। মানুষ তার ফল বুঝে গেছে, যেমন বুঝেছিলো হিরোশিমা নাগাসাকি তে পারমাণবিক যুদ্ধের ফল। তারপরও সবাই পারমাণবিক অস্ত্র বাড়িয়ে গেছে। কিন্তু কেহ প্রয়োগ করেনি। জৈব অস্ত্র বানানো খুব সহজ, ধরা পরার সুযোগ নেই। কাজেই অনেকেই এর পর বানাবে। কিন্তু খুব মৌলবাদী না হলে প্রয়োগ করবেনা, যদি না আত্মঘাতী বাহিনী হয়! কারণ বুমেরাং হয়ে নিজের ও ক্ষতি হতে পারে, যে এখন দেখলো । চীন নিয়ে বিশ্ব এর পর কি করে, সেটা পরে জানবো। আপাতত নিজেকে গৃহবন্দী করুন ২৫ দিন, নিজের ফ্যামিলি কে আবিষ্কার করুন, ফ্যামিলি কে নিয়ে যৌথ ভাবে কিছু শিখুন যেমন ভাষা বা কম্পিউটার বা যার যেটা খুশি। আর দুর্বল গরিব প্রতিবেশী কে বাঁচিয়ে রাখুন, তা হলেই নিজে বাঁচবেন। আর সরকার যদি ২ মাস সরকারি বেসরকারি ব্যবসায়ী দের ম্যাক্স বেতন/আয় ২০০০০ করে দেয়, যে টাকা বাঁচবে, তা দিয়ে গরিব দের এই ২৫ দিন খাইয়ে রাখতে পারে, ও ভালো research সেন্টার ও মেডিকেল কলেজ বানাতে পারে! আমি কোনো যুক্তি দেখিনা, শাট ডাউন এর দায় কেবল গরিব রা নেবে। সবাইকেই নেয়া উচিত। যারা এতকাল ভালো আয় করেছে, তাদের ঘরে জমানো টাকা আছে! নতুবা আর্থিক স্বচ্ছল রা খালি হাতে প্লেন ভাড়া করে দেশ ছেড়ে আজীবনের জন্য পালাক, যদি না এখন দেশের স্বার্থে ত্যাগ করতে রাজি হয়! এই জীবাণুর আক্রমণ গরিব ধনী ধর্ম ভাষা দেখে হয়না! সবাই ত্যাগ করুক, সবাই বাঁচুক!
মৃণাল মজুমদার (Mrinal Majumdar) , বার্লিন (Berlin)